ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সেই একই ষড়যন্ত্র: এবারও কি পারবেন?


প্রকাশ: 10/06/2023


Thumbnail

আগামীকাল ১১ জুন। ২০০৮ সালের এই দিনে সকল ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত উপেক্ষা করে জনগণের ভালোবাসায়, নিজের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং বিচক্ষণতায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার এই কারামুক্তির পেছনে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বাইরে কিছু বিবেকবান, বুদ্ধিমান, বিশ্বস্ত লোকেদের অবদান ছিল সত্যি, কিন্তু শেখ হাসিনা লড়াইটা একাই করেছেন। তার একক কৃতিত্ব, বাংলাদেশে এক-এগারোর হাত থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। তিনি সেনাসমর্থিত সরকার, যারা জগদ্দল পাথরের মতো চেপেছিল বাংলাদেশের বুকের উপর- তাদের হাত থেকে জনগণের শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তণ করেছিলেন। ঠিক ১৫ বছর পর একই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা ১১ জুন যে সাহস এবং দক্ষতার সঙ্গে নিজেকে মুক্ত করেছিলেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লড়াইয়ের যে বিজয় বার্তা দিয়েছিলেন, সেই একই পরিস্থিতিতে কি আবারও তিনি পারবেন? - এই প্রশ্নটি এখন বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে বড় প্রশ্ন।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইতিহাসটা তারও আগে। ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি; বাংলাদেশে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ওই সরকার দেশের রাজনৈতিক অশান্তি, গোলযোগের সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের নামে শুরু করে বিরাজনীতিকরণ ফর্মুলার নিপুণ বাস্তবায়ন। তারা রাজনীতিবিদদের চরিত্রহরণ করে। সব দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালু করে। বাংলাদেশকে আবার নিয়ে যেতে থাকে উল্টো পথে। ঠিক এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে শেখ হাসিনা প্রতিবাদে সোচ্চার হন, তিনি দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। 

এটিতেই তৎকালীন এক-এগারো সরকারের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তিনি। তারা মনে করেছিল, শেখ হাসিনাকে আটক করতে না পারলে, তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারলে, বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত শাসন দীর্ঘমেয়াদি করা যাবে না। আর এ কারণে প্রথমেই বিদেশ থেকে তাকে দেশে আসার পথে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু অকুতোভয় শেখ হাসিনা সেই বাধাকে অতিক্রম করে দেশে ফিরেন। এরপর শুরু হয় শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করার চেষ্টা। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় এক বছর কারান্তরীণ ছিলেন তিনি। কিন্তু কারান্তরীণ থেকেও শেখ হাসিনা অসম্ভব সাহসীকতার সাথে লড়াই করেছেন এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। 

আজকের বাংলাদেশেও যেন ঠিক একই ষড়যন্ত্র চলছে। এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের ধারায় আবার যেন বাংলাদেশ ফিরে এসেছে। এখন চলছে নতুন ষড়যন্ত্র। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আবার একটি এক-এগারো আনার চক্রান্ত করছে। বিশেষ করে এক-এগারোর কুশীলবরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এবার তারা বিএনপিকে দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। বিএনপির এখন যে আন্দোলন এবং সুশীল সমাজের যে আর্তনাদ- তা একসাথে মেলালে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি আরেকটি এক-এগারো আনারই প্রচেষ্টামাত্র। এই এক-এগারো আনলে আবার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে, আবার জনগণের অধিকার নষ্ট হবে। 

এবারও তার বিরুদ্ধে লড়ছেন শেখ হাসিনা। তিনি বার বার নির্বাচনের কথা বলছেন, গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর এ কারণেই সমস্ত চক্রান্ত শুরু হয়েছে তাকে ঘিরেই। শেখ হাসিনাই এখন প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। আর এ রকম একটি বাস্তবতায় শেখ হাসিনা কি আবারও পারবেন? -এটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭