সাকিবের না থাকাকে চিন্তার কারণ বললেন নান্নু

চার বছর পর আবারও  টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। কি হবে টাইগারদের এবারের পরিকল্পনা? বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে একধরনের পেস বিপ্লব চলছে তা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। স্বাগতিকদের স্কোয়াডই পরিস্কার ধারণা পেতে যথেষ্ট। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৫ পেসারকে। তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকেও। নতুন মুখ হিসেবে হাজির হচ্ছনে মুশফিক হাসান। 

তবে আসন্ন এই সিরিজে খেলছেন না টেস্টের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আঙুলের ইনজুরিতে পড়ে আগেই ৪ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের মতো এমন একজন তারকা ক্রিকেটার দলে না থাকাকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। 

সোমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নান্নু বলেন, ‘ওয়ান অব দ্য বেস্ট প্লেয়ার (অধিনায়ক) দলে নেই, অবশ্যই এটা একটা চিন্তার কারণ। তারপরেও যারা আছে তাদের পুরোপুরি ক্যাপাবিলিটি আছে ভালো ক্রিকেট খেলার এবং দেশকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে।’

টেস্ট ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে নতুন দুই মুখকে দেখা যাবে। একজন পেসার মুশফিক হাসান এবং অন্যজন ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু। তাদের দলে থাকার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা আছে, কিছু কিছু ব্যাটসম্যানকে দেখতে হয়। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওর (দিপুর) যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। এসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। মুশফিক হাসানের ধারবাহিকভাবে ভালো বল করার সক্ষমতা আছে।’

দিপু-মুশফিক সুযোগ পেলে ভালো করবেন বলে বিশ্বাস রেখে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দু'জনই আমাদের এইচপি ইউনিটে কাজ করছে। এইচপিএর প্লেয়ার ওরা। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ পেলে ওরা নিজেদের মেলে ধরবে।’

প্রসঙ্গত, আফগানদের সাথে লাল বলে পুরোনো অভিজ্ঞতা ভালো নয় টাইগারদের। তাদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ১৪ জুন। আর রশিদ খানের দল বাংলাদেশে পা রাখবেন ১০ জুন।