ইনসাইড হেলথ

যে সহজ ৭ টি উপায়ে প্রশমিত হবে ডেঙ্গুর ঝুঁকি


প্রকাশ: 10/07/2023


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বৃষ্টির সময় আরও বেড়ে যায় ডেঙ্গুর প্রকোপ, কারণ স্থির পানিই মশার প্রজননক্ষেত্র। ডেঙ্গু মূলত একটি মশাবাহিত রোগ। আর ডেঙ্গু জ্বয় হয় মশার কামড়ে এবং ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব ও বমির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে সেই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তাই ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা সকলের জন্য জানাটা খুবই জরুরি।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহজ ৭টি উপায় তুলে ধরা হলো:-

১. বাড়ির দরজা-জানালা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ রাখা:

ভালোভাবে বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হবে যেন বাড়িতে কোনো মশা প্রবেশ করতে না পারে। এডিস মশা সাধারণত সকাল এবং সন্ধ্যায় বেশি কামড়ায়। তাই এই সময় বাড়ির জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরের দরজা, জানালায় ও ভেন্টিলেটরে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করলে আরও নিরাপদ থাকা যায়।

২. মশার বাসস্থান কমাতে হবে:

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, যেমন ফুল গাছের টব, অব্যবহৃত প্লাস্টিকের ঢাকনা, ডাবের খোসা, পাত্রে জমা পানি, পোষা প্রাণীর খাবারের পাত্র ইত্যাদি স্থানে ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা বংশবিস্তার করে । এসব স্থানে মশার আনাগোনা কমাতে হবে। তাই ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ফেলে দিতে হবে। অব্যবহৃত গাড়ির টায়ারে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে।

৩. কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না:

ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা বংশবিস্তার করে জমানো পানিতে। তাই বাড়ির আশেপাশে কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত বাড়ির আশেপাশে দেখতে হবে কোথাও পানি জমে আছে কিনা। ট্যাংকের পানি ব্যবহার করার সময় ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, ফুলের টবে ও মাটির পাত্রে সামান্য পানি জমে থাকলে তা-ও নিষ্কাশন করুন।

৪. ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার:

মশার কামড় থেকে বাঁচতে নিয়মিত দিনে ও রাতে মশারির নিচে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে দুই স্তর বিশিষ্ট মশারি ব্যবহার করা ভালো।

৫. প্রতিরক্ষামূলক পোশাক: 

মশার কামড় থেকে বাচঁতে লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক, ফুল প্যান্ট, মোজা এবং জুতা পরিধান করুন। বাচ্চাদের স্কুলের ড্রেসে ফুলহাতা শার্ট, ফুলপ্যান্ট ও মোজা পরালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব। মশা বেশি যেখানে সেখানে এই পোশাকগুলো আপনার জন্য প্রতিরক্ষামূলক কাজ করবে।

৬. মশা নিধনের ব্যবস্থা: 

মশা নিধনের জন্য স্প্রে, কয়েল, ব্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের জন্য মশার প্যাচ, মশার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। মশা প্রতিরোধের স্কিনকেয়ার পণ্যও ব্যবহার করতে পারেন।

৭. ঘর সবসময় আলো বাতাসপূর্ণ রাখা:

মশা সাধারণত অন্ধকার এবং স্যাতঁস্যাতেঁ স্থানে দেখা যায়। ঘরে মশার প্রবেশ বন্ধ করতে ঘর সবসময় আলো বাতাসপূর্ণ রাখাটা জরুরি। তাহলে মশার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

ডেঙ্গুর উপসর্গ লক্ষ্য করলে খুব বেশি দিন ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর না করে দ্রুত পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ডেঙ্গুর প্রাথমিক উপসর্গ থেকেও সহজে নিস্তার মেলে। এজন্য এ সময় অবশ্যই ডায়েটে সাইট্রাস জাতীয় খাবার, রসুন, বাদাম, হলুদ ও আরও অনেক কিছু যোগ করতে হবে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭