ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসকে নিয়ে সুশীলদের বৈঠক


প্রকাশ: 08/06/2023


Thumbnail

কর ফাঁকির মামলার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তের পর আবার তৎপর হয়েছে সুশীল সমাজ। ড. ইউনূসকে নিয়ে সুশীল সমাজের একটি গোপন বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এই বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনীতি, সুশীলদের করণীয় এবং ড. ইউনূসের ভবিষ্যত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। উল্লেখ্য যে গুলশানের একটি বাসভবনে এই বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুশীল সমাজের অন্তত ৫ জন প্রতিনিধি। এই সাক্ষাৎ ছাড়াও ড. ইউনূসের সাথে এখন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন হোসেন জিল্লুর রহমান, বদিউল আলম মজুমদার, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ একাধিক সুশীল। যারা বাংলাদেশের বিরাজনীতিকরণের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবেও পরিচিত। এই সমস্ত সুশীলরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী একটি অবস্থান গ্রহণের জন্য তাকে প্ররোচিত করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশে এবং বিদেশে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠকে। মূলত ড.  ইউনূস তার মামলার চাপ সরকারের ওপর সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য ড. ইউনূস তিন ধাপের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রথমে তিনি তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলা এবং কর ফাঁকির মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যানরা এ বিষয় নিয়ে চিঠি দেবে। এমনকি ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। এই চিঠির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সেটির ব্যাপারেও ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে লবিং করা শুরু হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে সরকার নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দ্বিতীয় ধাপে ড. ইউনূস বাংলাদেশে যারা সুশীল বুদ্ধিজীবী রয়েছেন তাদেরকে একত্রিত করবেন। খুব শীগ্রই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুশীলরা এই বিবৃতিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা এবং অযাচিত মামলা’ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাবেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে। 

তৃতীয় ধাপে ড. ইউনূস বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এবং রাজনৈতিক দলগুলো যেন তার বিষয়ে সোচ্চার হয় সেই আহ্বান জানাবেন। উল্লেখ্য, ড. ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পালাক্রমে বৈঠক করেছিলেন এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তার সেই উদ্যোগ সেসময় ব্যর্থ হয়ে যায়। রাজনৈতিক দল গঠন না করলেও সেই সময় এক-এগোরো আনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ছিল। 

ড. ইউনূসের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রকাশ্য হলেও বিএনপির অবস্থান অনেকটাই অস্পষ্ট। ২০০৬/২০০৭ সালে ড. ইউনূসের ব্যাপারে বিএনপির এক ধরনের উচ্ছ্বাস ছিল। কিন্তু এক-এগারোর সেই উচ্ছ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বিএনপির অনেক নেতাই তাকে এক-এগারো আনার একজন কুশীলব মনে করে এবং ইউনূসের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করার পক্ষপাতী। তবে ইউনূসের মূল শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারটিকে সহজ ভেবে নেবে না। তারা নিশ্চয়ই সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ দেখাবে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭