২০ বছর পর মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পেলো লাল- সবুজের বাংলাদেশ

গেল সাফের প্রতিশোধ এভাবে নিবে বাংলাদেশ- তা কে ভেবেছিলো আগে? যেখানে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে লিড নেয় মালদ্বীপ।পরের গল্পটা শুধু লাল-সবুজের বাংলাদেশের। ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।

সাফ চ্যাম্পিয়নের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে শুরুতে ১-০ গোলে প্রথমে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পরে বিরতির আগে রাকিব হাসানরে গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।

বিরতির পর আবারো দারুণ শুরু বাংলাদেশের। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে তারেক কাজীর হেড দিয়ে দুর্দান্ত গোল করেন। বেঙ্গালুরুতে সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের এই ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে জামাল ভূঁইয়ার দল। প্রথমার্ধে ৫৬ ভাগ বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় বাংলাদেশ, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৩ শটের একটিতে গোল পেয়ে যায় মালদ্বীপ। ম্যাচের শেষে মুরাসালিন ব্যবধান আরো বাড়ায়। ফলাফল ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

এরআগে ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে ৩টি কর্নার তৈরি করে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে তারা মোট কর্নার নিয়েছে ৮টি, বিপরীতে মালদ্বীপ পায় মাত্র চারটি কর্নার।

এর কিছুক্ষণ পর বড় একটা ভুল করে বসেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। বক্সের অনেকটা বাইরে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু হেডে বল লাগাতে পারেননি ভালোভাবে। কপাল ভালো, বলটা মালদ্বীপের কারও কাছে গিয়ে পড়েনি।

৩২ মিনিটে বাংলাদেশের তপু বর্মন বক্সের মধ্যে হেডে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। দুই মিনিট পর ফয়সাল আহমেদ ফাহিম খালি জায়গা পেয়ে দুর্বল শটে সুযোগ নষ্ট করেন।

তবে বিরতির ঠিক আগে ভাগ্য ফেরে দাপুটে খেলা বাংলাদেশের। ৪২ মিনিটে সোহেল রানা উঁচু করে বল দেন বক্সের মধ্যে, তপু সেটা হেডেই পাস দেন রাকিবকে। রাকিবও দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান, ১-১ ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

বেঙ্গালুরুতে সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে জামাল ভূঁইয়ার দল। প্রথমার্ধে ৫৬ ভাগ বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় বাংলাদেশ।

দশম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ফয়সালকে বক্সের ঠিক বাইরে মালদ্বীপের এক ফুটবলার ফেলে দিলেও বাঁশি বাজাননি রেফারি। বল বাইরে গেলে কর্নার পায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে হেড করেছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু মালদ্বীপের গোলরক্ষক সেটা ধরে ফেলেন।

স্রোতের বিপরীতে খেলে ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। ডানদিক থেকে ফাসিরের পাস থেকে বক্সের বেশ বাইরে থেকে শট নিয়ে দারুণ এক গোল করেন হামজা মোহাম্মদ (১-০)। ৩২ মিনিটে বাংলাদেশের তপু বর্মন বক্সের মধ্যে হেডে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। দুই মিনিট পর ফয়সাল আহমেদ ফাহিম খালি জায়গা পেয়ে দুর্বল শটে সুযোগ নষ্ট করেন।

বাংলাদেশ একাদশ

আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোঃ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, ইশা ফয়সাল, সোহেল রানা ও রাকিব হোসেন।