ইনসাইড বাংলাদেশ

সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী?


প্রকাশ: 26/06/2023


Thumbnail

গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনজীবনে অনেক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিমত এবং অভিযোগ বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষের। এদিকে ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করলেও, তা তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি নিয়ে সমালোচনা কমতি নেই। দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদেও।

সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একাধিক সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। এর জবাবও দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটের কাছে   আত্মসমর্পণ করলেন কিনা। কারণ সংসদ সদস্যদের সমালোচনা জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, এ কথা ঠিক যে বড় বড় গ্রুপগুলোই একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। কিন্তু, একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম, সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু, তাতে যে সংকটটা হঠাৎ করে তৈরি হয়, আমাদের তো সেটা সইতে কষ্ট হয়। আমরা চেষ্টা করি আলোচনার মাধ্যমে, নিয়মের মাধ্যমে থেকে করতে। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে, বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ঠিক যে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তখন সংকট দেখা দেয়। কিন্তু সেটা সাময়িক। আমরা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না বলেই তো সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতরা আরও বেশি উৎসাহ পাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষেই বাজারে একটি পণ্যের সংকট তৈরি হলে সিন্ডিকেট গ্রুপটি অন্য আরেকটি পণ্যের কৃত্তিম সংকট তৈরি করতে উৎসাহিত হয়। আর সেটি তারা করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণেই। আর বাণিজ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা স্পষ্টই সিন্ডিকেটের কাছে তার আত্মসমর্পণ করা। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা সংকট তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙ্গাটা জরুরি।

নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ খন্ড করতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বার বার একটা কথা উঠে আসছে যে, আমি ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীরা আমার জন্য সুবিধা পাচ্ছেন। যারা এই কথাগুলো বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। তাদের রাজনীতির কত বছরের অভিজ্ঞতা আমি জানি না, আমি কিন্তু ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমি কিন্তু ব্যবসা করি আজকে ৪০/৪২ বছর।  

তিনি বলেন, একজন তো বললেন আমাকে পদত্যাগ করতে। খুব ভালো কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব আমাকে ছেড়ে তাকে দায়িত্বটা দিতে পারেন। দাম বেড়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বলেছেন মানুষ কষ্টে আছে। কারণটা কী? আমরা কি শুধু আমাদের জন্যই আমরা এই অবস্থায় এসেছি। না একটা বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। সেটাও কিন্তু আমাদের হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো কথা বলা হয়েছে, যেমন জ্বালানির কথা আসছে, জ্বালানিটা আমি দেখি না। ডিম সেটা তো আমি খবর জানি না, ডিমের দাম বাড়া বা কমার বিষয়টি, যে মন্ত্রণালয় আছে, তারা ঠিক করে দেয়। দাম বেড়েছে কোনো সন্দেহ নেই। পেঁয়াজের কথা বলা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম যাতে কৃষকরা একটু দাম পান। পেঁয়াজে আমাদের ৬ থেকে ৭ লাখ টন ঘাটতি আছে।  


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭