প্রকাশ: 25/06/2023
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর
থেকে বিশ্বজুড়ে আলোচিত নামগুলোর একটি ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। একটা সময়ে পুতিনের ঘনিষ্ঠ
মিত্র ছিলেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই প্রিগোজিনই পুতিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন।
হয়ে উঠেছেন বন্ধু থেকে শত্রু।
বিদ্রোহের ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার
রাজধানী মস্কো দখলের পথে পা বাড়িয়েছিল তার গঠিত ওয়াগনার গ্রুপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছেন প্রিগোজিন। একইসঙ্গে মস্কোমুখি যাত্রা বন্ধ করে নিজ
ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে ওয়াগনার সেনারা।
বিবিসি জানিয়েছে, বেলারুশের
প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মধ্যস্থতায় ওয়াগনার প্রধান মত বদলেছেন। সংকট কাটাতে
মস্কোর দিকে অগ্রসরমান সৈন্যদের থামাতে প্রিগোজিনকে রাজি করান লুকাশেঙ্কো। পুতিনের
সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই লুকাশেঙ্কো এই মধ্যস্থতা করেছেন। এক
শর্তে বিদ্রোহ থামাতে রাজি হয়েছে ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনায় সেই শর্ত জুড়ে দেন তিনি।
রাশিয়ার একটি গণমাধ্যমের সূত্র
অনুযায়ী, রুশ সরকার ও ওয়াগনার গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থতা করে একটি চুক্তির ব্যবস্থা
করা হয়েছে। যেখানে প্রিগোজিন বলেছেন, তিনি তার সৈন্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের
বিনিময়ে বিদ্রোহ থেকে সরে আসবেন।
এদিকে সরকারিভাবে এই ইস্যুতে
কোনও পক্ষই কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, গৃহযুদ্ধের
জেরে কোনও রুশ নাগরিক বা সৈনিকের রক্ত ঝরুক - তা চাননি ওয়াগনার প্রধান।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি
থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। এই অভিযান শুরুর কয়েক মাস
পর রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় রুশভিত্তিক বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার।
ইউক্রেন ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের বিনিময়ে সরকারি
বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করছেন ওয়াগনারের সেনাসদস্যরা।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭