২৩ শর্তে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছিল বিএনপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদরদপ্তর থেকে এক চিঠিতে ২৩ শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার এই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেই ২৩ শর্তের মধ্যে ৭টি শর্ত অমান্য করেছে দলটি।
বুধবার (১২ জুলাই) বেলা ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সে সমাবেশ শুরু করে দলটি। কিন্তু ডিএমপির ২৩ নির্দেশনার মধ্যে ৭টি নির্দেশনা মানেনি বিএনপি।
ডিএমপির ২৩ শর্তের ৬ নম্বরে বলা হয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ আগত নেতাকর্মীদের চেকিং করার জন্য কোনো মেটাল ডিটেক্টর রাখা হয়নি।
ডিএমপির ৪ নম্বর শর্তে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সমাবেশে আইডি কার্ডসহ কোনো স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। তবে, দলটির কিছু নেতাকর্মী সমাবেশে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কাজ করেছেন।
ডিএমপির ৫ নম্বর নির্দেশনা বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চার দিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেনি।
ডিএমপির ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখেনি।
ডিএমপির ১৫ নম্বর শর্তে বলা হয়, অনুমোদিত সময়ের মধ্যে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। কিন্তু বেলা সাড়ে ৫টায় সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য শুরু করেন।
ডিএমপির ১৬ নম্বর শর্তে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। ফলে, বেলা ১১টার পর থেকে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়গামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর বেলা ১টার পর থেকে কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় দিকে সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।