লিভিং ইনসাইড

জীবনের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম ‘মা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 08/03/2018


Thumbnail

জীবনে যতো ঝড় আর ভোগান্তি আসুক, একটা ছায়া আপনাকে সবসময় আগলে রাখবে। সেটা হলো মা। এই ছোট্ট শব্দেই যেন লুকিয়ে সন্তানের গোটা পৃথিবী। প্রথম চোখ মেলা, প্রথম কথা বলা, প্রথম হাঁটতে শেখা, দুনিয়াকে চিনতে শেখাটা মায়ের সঙ্গেই।

অথচ একটা সময়ে সব কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যেতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নাড়ির এ টান আলগা হতে থাকে। বয়স যত বাড়ে, বাইরের মোহময় হাতছানিগুলিই যেন মানুষের জীবনে প্রাধান্য পেতে শুরু করে। কিন্তু প্রত্যেক উত্থানের পতনও থাকে। আর এই পতন যখন হয়, তখনই ফের পায়ের তলায় মাটি খোঁজে মানুষ। ফিরে যায় নিজের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। অর্থাৎ মা‘কে তখন খুব বেশি মনে পড়ে।

কি সেই চাপ আর দুঃসময় গুলো, যখন মা‘কে অনেক বেশি মনে পড়ে, অনেক বেশি কাছে পেতে ইচ্ছে করে, তার মুখটা শুধু চোখে ভাসে?

পরীক্ষার চাপ

যখন কোনো পরীক্ষার চাপ মাথায় থাকে তখন মাথায় কিছুই কাজ করেনা। চিন্তা আর অস্থিরতায় খাওয়া আর ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। তখন একমাত্র মা‘ই কাঁধে রাখে ভরসার হাত। ‘চিন্তা নেই, সব ঠিকঠাক থাকবে’- এই কথাটা মায়ের হাসিমুখ থেকে শোনার পরে চাপ আর চিন্তা থেকে অনেকটাই হালকা হয়ে যাওয়া যায়।

বিচ্ছেদ

এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যিনি প্রেম করেছেন অথচ ব্যথা পাননি। আর ব্যথা পেলে সবার আগে মায়ের কথাই মনে পড়ে। মায়ের মতো এমন কেউ নেই যিনি আপনার মনের কথা সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারেন। তাঁর কাছেই মনের সব কথা খুলে বলা যায়। আর এই মানুষটাই আপনাকে সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারেন।

প্রথম চাকরি

প্রথম চাকরি মানেই জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। বন্ধু-বান্ধব তো অনেক আছে। কিন্তু দেখবেন, জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে যে মানুষটা পাশে ছিলেন তাঁকেই সকলের আগে খবরটা দিতে ইচ্ছে করবে। হ্যাঁ, সবার আগে মা‘কেই জানাতে ইচ্ছে করবে।

অফিসের টেনশন

অফিসটা যেন দিনের পর দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আপনারই চারদিকে রাজনীতির খেলা চলছে। তাতে যেন না চেয়েও ফেঁসে যাচ্ছেন। যে কোনও মুহূর্তে চাকরি চলে যেতে পারে। সামাজিক সম্মানের কী হবে? এই প্রশ্ন বাড়িতে এসেও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কাউকে কিছু বলতেও পারছেন না। যখন-তখন রেগে যাচ্ছেন। কেমন করে যেন মা টের পেয়ে গেলেন। পৃথিবীকে আপনার চেয়ে অনেক আগে থেকে দেখছেন তিনিই। পরামর্শ চেয়ে দেখুন, তার চেয়ে ভালো সমাধান আর কেউ দিতে পারবে না।

দাম্পত্য কলহ
শ্বশুরবাড়ি সুখের হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। অনেক মেয়েই সমাজ, পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে চুপ করে সহ্য করেন। কিন্তু তা চুপ করে থাকার বিষয় নয়। অন্য কারও কাছে পরামর্শ নেওয়ার বিষয়। আর এক্ষেত্রে মায়ের মতো বন্ধুর কোনও বিকল্প নেই। মা-ই আপনাকে নিরপেক্ষভাবে বলতে পারবেন কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭