ইনসাইড পলিটিক্স

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ক্ষমতার মসনদ যাচ্ছে কার দখলে?


প্রকাশ: 05/07/2023


Thumbnail

আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর পাঁচ মাস বাকি। সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মাস। এর পরই গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। ২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, এই নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলাপ-আলোচনা। কেউ বলছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতার মসনদে বসতে চলেছে। আবার কেউ বলছে, বাংলাদেশের মানুষের এখন আর বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা নেই, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে। আবার কেউ বলছে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউই ক্ষমতায় আসছে না। এক-এগারো’র মতো একটি অনির্বাচিত তৃতীয় শক্তির সরকার আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার এমনই এক ত্রিমুখী আলাপ-আলোচনায় মুখর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে মুদি দোকান বা চা দোকান পর্যন্ত। বস্তুত, এই প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে ওঠেছে যে, বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ যাচ্ছে কার দখলে? 

গত ১৪ জুন (বুধবার)  জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘রেজিম চেইঞ্জ’র (ক্ষমতা বদল) কৌশলের অংশ। তারা সেন্ট মার্টিন চায়, কোয়াডে (যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের জোট) বাংলাদেশকে চায়। বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে তারা সবকিছু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই। বেশ কিছু সময় আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা কেবল দুরভিসন্ধিমূলকই নয়, তাদের ‘রেজিম চেইঞ্জ’র কৌশলের অংশ। তারা সেন্ট মার্টিন চায়, কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন করে আমি বলতে চাই, বাইডেন সাহেব, ট্রাম্পকে সামলান। আমাদের ঘর আমরা সামলাব। নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে রেখেই হবে। বিএনপির উচিত হবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।’ মেনন আরও বলেন, তারেক রহমান নির্বাচন না করে ২০২৯-এর জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি এবং অতি সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকাশ্যে বক্তব্যের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রশ্নটি বার বার আলোচনায় ওঠে আসছে। বেশ কিছু দিন থেকেই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণ আমাদের ভোট দিলে আমরা আছি, না দিলে নাই।’ তিনি বলেছেন, ‘সেন্ট মার্টিন লিজ দিলে আমার ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি দিয়েও আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না। বিএনপি কি সেন্ট মার্টিন বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায়?’ তিনি এ-ও স্পষ্ট করেছেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। বর্তমান জাতীয় সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের মধ্য থেকেই কিছু ব্যক্তিদেরকে নিয়ে ছোট পরিসরে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে এবং এই নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই প্রস্তাবে বিএনপি নারাজ। বিএনপি দাবি করছে, ক্ষমতাসীন এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যে কারণেই একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে তারা এবং সেই লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলন জমাতে না পেরে মানবাধিকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ধরনা ধরেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে কোণঠাসা করার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও যেহেতু বিএনপি সরকার বিরোধী কোনো আন্দোলন জমাতে পারেনি, সেহেতু বিএনপি সরকার গঠনে অক্ষম। বিএনপির সে জনবল এবং সাংগঠনিক শক্তি নেই যে, নির্বাচনে জয়লাভ করে রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য সরকার গঠন করে। সে কারণেই প্রশ্ন ওঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হচ্ছে? কিন্তু এই তৃতীয় শক্তিকে আনছে কারা?   

অবশ্য উদ্ভূত এই পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকেই দুষছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের জন্য বিএনপিই দায়ী। তারা এখন আন্দোলনের চেয়ে নালিশ দেওয়ায় বেশি ব্যস্ত। মূলত বিএনপি পশ্চিমা দেশগুলোর মদদে নির্বাচন বানচালের একটি ষড়যন্ত্র করছে এবং বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় মত্ত রয়েছে। আর সে ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিদেশি শক্তি বা ষড়যন্ত্রের মদদে এবং সেটিকে মোকাবিলা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু করা আওয়ামী লীগের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, নির্বাচন বন্ধ করার জন্য একটা চক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য তিনি বিরোধী দল বিএনপিকেই দায়ী করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ইতোমধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এ মাসে ঢাকা সফর করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও এ মাসে ঢাকায় আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের টিম গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে নারাজ। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে পরবর্তী সময়ে তারা কী পদক্ষেপ নিতে পারে, তাও অনেকটা স্পষ্ট করেছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা চিঠি দিয়ে তাদের প্রেসিডেন্টকে চাপ প্রয়োগ করেছেন। এদিকে র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে আরও কিছু সেক্টরে। বিশেষ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশকে বাইরে রাখার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।                      

বাংলাদেশের রাজনীতিতে উদ্ভূত এই পরিস্থিতি পশ্চিমা দেশুগুলোর কাছে বিএনপির অনবরত নালিশের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ বিএনপি প্রথম থেকেই মনে করছে, তাদের বিভিন্ন আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সবচেয়ে বড় বাধা। যে কারণেই বিএনপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন করাতে টাকা খরচ করে লবিষ্ট নিয়োগ করেছিল। বর্তমান সময়েও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে একাধিক লবিষ্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। যে কারণেই  বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রেজিম চেইঞ্জ’ বলে একটা শব্দ প্রায়ই শোনা যাচ্ছে।   

তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, এবার যত বাধাই আসুক না কেন, রাজপথের আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দলটি। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করাই তাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। আর তা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ প্রশাসনকেই মূল বাধা হিসাবে দেখছেন তারা। সেই বাধা মোকাবিলা করে কীভাবে একটি সফল আন্দোলন করা যায়, সে রকম পরিকল্পনা আঁটছেন দলটির হাইকমান্ড। নেতা-কর্মীদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। 

বিএনপি নেতারা আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় আচরণ থেকে সরে আসতে নানাভাবে কাজ করা হচ্ছে। যারা নগ্নভাবে সরকারের পক্ষে কাজ করছেন তাদের তালিকা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দূতাবাসে পাঠানো হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয়ের সৃষ্টি হবে। তবে এটা যাতে হিতে বিপরীত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে না এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া হচ্ছে। তবে যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের আইন অনুযায়ী সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জটাই হচ্ছে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যে আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি। কিন্তু সেই আন্দোলন মোকাবিলায় অতীতের মতো এবারও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বাধা হিসাবে দাঁড়াতে পারে। সেই বাধা উপেক্ষা করে কীভাবে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে আমরা পরিকল্পনা তৈরি করছি। রাজপথের আন্দোলনে যে কোনো বাধা মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের করণীয় নিয়ে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবার যত বাধাই আসুক রাজপথের আন্দোলন থেকে নেতা-কর্মীরা পিছু হটবে না। কারণ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই জয়ের বিকল্প ভাবছি না। আশা করি অতীতের মতো প্রশাসন নগ্নভাবে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেবে না। এবার বাধা দিলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব সেটা ভাবার কারণ নেই। বাধা মোকাবিলা করে কীভাবে রাজপথ দখলে রাখা যায় সেই পরিকল্পনাও আমাদের আছে। এবারের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও রাজপথে নেমে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। 

দেশকে একটি অকার্যকর এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছে বিএনপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দেশে একটি অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। তাই পশ্চিমা বিশ্বের মদদে নির্বাচন বর্জনসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। বাংলাদেশে যদি কোনো অরাজনৈতিক তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আসে, তবে তার জন্য দায়ী থাকবে বিএনপি। বিএনপির নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার সক্ষমতা নেই বলেই বিএনপি এখন হীন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। তবে এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছে দলটি। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, নির্বাচনের পথেই এগিয়ে চলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। সময় এলেই প্রমাণিত হবে, দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে টানা চতুর্থবার ক্ষমতার মসনদ দখলে যেতে পারে কি না আওয়ামী লীগ?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭