ইনসাইড বাংলাদেশ

‘জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’


প্রকাশ: 23/06/2023


Thumbnail

যুগে যুগে শোষণ নিপীড়নের শিকার বাঙালি জাতি বার বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সৃষ্টি করেছে অমর ইতিহাস। পৃথিবীর মানচিত্রে বার বার মাথা উঁচু করে অবাক করেছে সারা বিশ্বকে। তাইতো কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার ‘দুর্মর’ কবিতায় বাঙালি জাতিকে বাহবা জানাতে লিখেছিলেন ‘জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’। তেমনি ‘জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’- নীতিতে অটল থেকে সারা বিশ্বের বুকে বার বার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 

আজ ২৩ জুন, শুক্রবার- মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫তম বছরে পা রাখলো। আওয়ামী লীগের এই ৭৪ বছরের ইতিহাস হলো ত্যাগ, তিতিক্ষা, সংগ্রাম, আন্দোলন। আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিশ্ব রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে যতটা নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে- পৃথিবীর খুব কম রাজনৈতিক সংগঠনই এরকম নির্যাতিত হয়েছে। তারপরও দলটি আজও বাংলার মানুষের ভালোবাসায়, বাংলার মাটির বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। 

আওয়ামী লীগের উপর বার বার অত্যাচার, নিপীড়নের খড়গ আসলেও চিরযৌবনা বঙ্গ উর্বশীর বুকে চীরযৌবনা আওয়ামী লীগ আজও শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জনগণ। আওয়ামী লীগ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই সরাসরি তৃণমূলের জনগণের সাথে সম্পৃক্ত এবং এই জনগণের মধ্য থেকেই ওঠে আসা একটা সংগঠন আওয়ামী লীগ। জনগণকে সাথে নিয়ে, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোচ্চার একটি সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কোনো আরোপিত সংগঠন ছিল না, এ কারণেই জনগণের ভালোবাসা, ত্যাগ-তিতিক্ষা আর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজও বলিষ্ঠ, তেজোদীপ্ত আন্দোলনের নাম আওয়ামী লীগ। 

আওয়ামী লীগের ইতিহাস এক করুণ রক্তক্ষয়ের ইতিহাস। পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। ‌পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঢাকার ১৫০ মোগলটুলীতে অবস্থিত মুসলিম লীগের ওয়ার্কশসপ ক্যাম্পের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। ১৯৪৯ সালের মে মাসে এদেশের মুসলিম লীগের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীরা এক সম্মেলনের আয়োজন করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ নেতৃত্বের কাছে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়। এ প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ সভাপতি চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কাছে পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগ নেতৃত্বের ব্যাপারে অভিযোগ উত্থাপন করেন। কিন্তু মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি- পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগের সভাপতি আকরাম খাঁ এবং নাজিমুদ্দিন প্রমুখকে জোরলোভাবে সমর্থন করে। এতে পূর্ব বাংলার প্রতিবাদী ও তরুণ মুসলিম লীগ কর্মীরা খুবই ক্ষুদ্ধ হন। তাছাড়া পাকিস্তানের যাত্রা শুরুর পর থেকে সরকার আমলা নির্ভর হয়ে পড়ে। ফলে জনগণের সাথে সরকারের দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ছাড়াও আমলারা ক্রমান্বয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অবস্থান করে নেয়। 

জিন্নাহ গভর্নর জেনারেল হিসেবে ভারত বা ব্রিটেনের মত নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান না হয়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতার মালিক হন। রাজনীতিবিদদের তিনি বিশ্বাস করতেন না। তিনি রাজনীতিবিদদের কার্যকলাপের উপর নজরদারি করতে আমলাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তী গভর্নর লিয়াকত আলী খানও একই স্বভাবের ছিলেন। ফলে অন্তর্দলীয় কোন্দল প্রবল আকার ধারণ করে এবং মুসলিম লীগের কার্যকলাপ, ভাষা-সংস্কৃতির উপর আক্রমণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পূর্ববাংলার দূর্ভিক্ষ, সাধারণ জনজীবনে বিপর্যয় ইত্যাদি ঘটনা মুসলিম লীগের তরুণ অংশকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। দেশ পরিচালনায় মুসলিম লীগ সরকারের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দমননীতি এদেশের শিক্ষিত সমাজকে দারুনভাবে হতাশ করে ৷ এভাবে পূর্ব বাংলার সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে পূর্ববঙ্গের অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল রাজনীতিবিদগণ একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন কাজী বশিরের স্বামীবাগস্থ বাসভবন ‘রোজ গার্ডেন’-এ অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়। পূর্ব বাংলা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল এ কে ফজলুল হকও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। নব গঠিত দলের সভাপতি হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে শেখ মুজিবুর রহমান আসীন হন। 

এ রাজনৈতিক দলের ঘোষণা পত্র এবং গঠনতন্ত্রের ভূমিকায় মুসলিম লীগ সরকারের দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করা হয়। মুসলিম লীগ নেতৃত্বের ক্ষমতালিপ্সা, অগণতান্ত্রিক মনোভাব ও দমন-পীড়নের কঠোর সমালোচনা করে জনগণের দারিদ্রতা দূরীকরণ, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের সঠিক প্রতিফলনকল্পে একটি রাজনৈতিক দলের বাস্তব ও সময়োপযোগী প্রয়োজন থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।

ইতিহাস মতে, আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে এর নাম হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সংগঠনটির নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা।

কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি নানা প্রতিকূলতা, দমন, পীড়ন, নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হওয়ার পরপরই সংগঠনটির উপর মুসলিম লীগের অত্যাচার, স্টিম রোলার নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। ১৯৫৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময়ে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল। সে সময়ে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা আর মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল হারিকেন। ওই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসন চালু করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণের বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার মসনদে আসীন হতে দেয়নি। ফলে শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম। যে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং যে সংগ্রামের বলিষ্ঠ ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।   

এর পর থেকেই শুরু হয় আওয়ামী লীগের জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রাম। প্রায় দু’শ বছর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী স্বৈরশাসনে জর্জরিত এবং তাদের সেবাদাস এদেশিয় জমিদার ও মহাজনের অত্যাচার ও শোষণে নিষ্পেষিত বাংলার মানুষ রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ও শোষণের নাগপাশ হতে মুক্তির আশায় বারবার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল। অবশেষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তান নামীয় যে কৃত্রিম দেশের সৃষ্টি হয়, তাতে বাংলার মানুষের ইপ্সিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজেদের বদলে সাম্রাজ্যবাদের তলপিবাহক তৎকালীন পাকিস্তানের সামন্ত-ভূস্বামী, আমলা ও সামরিক জান্তার সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদে ঔপনিবেশিক চক্র ও তাদের দোসর ২২ পরিবারের শাসন ও শোষণে বাংলার মানুষ পুনঃনিগৃহীত হতে থাকে। উক্ত কুখ্যাত চক্র এবং ২২ পরিবারের চক্রান্তে বাংলার পাট, চামড়া ও চা রপ্তানি দ্বারা অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে সমগ্র পাকিস্তানের রাজধানী নির্মাণ, শিল্প কারখানা স্থাপন, কৃষির ব্যাপক উন্নতি সাধন, নৌ-বিমান, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ও অস্ত্রকারখানা প্রভৃতি নির্মিত হয়। 

কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদের চাকুরিতে, পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বাঙালিদের স্থান ছিল না বললেই চলে। পক্ষান্তরে, পশ্চিম পাকিস্তানের কল-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশকে একটি স্থায়ী বাজারে পরিণত করে প্রকৃত কলোনীতে রূপান্তরিত করা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের কুখ্যাত চক্রটি এদেশিয় কিছু দালাল ও তল্পিবাহকের সহায়তায় বাংলার মানুষের মুখের ভাষা, তাদের আজন্ম লালিত সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য চিরদিনের জন্য নস্যাৎ ও বিনষ্ট করে উর্দু ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সেদিনের যুবক শেখ মুজিবের নেতৃত্বে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠে; তাই পরবর্তীকালে রক্ত রঞ্জিত ভাষা আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। 

একদিকে যেমন পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদের আবরণে বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রবোধ এবং জাতিসত্ত্বা বিকাশের সকল পথ রুদ্ধ করে দেয়ার পরিকল্পিত চক্রান্ত চলতে থাকে, অপরদিকে তেমনি বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু জনগণকে সংঘবদ্ধ করার সুদৃঢ় পদক্ষেপও গ্রহণ করেন। পুঁজিপতি ভূস্বামীদের সহায়তায় পাকিস্তানী আমলা সামরিক চক্রের জারীকৃত সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তাই গড়ে ওঠে গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বিভেদ সৃষ্টির হীন মতলবে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ব্যবহার করার কূট কৌশলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান আসে বঙ্গবন্ধুর নিকট থেকে। বাংলার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানী স্বৈরশক্তির সকল ষড়যন্ত্র একের পর এক নস্যাৎ করে দিতে থাকে। বাংলার মানুষ আত্মসচেতনতা ফিরে পায়। উন্মেষ ঘটে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার। এমনি সময় গণমানুষের নেতা বাংলার শোষিত, বঞ্চিত, দুঃখী মানুষের বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন এবং স্বাধিকারের বাংলাদেশের দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন। 

এরপর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর শুরু হয় জেল-জুলুম, হুলিয়া, নির্যাতন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ব্যক্তি জীবনে ৪,৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। ব্রিটিশ আমলে স্কুলজীবন থেকে শুরু হয়েছে তারা কারাবরণ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ৭ দিন কারাভোগ করেছিলেন। বাকি ৪,৬৭৫ দিন কারা ভোগ করেছেন পাকিস্তান সরকারের আমলে। ৫৪ বছরের জীবনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সময় কারাগারেই কাটাতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনকালে বঙ্গবন্ধু ১৮ বার জেলে গেছেন এবং দুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগকেই প্রতিষ্ঠা করেননি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক সূত্রে গাঁথা।

৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগকে এক মোহনায় মিলিত করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বই শুধু নয়, বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিশেষ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন- আওয়ামী লীগ মনে হয় শেষ। কিন্তু ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখির মতো আওয়ামী লীগ জ্বলে ওঠে। এভাবে আওয়ামী লীগ বার বার জ্বলে ওঠবে- বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে ততোদিন, বাঙালি যতোদিন থাকবে ততোদিন। বাংলার মানুষ যতোদিন থাকবে ততোদিন।

জয় বাংলা-



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭