ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাপানিকন্যা সুমাইয়া এখন বাংলাদেশের


প্রকাশ: 15/07/2023


Thumbnail

সুমাইয়া মাতসুসিমা হলেন বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ফুটবলার- যার মা বিদেশী, বাবা বাংলাদেশী। এর আগে গতবছর পুরুষদের লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় তারিক কাজীর। তার বাবা বাংলাদেশী, আর মা হলেন ফিনল্যান্ডের নাগরিক। জাপানী মায়ের মেয়ে সুমাইয়ার গত পরশু অভিষেক হয় বাংলাদেশ দলে। নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামেন বদলী হিসেবে ৭৯ মিনিটে। সেই অভিষেকের অভিজ্ঞতাই জানাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড।

বাংলা ভালো বলতে পারলেও লিখতে পারেন না। তবে বাংলা ভাষা বা বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্কটা এখন বেশ নিবিড়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা জাপানের নাগোয়া শহরে হলেও মাতসুশিমা সুমাইয়া এখন পুরোদস্তুর বাংলাদেশি।

গত দুই মৌসুমে তিনি নারী ফুটবল লিগে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসে। সর্বশেষ লিগে ম্যাচ খেলেছেন কয়েকটি, গোলও করেছেন। এরপর বাংলাদেশ দলের হয়ে সুমাইয়ার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে গত পরশু। কমলাপুর স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান কোচ। তাতেই পূরণ হয়ে যায় সুমাইয়ার একটা স্বপ্ন। ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের হয়ে খেলব। আমার স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমি ভীষণ খুশি,’ কমলাপুর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে গতকাল বলছিলেন ২৩ বছরে পা দেওয়া সুমাইয়া।

জন্ম জাপানে হলেও দুই বছর বয়সে চলে আসেন ঢাকায়। রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টুর্নামেন্টে নিজ স্কুলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুমাইয়া। সেই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোল করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি।

মাঝে তিনি ইনজুরিতে পড়েছিলেন। চিকিত্সকরা ফুটবল না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমাইয়া ফুটবল খেলা ছাড়েননি। করোনা প্রকোপের মধ্যেও প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অনুশীলন করে নিজেকে ফিট করে তুলেছেন। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম আজ তাকে ঠাঁই করে দিয়েছে জাতীয় দলে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭