ইনসাইড বাংলাদেশ

আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গে যা বললেন অর্থমন্ত্রী


প্রকাশ: 07/07/2023


Thumbnail

‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নামটা অনেক বড়। কিন্তু কি দিয়েছে জানেন? আমাদের দুই মাসের প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) সমান অর্থ।’ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে যখন এসব কথা বলছিলেন, সাংবাদিকেরা তখন তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে এ ঋণ নেওয়ার দরকার কি ছিল? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ কত দিন থাকবে...যেভাবে আমাদের ঘাটতি পড়ছিল, আমরা যেসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করি..., আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি।’

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আইএমএফ, মূল্যস্ফীতি, মাথাপিছু আয়, কাঁচা মরিচের দামসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করি (২০০৯) তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। এ থেকে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। কেউ না খেয়ে নেই। আর মূল্যস্ফীতি শুধু টাকার অঙ্কে গুনছি না। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ কোটি ২৬ লাখ পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যাদের খাবার নেই তাদের খাবার দিতে হবে। আমরা খাবার দিচ্ছি। ভ্যাট মাফ করতে হবে, আয়কর কম নিতে হবে। সে কাজটি আমরা করছি।’

মানুষ না খেয়ে নেই কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে মানুষ তো কষ্টে আছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ কষ্টে আছে সারা বিশ্বে। আমরা বিশ্বের বাইরে নই। আমাদের হাতে কিছু করার নেই, যা আছে তা দিয়ে চেষ্টা করছি। এতে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আরও ভালো অবস্থানে রাখতে পারলে আরও খুশি হতাম।’

কৃচ্ছ্রতা থেকে আমরা কবে নাগাদ বের হতে পারব, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোন জায়গায় খারাপ দেখেছেন। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি ব্যাংক ব্যর্থ হয়েছে। এতেই বোঝা যায় বিশ্ব অর্থনীতি কোন জায়গায় গেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি যদি বিবেচনা করেন, তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে যে আমাদের অর্জন অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক অনেক ভালো।’

জাইকার প্রতিনিধিদল তাদের প্রকল্পগুলো কী অবস্থায় আছে, তা দেখতে এসেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, জাইকার কিছু নতুন প্রকল্পও আসবে। তবে নতুনগুলোর অধিকাংশই হবে প্রযুক্তি সম্পর্কিত।

২০২০–২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সামস্টিক অর্থনীতির চিত্র সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন মাথাপিছু আয় নিয়ে সবাই সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। মাথাপিছু আয় ২০২০-২১ অর্থবছরের ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭