ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন গণতন্ত্রকে বাঁচাবে কে?


প্রকাশ: 14/06/2023


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি যখন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন- তখন তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। সর্বশেষ আজ তিনি ফ্লোরিডার আদালতে হাজির হন। সেখানে তার বিরুদ্ধে সাঁয়ত্রিশটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি যেন প্রার্থী হতে না পারেন- সে জন্য এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে ‘ঠক’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র আজ শঙ্কায় এবং আইনের শাসন বিলুপ্ত হয়েছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের রিপাবলিকান সমর্থকদের ৮১ ভাগই এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী করতে চায়। ফলে দেশটি একটি গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে- এমন আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। আর এর ফলেই প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন গণতন্ত্রকে বাঁচাবে কে? 

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে গণতন্ত্র ফেরি করে। তারা গণতন্ত্র কিভাবে বিকশিত হবে- সে জন্য উপদেশ দেয়, নানা রকম নির্দেশনা জারি করে। অনেক দেশেই তারা ভিসা দেবে না মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দিয়ে বলে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এরকম দেশের তালিকাও কম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সুশাসন, মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কোনো শেষ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সামাল দেবে কে? যুক্তরাষ্ট্রকে সুশাসন গণতন্ত্রের জন্য হিতোপদেশ কে দেবে? 

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভক্তি চরম আকারে পৌঁছেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান সময়কে যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি আমেরিকার জন্য শেষ যুদ্ধ। জর্জিয়া রিপাবলিকান পার্টির সমাবেশে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকার পুরো বিচার বিভাগ ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার বিজয় ঠেকাতে নিয়োজিত। তিনি বলেন, এসব লোক থামে না, তারা খারাপ এবং তাদের কাছ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। এসব অপরাধী পুরস্কৃত হতে পারে না। তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যারা কাজ করছেন- তারা সুস্পষ্টভাবে হুমকি দিয়ে উঠেছেন। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পকে যদি গ্রেপ্তার করতে হয়- তাহলে সাত কোটি আমেরিকানকে ডিঙিয়ে তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা যাবে। 

২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের একটি বড় অংশই মনে করেন যে- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা- তা হয়রানিমূলক এবং এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক মনে করেন, ২০২০ এর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি এবং ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও জালিয়াতি করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলেও মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ সদস্য। 

যে দেশের ভেতরেই এই হাল, তারা সারাবিশ্বে কিভাবে গণতন্ত্র ফেরি করে? তারা কিভাবে সুশাসন এবং আইনের শাসন নিয়ে কথা বলে?- সেটি এখন বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় বিস্ময়!



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭