ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি পদযাত্রার নামে হাতে হারিকেন নিয়ে পথে পথে ঘুরছে: শেখ পরশ


প্রকাশ: 13/06/2023


Thumbnail

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন,‘সম্প্রতি বিএনপি বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজেদের নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে তাদেরকে বিরত রাখার জন্য এবং নিরুৎসাহিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। একাধারে চিঠি দিচ্ছে, আজীবন বহিষ্কার করছে। এতে বুঝা যায় তাদের মধ্যে বিভক্তি। কারণ অধিকাংশ বিএনপি নেতারাই নির্বাচনমুখী। বিএনপিরই একটা বিরাট অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়।’

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। 

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার পয়েন্ট, অবাধ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন বর্জন করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী আচরণ কিনা? এই অসঙ্গত আচরণের জন্য তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় কিনা? কিংবা তারা আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরে কিনা? তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্য আগেও ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পরেছিলেন। তাঁর জন্য নতুন কিছু না। তবে নির্বাচন বর্জন করার মানসিকতা তাদের নিজেদের মধ্যেই গ্রহণযোগ হচ্ছে না। তাদের নিজেদের নেতা-কর্মীরাই প্রত্যাখান করছে এই ধরণের অবাস্তব রাজনৈতিক কৌশল। তারাও বুঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি একটা অপরিপক্ক, বিভ্রান্তিকর এবং অর্থহীন দাবি। এই দাবিতে তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না। তাই তারা ঝাঁকে ঝাঁকে নির্বাচনে যাচ্ছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির একটা বিরাট অংশ দল ভাইঙ্গা নির্বাচনের দিকে দৌড়াবে।’

তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, গণমানুষের সরকার। এই সরকারকে এইসব আন্দোলন সংগ্রামের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার স্বপ্ন দেখতেছেন আপনারা। আপনারা জেগে ওঠেন। এই দিবা স্বপ্নের এখন আর সময় নাই। আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে উৎখাত করা যায় না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভিতর থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন। কোন ক্যান্টনমেন্ট থেকে গড়ে ওঠা সরকার না যে ভয় দেখালে চলে যাবে, পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার পালায় না। এদেশের মানুষকে নিয়েই বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়, তাই তারা বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। যার ফলে যে ভিসা রেস্ট্রেকশন- তাতে তাদেরকেই ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাতে তাদের লাভ হলো কি? কিছুই না। এখন তারা পদযাত্রার নামে হাতে হারিকেন নিয়ে পথে পথে ঘুরছে।’


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারা বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে মানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার হুমকি দিচ্ছে, যেখানে সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুকন্যার দিকে, বরিশালের মানুষ ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিহীন, নৌকা বিহীন বরিশালের মাটিতে কোন প্রতীকের জায়গা নেই। খুলনার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নৌকায় ভোট দিয়ে খালেক সাহেবকে মেয়র বানিয়েছে। একই আওয়াজ দেশ ও জনগণের প্রতীক, নৌকা প্রতীক আর সেই নৌকার হাল ধরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সন্তান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিএনপি-জামায়াতের। তার প্রতিবাদেই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। শান্তিময় বাংলাদেশে শান্তি ধরে রাখার জন্য যুবলীগ থাকবে রাজপথে।’ 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। সেই আওয়ামী লীগের হাল ধরেছে একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব- যাকে সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধা করে- তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত যত কথাই বলুক না কেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন। আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসিয়ে প্রমাণ করবে- এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নৌকার বাংলাদেশ।’ 

শান্তি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান প্রমুখ।    



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭