গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিগগির দলে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এমন ইঙ্গিত পেয়েছেন জাহাঙ্গীর ও তাঁর মা গাজীপুর সিটির মেয়র জায়েদা খাতুন। মা-ছেলে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিটের সাক্ষাৎ হয় তাদের।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দুপুরে গণভবনে যান জায়েদা খাতুন। সঙ্গে নিয়ে যান ছেলে জাহাঙ্গীরকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্রথমে কুশলাদি বিনিময় হয়। অন্যান্য আলাপের মাঝে জাহাঙ্গীরের প্রসঙ্গ তুলে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে তো আপনার ছেলে (জাহাঙ্গীর)। আপনার ছেলেকে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি।’
সূত্র জানায়, জায়েদা খাতুন যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন জাহাঙ্গীর কেঁদে ফেলেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজনীতি থেকে তাঁকে সরিয়ে দিতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা যেসব অভিযোগ করছে, তার কোনো সত্যতা নেই।
এ সময় জাহাঙ্গীরকে কাঁদতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যাও, সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করো। আমি দেখব।’
পরে জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজীপুরের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। গাজীপুরের মানুষের জন্য কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উন্নয়নের জন্য তাঁর সহায়তা চেয়েছি। তিনিও সব সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের সাতদিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে ফের তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। মা জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন।