এডিটর’স মাইন্ড

আওয়ামী লীগে ‘স্লিপ অব টাং’ রোগ


প্রকাশ: 12/06/2023


Thumbnail

মুখ ফসকে কথা বেরিয়ে যাওয়া এক ধরনের ব্যাধি। মনোবিজ্ঞানে বলেদুটি কারণেস্লিপ অব টাংরোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রথমত বেসামাল হলে। দ্বিতীয়ত প্রচণ্ড দুঃখে থাকলে।বেসামালএকজন মানুষ নানা কারণেই হতে পারে। বেশি অর্থকড়ি পেলে, যোগ্যতা ছাড়াই ক্ষমতাবান হলে কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু পেলে একজন মানুষ বেসামাল হয়ে যান। আবার সব হারিয়েও কেউ কেউ অপ্রকৃতিস্থ হয়ে বেফাঁস কথাবার্তা বলেন। কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং নেতাদের মধ্যে মুখ ফসকে বেফাঁস কথা বলার প্রবণতা বেড়েছে। এসবস্লিপ অব টাংকি নিষ্পাপ ভুল নাকি মনের গোপন অভিপ্রায়ের প্রকাশ তা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। কিন্তু নেতা-মন্ত্রীদের বেফাঁস মন্তব্য আওয়ামী লীগকে বিব্রতকর এক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কথাই ধরা যাক। গত শনিবার ( জুন) এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হবে, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের জ্ঞান বিতরণ করছিলেন আইনমন্ত্রী। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করবেন নির্বাচনকালীন তিনি একটি ছোট সরকার করতে চান, সময়ে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তারপর তিনি তার সরকার গঠন করবেন। বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার আইনমন্ত্রীর বক্তব্যশব্দ চয়নেভুল বলে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি লেখেন—‘সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী শব্দ চয়নে ভুল করেন।আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার পরপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপ্রসঙ্গটি আর এগোয়নি। কিন্তু নিয়ে আমার মনে এবং মগজে নানা প্রশ্ন। আইনমন্ত্রী দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি আইনজীবীও বটে। সংবিধানে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ, আইনের বিধিবিধান তার মুখস্থ থাকার কথা। প্রয়াত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ হাইকোর্টে একবার বলেছিলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর নাম ভুলে যেতে পারি, কিন্তু আইন ভুলে যাব না।আমাদের সংবিধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে। সংবিধানের ৫৭() অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানেনির্বাচনকালীন সরকারবলেও কিছু নেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ সংবিধান সংশোধনী করে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে গেছে। এখন বাংলাদেশে নির্বাচন হয়ওয়েস্ট মিনিস্টর ডেমোক্রেসিরআদলে। এখানে তপশিল ঘোষণার পর সরকারঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারেআপনাআপনি রূপান্তরিত হয়। নির্বাচনী আইনের বিধিনিষেধের কারণে সেই সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচন আচরণবিধি মন্ত্রীদের চলাফেরাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সীমিত করে। সরকার কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয় না। কারণ তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। বাংলাদেশে ২০১৪ ২০১৮ সালে এভাবেই নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বর্জন করে। শুধু নির্বাচনকালীন সরকার কেন? প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সময় কোনো সংসদ সদস্য বা বাইরের কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সংবিধান ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতার স্বার্থে এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ থেকেই প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে এরকম উদারতা দেখিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আলাদা করে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়নি। আগামী নির্বাচনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা বড় করবেন না ছোট করবেন, কাকে রাখবেন; তা তার একক সাংবিধানিক ক্ষমতা। সংবিধানের ৫৬() অনুচ্ছেদ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে। এটা আইনমন্ত্রী বা অন্য কারও এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে কীরকম মন্ত্রিসভা গঠন করবেন, এরই মধ্যে তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর প্রতিনিধি নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন কথা বলেই ফেলেছেন, তারপর হঠাৎ করে অসময়ে একই বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে কথা বলতে হবে কেন? সবচেয়ে বড় কথা, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে মতো এত গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর মন্তব্য আইনমন্ত্রীরমুখ ফসকেবেরিয়ে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য এবং উদ্বেগজনক বটে। আইনমন্ত্রী বেফাঁস মন্তব্য এটাই যদি প্রথম হতো, তাহলে নিয়ে এত কথা লেখতাম না। এর আগে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়েও মন্তব্য করে তিনি আওয়ামী লীগে সমালোচিত হয়েছেন। সে সময় অন্তত তিনটি অনুষ্ঠানেবেগম জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেইবলে মন্তব্য করেছিলেন। অথচ খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। তার দণ্ড রহিত হয়নি। শুধু চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই তাকে কারাগার থেকেফিরোজা থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। আইনমন্ত্রী কী চেয়েছিলেন, তা এখনো রহস্যময়। বারবার রাজনীতির জল ঘোলা কেন করতে চান, পৈতৃক সূত্রে মন্ত্রী হওয়া সৌভাগ্যবান এই ব্যক্তি? আলাদিনের চেরাগের মতো অলৌকিক প্রাপ্তিতে তিনি কি বেসামাল? তিনি কি রাজনীতিতে কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের মিশনে বারবার বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন? বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবনার দাবি রাখে। কারণ এক-এগারোর সময় আনিসুল হক সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ প্রিয়ভাজন ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তার সপ্রতিভ উপস্থিতি আমরা ভুলে যাইনি। সে সময় দুদক বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করা হতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানে আনিসুল হকের কোনো ভূমিকা ছিল না, তা হলফ করে কে বলতে পারবে? আনিসুল হকের জীবনের সেরা অর্জন তিনি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের মতো একজন কিংবদন্তি আইনজীবীর পুত্র। বাংলাদেশের আইন পেশায় অ্যাডভোকেট হক অমর নাম। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সিরাজুল হক রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলী হিসেবে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। সেই আইনি লড়াইয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের অনুজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল শুধু কারণে যে, তিনি সিরাজুল হকের পুত্র। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আসার পর আটকে যায়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। অতৃপ্তি নিয়েই ২০০২ সালের অক্টোবরে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চিরবিদায় নেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে আনিসুল হক চূড়ান্ত পর্যায়ের বিচার শেষ করেন। তখন এটা ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তার অবদান এটুকুই। অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই তিনি আইনমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতির জটিল হিসেবে তিনি কি কারও মুখপাত্র? তার বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে। অনেক কিছু পেয়ে তিনি কি বেসামাল? না হলে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক একজন মন্ত্রী বা নেতারপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগবিষয়েস্লিপ অব টাংহয় কীভাবে? আইনমন্ত্রীরথুক্কুবলা রেশ কাটতে না কাটতেই বেফাঁস বক্তব্যে ঝড় তুললেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আমির হোসেন আমু। গত জুন ১৪ দলের এক জনসভায় হঠাৎ করেই প্রবীণ নেতাজাতিসংঘ তত্ত্বহাজির করলেন। তিনি বললেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা কোথায়? জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে তার সুরাহা করা যেতে পারে।আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগের হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নেতা নন। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিল তিল করে জাতীয় রাজনীতিতে তার উত্থান ঘটেছে। রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং কৌশলে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা রাজনীতিবিদ হিসেবে স্বীকৃত। এক-এগারোর আগপর্যন্ত আমু দলের সভাপতি শেখ হাসিনার অন্যতম ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার ভূমিকাই ছিল মুখ্য। কিন্তুক্ষণিকের বিভ্রমআমির হোসেন আমুর মতো একজন ব্যক্তিত্বকে রাজনীতির মূলধারা থেকে ছিটকে দেয়। নায়ক থেকে খলনায়কে রূপান্তরিত হন। সেনাসমর্থিত এক-এগারো সরকারের সময় আমির হোসেন আমুর সহধর্মিণী ছিলেন অসুস্থ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে গিয়েছিলেন আমু। কিন্তু বিভ্রম মানুষের সব বোধবুদ্ধি এবং যুক্তিকে লোপ করে দেয়। প্রবীণ নেতার ক্ষেত্রেও তা হয়েছিল। অসুস্থ স্ত্রীকে সিঙ্গাপুরে রেখেই তিনি ঢাকায় আসেন। হয়ে যানসংস্কারপন্থি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করেন। শেখানো বুলির মতোসংস্কার প্রস্তাবপাঠ করেন। শেখ হাসিনার অন্যতম বিশ্বস্ত নেতার আচরণ ছিল দলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রায় অবিশ্বাস্য। শেষ পর্যন্ত এক-এগারো সফল হয়নি। শেখ হাসিনা তার নিজস্ব ক্যারিশমায় সব বাধা অতিক্রম করে জেল থেকে মুক্ত হন। ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও শপথ নেন। এক-এগারোর ঝড় শেখ হাসিনাকে আরও ক্ষমতাবান এবং শক্তিশালী করেছে। দলে দিয়েছে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। আর আমির হোসেন আমু রাজনীতিতে হয়ে পড়েন অপাঙক্তেয়, কক্ষ্যচুত। এক-এগারোর পর তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীর অলংকারে পরিণত হন। ২০১৮-এর নির্বাচনের পর তিনি আরও নিষ্প্রভ। এমনকি মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর তাকে ১৪ দলের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি আলো ছড়াতে পারেননি। রাজনীতির সাইডলাইনে বসে থাকা বর্ষীয়ান নেতা কীভাবে জাতিসংঘের মধ্যস্থায় সংলাপের কথা বললেন, তা নিয়ে রাজনীতিতে শুরু হলো হৈচৈ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক . হাছান মাহমুদ পরদিন আমুর প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। কিন্তু ভুলের ফাঁদে পা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।সংলাপের বিকল্প নেইবলে রাজনীতির গুঞ্জনকে আরও উসকে দিলেন। কিন্তু জুন বিকেলে পরিস্থিতি পাল্টে গেল। উল্টো পথে হাঁটলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সভাপতির উপস্থিতিতে জুনের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আলোচনার জন্য কাউকে বলা হয়নি।তিনি বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে, দাওয়াত করে এনে খাওয়াব। জুনের বক্তব্য যে আমু আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে দিয়েছেন, নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমুর মতো নেতাও যে এখন আওয়ামী লীগে গুরুত্বহীন, তা তার পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেই প্রমাণিত হলো। কিন্তু জুনের বক্তব্য আমু কার ইঙ্গিতে দিয়েছিলেন? এটি কোটি টাকার প্রশ্ন। আইনমন্ত্রীর মতো আমু রাজনীতিতে হঠাৎ আগন্তুক নন। তাই তার জাতিসংঘ ফর্মুলা রাজনীতিতে নতুন মোড়ের সংকেত দেয়। তিনি কি না পাওয়ার বেদনার কারণে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন? নাকি এক-এগারোর সংস্কার প্রস্তাবের মতোই এটি কারও শেখানো বুলি তিনি বাজারজাত করলেন? একটি নীল-নকশার গোপন বাক্স খুলে ফেললেন অজান্তেই?

আমির হোসেন আমু এবং অ্যাডভোকেট আনিসুল হক দুজনই তাদেরবিস্ফোরকমন্তব্য থেকে সরে এসেছেন। কিন্তু দুটি মন্তব্যই ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে। দুটি বক্তব্যই আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থানের বিপরীত। কাছাকাছি সময়ে দুজন নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কেনস্লিপ অব টাংকরে বসলেন? রাজনীতিতে দুজনের বিকাশ আকাশ আর পাতাল। কিন্তু দুজনই এক-এগারোর সময় পাদপ্রদীপে ছিলেন। দুজনই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছেন। দুজনই নানাভাবে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে কাজ করেছেন। বিষয়গুলো ভাবনার টেবিলে রাখাটা জরুরি।

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭