চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য, কানাডায় রপ্তানি বেড়েছে। একইসঙ্গে অপ্রচলিত বাজারেও তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৪২.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৫.০৭ শতাংশ কমেছে।
শনিবার (১৭ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্যে কথা জানা যায়।
ইপিবি জানায়, এই মোট পোশাক রপ্তানির মধ্যে ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক (মোট রপ্তানির ৪৯.৭৮%) ইইউ বাজারে গেছে। যুক্তরাজ্যের শেয়ার ছিল ১০.৭৭% এবং মোট ৪.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭.৭৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১৮.১৪ শতাংশ ছিল; কানাডার শেয়ার ছিল ৩.২৬ শতাংশ এবং মোট ১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক কানাডায় রপ্তানি করা হয়েছে এবং ৭.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যার ১৮.০৪ শতাংশ শেয়ার ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। কারণ এটি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য, যেখানে জুলাই-মে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় জুলাই-মে ২০২২-২০২৩ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৯৪ শতাংশ এবং পোশাক রপ্তানি ১৯.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২১.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
জার্মানিতে উল্লেখিত সময়ে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-মে ২০২১-২০২২) তুলনায় রপ্তানি ৭.২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, রপ্তানি ৬.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৬.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
ফ্রান্স এবং ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২.০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৩.৪ শতাংশ এবং ৪৪.৮১ শতাংশ।