এডিটর’স মাইন্ড

আমলারা কি সংসদও দখল করবে


প্রকাশ: 10/07/2023


Thumbnail

গত জুলাইকালবেলায়একটি খবর আমাকে আতঙ্কিত করেছে। শুধু আমি কেন, যে কোনো বিবেকবান নাগরিক খবরে আতঙ্কবোধ করবেন।চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সচিবের নির্বাচনী প্রচার’—শিরোনামে প্রতিবেদনে, দায়িত্ব পালনরত এক সচিব তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদের ছুটিতে গিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছেন। যদিও ওই সচিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে এলাকার সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তার বিভিন্ন বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তবে সচিব একা নন, একটু খোঁজ নিলেই দেখা যায় অন্তত ২০০ আমলা এখন নির্বাচনের মাঠে। তাদের বেশিরভাগই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট চান। অবসরে চলে যাওয়া আমলারাই মনোনয়ন মিছিলে এগিয়ে। অনেকে আছেন যারা অবসরকালীন প্রস্তুতির ছুটিতে থেকেই নির্বাচনী মাঠে। একজন আমলা ৫৯ বছর বয়সে পিএলআর বা অবসরকালীন ছুটিতে যান। এক বছর তাকে রাষ্ট্র বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেয়। সময় তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ তার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। সময় তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু একজন সদ্য অবসরে যাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ একাধিক অবসর-প্রস্তুতি ছুটিতে থাকা আমলারা এখন রাজনীতি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বাধা দেওয়া তো দূরের কথা, নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছেন না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা একজন সরকারি চিকিৎসক আওয়ামী লীগের কমিটিতেও ঢুকে পড়েছেন। আগামী নির্বাচনে সরকারের ওই বেতনভুক কর্মচারী ফরিদপুরের একটি আসন থেকে প্রার্থী হবেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। যেভাবে মনোনয়নযুদ্ধে বীরদর্পে আমলারা ময়দানে নেমেছেন, তাতে আমি উদ্বিগ্ন শঙ্কিত। রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান দখলের পর এবার কি আমলারা জাতীয় সংসদও দখল করবেন?

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর নির্বাচন করতে পারেন না। কিন্তু আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক রিট পিটিশন এখন হাইকোর্টে। ধারণা করা হচ্ছে, আইন বাতিলের ব্যাপারে আমলারা একজোট হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রে আমলাতন্ত্রের বাড়বাড়ন্ত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আমলারা এখন সবকিছু নিজেদের করায়াত্তে নিয়েছেন। ব্যাংকপাড়ায় আমলাতন্ত্রের পতাকা সগৌরবে উড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে শুরু করে প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব বা আমলা। এমনকি কৃষি ব্যাংক কিংবা রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের মতো বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো পর্যন্ত আমলাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সাধারণ বীমা, জীবন বীমার মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমলাদের অবসরোত্তর ক্লাবে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রায় সব কমিশনের দায়িত্ব এখন আমলাতন্ত্রের হাতে ন্যস্ত। তাদের চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। অতএব, নির্বাচন কমিশন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন; পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে তথ্য অধিকার কমিশনসর্বত্র আমলাদের জয়-জয়কার। আমলারা সব জানেন, সব পারেন। তারা ছাড়া এসব কমিশন রক্ষা করবে কে?

আমলাদের মধ্যে একশ্রেণির আমলা আছেন সৌভাগ্যবান এবং অতিশয় চতুর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ এমন কথাবার্তা বলেন, যা শুনলে মনে হয়, তারা শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ। কিন্তু একটু কষ্ট করে এসব মহান আমলার অতীত অনুসন্ধান করলে পাওয়া যায় অন্য ইতিহাস। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও তারা বেশ আরাম-আয়েশে ছিলেন। তখন সাফারি স্যুট পরে, দিব্যি জিয়ার মতো পোশাক পরে চাকরি করেছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একদিন বিশেষ কাজে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বিভাগের সচিবের দপ্তরে গেলেন। সচিব হাত কচলিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকে স্বাগত জানালেন। বললেন, স্যার আমাকে চিনতে পেরেছেন? মির্জা আজম বললেন, আপনাকে চেনা চেনা লাগছে। আগে কোথায় দেখা হয়েছিল বলুন তো। সচিব এবার বিগলিত হাসি হেসে বললেন, স্যার আমি তো আপনার নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট ছিলাম। এবার চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠলেন আওয়ামী লীগের ছয়বারের এমপি। বললেন, আপনি সেই বিএনপির ক্যাডার না। যিনি ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে আমাকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। আপনি সচিব হয়ে গেলেন কীভাবে? মির্জা আজম ওই ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন এভাবে, ২০০১-এর নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগের দিন মির্জা আজমকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে যিনি গুরুত্বপূর্ণ সচিব) তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অর্থাৎ পরদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আর মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। ফলে বিএনপি প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্দেশে বিএনপির ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ওই আমলা। শেষ পর্যন্ত জনগণের ঘেরাওয়ের মুখে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন অন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট। মির্জা আজম মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচন করেন এবং প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচন করেও জয়ী হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই আমলা ভোল পাল্টাতে সময় নেননি। তরতর করে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সচিব হয়েছেন। মির্জা আজম বিএনপি ক্যাডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। তাতে লাভ হয়নি। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এরকম কমবেশি মুখোশধারীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাদের মধ্যে চাটুকারিতা এবং তৈল মর্দনের প্রতিযোগিতায় যারা ভালো করেন, তাদের জন্য তো পুরস্কার আর পুরস্কার। এক মহাপ্রভাবশালী আমলা, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে কাটালেন। দেশে ফিরে সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠে গেলেন আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ শিখরে। এরপর পেলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাগিয়ে নিলেন বিদেশে লোভনীয় চাকরি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আবার এলে তিনি উপদেষ্টা হবেন। আর আওয়ামী লীগ যদি প্যাদানি খায়, তিনি বিদেশেই থেকে যাবেন। কোনো কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। এরকম সুযোগসন্ধানী আমলার সংখ্যা এখন বাড়ছে। দেশে যখন অর্থনৈতিক সংকট তীব্র, তখন অর্থের দায়িত্বে থাকা আমলা বিদেশে লোভনীয় নিয়োগ নিলেন। দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজের ক্যারিয়ারই তার কাছে মুখ্য। আমলারা এরকমই। সুবিধাবাদীরা বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। তাদের অবসর গ্রহণের ফুরসত নেই। যারা চুক্তিতে নিয়োগ পান না, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন কমিশন এবং নানা প্রতিষ্ঠান আছে তাদের অবসরকালীন সময় কাটানোর জন্য। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছেন আমাদের সর্ববিষয়ে পণ্ডিত আমলারা। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাদের পাণ্ডিত্য নেই, দক্ষতা নেই। ২০২০ সাল থেকে জেলার দায়িত্বে আমলারা। করোনা মোকাবিলায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সে সময় সচিবদের জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, মাঠপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্যই সাময়িক সিদ্ধান্ত কিন্তু এখন করোনা নেই, জেলার দায়িত্বে আমলারা বহাল তবিয়তে আছেন। আমলারা কিছু পেলেই হলো। তা সারা জীবনের জন্য নিজেদের দখলে রাখার ফন্দি-ফিকির হলো আমলাতন্ত্রের অব্যর্থ আবিষ্কার। জেলার দায়িত্বে থাকা আমলারা ধীরে ধীরে অনুভব করলেন, তিনিই তো সব। জেলার এমপির তো কোনো ক্ষমতাই নেই। সচিবের কথায় জেলা প্রশাসক ত্রাণ বণ্টন করেন, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। সচিব ভাবলেন, এমপির আর দরকার কি? আমিই তো এমপি হতে পারি। জেলা প্রশাসক বা ইউএনও দেখলেন, এমপি, কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যানের কথা শুনে তো লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। সচিবের নির্দেশ শুনলে তো পদোন্নতি হবে। আর রাজনীতিবিদরা তো ক্ষমতাহীন। ধীরে ধীরেআমলাতন্ত্রজেলা এবং উপজেলায় পল্লবিত হলো এভাবেই। এখন জেলায় কিংবা উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য কিংবা জনপ্রতিনিধিদের চার পয়সার দাম নেই। জেলা প্রশাসক আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এখন জনপ্রতিনিধিদের ফোন পর্যন্ত ধরেন না। এরকম অভিযোগ জাতীয় সংসদে একাধিক সংসদ সদস্য করেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা বড়-মাঝারি-ছোট আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে করতে ক্লান্ত। একমাত্র জায়গা যেখানে আমলাদের তেমন আধিপত্য ছিল না তা হলোরাজনীতি নির্বাচন। আমলারা এখনো বাংলাদেশে ভালো রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে পারেননি। রাজনৈতিক দলেরম্যানেজারহিসেবে অনেকেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু কেউ নেতা হতে পারেননি। প্রয়াত এইচ টি ইমাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু সেটি রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়। আমলাতন্ত্রের ফাইল, নোট ইত্যাদি বিষয়গুলোকে রাজনীতিতে তিনি নিপুণভাবে সংযুক্ত করেছিলেন। তবে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ কিংবা বেগম মতিয়া চৌধুরীর মতো তারকা হতে পারেননি। বিএনপির মধ্যে প্রয়াত এম কে আনোয়ার অনেক প্রভাবশালী ছিলেন। কিন্তু তিনিও বিএনপিতে ম্যানেজারের কাজই করতেন। জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সময়ে আমলারা এসেছেন বটে, কিন্তু কেউ আলো ছড়াতে পারেননি। রাজনীতির সহজাত স্বতঃস্ফূর্ত কখনোই আমলাদের মধ্যে থাকে না। জন্যই কি আমলাদের রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের ওপর এত রাগ? এত আক্রোশ? আমরা যদি গত ১৪ বছরের রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যক্রমের পোস্টমর্টেম করি তাহলে দেখব, আমলারা বিরাজনীতিকরণের একটি গোপন ব্যাধি রাষ্ট্রের ভেতরে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ, অশিক্ষিত, প্রজ্ঞাহীনএমন একটি পরিকল্পিত প্রচারণা আমলারা গত ১৪ বছর ধরে করে যাচ্ছেন। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো গোপনে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কালিমা লিপ্ত করে আমলারা রাষ্ট্রেরচাকরথেকেপ্রভুতে পরিণত হতে চান। এজন্য সবকিছু দখলের পরও তারা তৃষ্ণার্ত। এজন্যই ২০১৮-এর নির্বাচন তারা পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। ২০১৮-তে বিশ্বের সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ জিতত। কিন্তু আমলারা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেননি। এটি ছিল গণতন্ত্র এবং নির্বাচনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমলাতান্ত্রিক ক্যু। ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আজ নির্বাচন নিয়ে এত অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হতো না। তারা ২০১৮ সালে কিছু কাণ্ড করে আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিরত ব্ল্যাকমেইল করছে। রাষ্ট্রের সবকিছু দখল করে নিয়েছে। রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের মিশন শেষ করে আমলারা এবার জাতীয় সংসদও দখল করতে চান। জাতীয় সংসদকেও অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের ক্লাবে পরিণত করতে চান। বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের দৃশ্যমান রূপ হলো এক সচিবের নির্বাচনী সভা। যে সভায় তিনি রাজনীতিবিদ এমপিকে দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য বলেছেন। আমলারা সাধু এবং ধোয়া তুলসীর পাতা হলেন কবে? কানাডার বেগমপাড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা যুক্তরাজ্যে আমলাদের বাড়িঘর কিংবা সম্পত্তি কি বৈধ পথে উপার্জিত? নির্বাচন করার বিপুল অর্থ একজন নির্দিষ্ট বেতনে চাকরি করা সরকারি কর্মচারী পাবেন কোত্থকে? প্রশ্নগুলো আজ করতে হবে সাধারণ নাগরিকদেরই। আমলাতন্ত্রের রাজত্বে সরকারি কর্মচারীরা সবকিছু থেকেই আইন করে দায়মুক্তি নিয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণের ওপর আমলাদের খবরদারি রুখতে হবে এখনই। তা না হলে বিপন্ন হবে গণতন্ত্র। জনগণ হারাবে তার অধিকার।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭