প্রকাশ: 09/07/2023
পৌনে ৩১ ঘণ্টা চুমুর মধ্য দিয়ে রেকর্ড করেন ইসরায়েলের কারমিত জুবেরা ও রোর অরপাজ যুগল। ১৯৯৯ সালে রেকর্ড গড়ে পুরস্কার হিসেবে
বিশ্বভ্রমণ ও আড়াই হাজার ডলার জিতেছিলেন এই যুগল। যদিও রেকর্ডটি করার পর অচেতন অবস্থায়
দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাদের।
এরপর ২০০৪ সালে দীর্ঘস্থায়ী চুমুর রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় নামেন ইতালির তরুণ আন্দ্রেয়া সারতি ও তার প্রেমিকা থাইল্যান্ডের নাগরিক আন্না চেন। কিন্তু টানা ৩১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট অবিরত চুমুর পরে অসুস্থ হন তারা। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়েছিল তাদের।
২০১৩ সালে সবশেষ এই রেকর্ড ভাঙেন এক্কাচাই ও লাকসানা তিরানারাত
নামে থাইল্যান্ডের এক যুগল। তবে ওই বছর থেকে রেকর্ডটি রাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন দীর্ঘস্থায়ী চুমুর বিশ্ব রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, চুমুর মধ্যে
বিরতি না থাকা ও পাল্লা দিয়ে রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় অংশগ্রহণকারীদের
সাইকোসিসের মতো নিদ্রাহীনতাবিষয়ক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রবণতাও বাড়ছিল।
চুমুর রেকর্ড গ্রহণের ক্ষেত্রে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের
দেওয়া শর্তগুলো ছিল অনেক কঠিন। এ রেকর্ড করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থও হন। হাসপাতালে নেওয়ার
ঘটনাও ঘটেছে।
শর্তগুলোর মধ্যে প্রথমটি ছিল চুমু হতে হবে অবিরত এবং দুজনের
ঠোঁট আলাদা হওয়া যাবে না। ঠোঁট আলাদা হলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ। যদিও ছোট পাইপ দিয়ে
তরল নেওয়ার সুযোগ ছিল।
অন্য শর্তগুলো হলো চুমুর পুরো সময় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া
যুগলকে জেগে থাকতে হবে। থাকতে হবে দাঁড়িয়ে এবং কোনো কিছুতে হেলান বা কোনো কিছুর সাহায্য
নিয়ে দাঁড়ানো যাবে না। চুমুর মাঝখানে কোনো বিরতি থাকবে না। টয়লেটে যেতে পারবেন, তবে
সেটা চুমুরত অবস্থাতেই।
প্রতিযোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় দীর্ঘস্থায়ী
চুমুর বিশ্ব রেকর্ড রাখা বন্ধের পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ‘দীর্ঘস্থায়ী
চুমুর ম্যারাথন’ নামে
নতুন একটি প্রতিযোগিতা চালু করে। আগেরটির চেয়ে এর প্রধান পার্থক্য এ ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা
পরে পাঁচ মিনিটের জন্য বিরতি দেওয়া হয়।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭