ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার তৎপর ড. ইউনূস


প্রকাশ: 02/06/2023


Thumbnail

এক-এগোরোর মতোই আবার তৎপরতা শুরু করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং হাইকোর্টে তার ১২ কোটি টাকা আয়কর দেওয়ার রায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন সরকারের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে গেছেন। আর এ কারণেই তিনি তার অনুগতদেরকে আবার সক্রিয় করছেন। বিভিন্ন সুশীলদের নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতকেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে আগামী কয়েকদিন ইউনূস এ নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাবেন। তার কৌশলটা হল তার বিরুদ্ধে মামলা এবং আয়কর ফাঁকির রায় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। বরং সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন এবং সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবেন। যেটি তিনি করেছিলেন ২০০৭ সালে। 

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রামীণ টেলিকমের অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সেখানে ড. ইউনূসের সংশ্লিষ্ট পেয়েছে। আর এই ব্যাপারে তারা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তদন্তে যদি ড. ইউনূস প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে আইনগতভাবে সেটি মোকাবেলা করতে হবে। ড. ইউনূস এটিতে আতঙ্কিত। আবার হাইকোর্ট রাজস্ব বিভাগের এক মামলায় ড. ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা সরকারের খাতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ইউনূসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করেন তার সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্টরা। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে একটি শক্তিশালী সুশীল গ্রুপ রয়েছে। যারা ইউনূসের রায়ের পর এক সঙ্গে বসছেন এবং তারা ইউনূস এর জন্য কি করা যায় তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হোসেন জিল্লুর রহমান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে ড. ইউনূস এর দ্বারা সুবিধাপ্রাপ্ত এবং ড. ইউনূসের পক্ষে যে কোনো অবস্থান নিতে তারা কার্পণ্য করবেন না। এরা ড. ইউনূস এর রায়ের পরবর্তী পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেছেন এমন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। ড. ইউনূসও তাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সুশীলরা সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সংগ্রাম করবে না। তারা তিনটি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে। প্রথমত, বিএনপিকে তারা আন্দোলনের জন্য রসদ দিবে এবং বিএনপিকে তাতিয়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করবে। দ্বিতীয়তঃ তারা বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস গুলোর কাছে সরকারের বিরুদ্ধে  নানা রকম বক্তব্য উপস্থাপন করবে এবং সরকারকে চাপে ফেলার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি বিষয় সামনে আনবে। আগামী কিছুদিন এইসব বিষয়ে সুশীলদেরকে সোচ্চার দেখা দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। 

তৃতীয়তঃ সুশীলরা আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে দেনদরবার করবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কংগ্রেসম্যান, সিনেটর সহ প্রভাবশালী প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাদেরকে দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি বিবৃতি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা যেন চাপ সৃষ্টি করেন সে কথাও বলবেন। তবে ড. ইউনূস কোনো প্রক্রিয়াতেই তার নিজের ইস্যুটিকে সামনে আনবেন না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ঘনিষ্টরা মনে করছেন সরকার চূড়ান্ত চাপে না পড়া পর্যন্ত ইউনূসের সাথে কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না। আর এ কারণেই নিজে বাঁচার জন্য ইউনূস রাষ্ট্র এবং সরকারকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইছেন। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭