ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ-ভারত কি ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারে?


প্রকাশ: 20/07/2023


Thumbnail

ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান অনুপস্থিত। গত এক দশকে চীনের বৈশ্বিক দৃঢ় অবস্থানে যখন ভারত মহাসাগরের পানি বাড়তে শুরু করে, তখন দেশটি পশ্চিম থেকে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে নজর দিচ্ছে। বাংলাদেশে যেহেতু স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং সেখানকার অর্থনীতি যেহেতু দ্রুত বর্ধনশীল, সেহেতু ভারতের প্রতিবেশী নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসহ একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটিতে ভারতীয় বিনিয়োগও বৃদ্ধি পেয়েছে। রত্নদীপ চক্রবর্তী ও একামপ্রীত কাউর: লেখকদ্বয় কৌশলগত সম্পর্কবিষয়ক প্রতিষ্ঠান দ্য অনেস্ট ক্রিটিক-এর সঙ্গে যুক্ত; এশিয়া টাইমসে তারা মত প্রকাশ করেন যে, ভারত থেকে লাইন অব ক্রেডিট বা নমনীয় ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগণ্য বাংলাদেশ। ২০২২ সালে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা বেড়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত ২৫ বছরের জন্য ঝাড়খণ্ডের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্যও বাংলাদেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে– তেজস হালকা যুদ্ধবিমান ও ধ্রুব হালকা হেলিকপ্টার, সুরক্ষামূলক গিয়ার ছাড়াও রয়েছে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি যৌথ সহযোগিতামূলক নীতির ভিত্তিতে তৈরি; ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা দেশটি এড়িয়ে চলতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হলো– ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। এ বছরের ২৪ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি দেশটির বৈদেশিক নীতির আলোকে ‘অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইন্দো-প্যাসিফিক’ অঞ্চলের কথা ঘোষণা করেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের ‘ভিশন ২০৪১’-এ ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য নিরূপিত, তার মিল রয়েছে।

বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখার সঙ্গে ভারতের এ বিষয়ক রূপকল্পের সাযুজ্য রয়েছে। ভারত মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিকের পক্ষে। যদিও ভারত নিরপেক্ষ বলে দাবি করে; এতে পশ্চিমা প্রভাব রয়েছে। পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে যুক্ত করার চেষ্টা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অংশীদার হওয়ার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে তারা অনেক দূর এগিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ১৫-দফা দৃষ্টিভঙ্গি নীতি নথি সহ একটি ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের রূপরেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অঞ্চলের জন্য দেশটির নির্দেশিকা ও উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দরটি জাপান ও ভারতের কাছে অত্যন্ত কৌশলগত গুরুত্বের বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম গভীর-সমুদ্র বন্দরের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব গত মার্চে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ভারত সফরের সময় স্পষ্ট হয়েছিল কারণ বন্দরটি টোকিওর ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ তক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

একই মাসে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি কৌশলগত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ১৬৫ বিলিয়ন ইয়েন ($১.২ বিলিয়ন) নতুন ঋণ দিতে সম্মত হয়। নয়াদিল্লি সফরকালে কিশিদা বলেছিলেন যে টোকিও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন চায়।

বাংলাদেশ এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কোয়াড অংশীদারদের দ্বারা অনুসৃত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের আলিঙ্গনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে, যা ঘোরে। এই পদক্ষেপটি এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কয়েকটি মূল মিত্ররা ইঙ্গিত দিয়েছে যে বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে অংশগ্রহণে বাংলাদেশের আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য নয়াদিল্লিকে তার নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল উপলব্ধি করতে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে অতিরিক্ত মাইল যেতে হবে।

বাংলাদেশ মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্য রাখে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখেন না। এইভাবে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব এবং অবশ্যই ভারতের সাথে "অসমভাবে" হলেও কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে চান।

বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সরকারগুলি খুব কাছাকাছি, এবং নয়াদিল্লি সম্ভবত ঢাকাকে কৌশলটি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছিল। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছ থেকে আস্থা অর্জন করতে পারে কারণ ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক জোটের সক্রিয় সদস্য। অন্যদিকে, বাংলাদেশ চীনের দুর্দশাকে বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করতে পারে কারণ এর লক্ষ্য সামরিকভাবে না হয়ে কাঠামোগতভাবে জড়িত হওয়া। বাংলাদেশ তার ইন্দো-প্যাসিফিক ওরিয়েন্টেশনের রূপরেখা দিয়ে অন্যান্য উপকূলীয় দেশগুলির জন্য মূলত একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার সম্প্রতি সংলাপ ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তির জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে।

দৃষ্টিভঙ্গির চারটি নির্দেশক নীতি এবং ১৫টি উদ্দেশ্য রয়েছে। রূপরেখায় চারটি নীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’। নীতিগুলি টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবিক পদক্ষেপ এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য গঠনমূলক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেয়।

এর ১৫টি উদ্দেশ্য রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান বজায় রাখা, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা এবং আলোচনা ও বোঝাপড়ার ওপর জোর দেওয়া। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ, শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অর্থপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক মূল্যে অবদান রাখা।

বাংলাদেশকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে যাতে কেউ ভুল বুঝতে বা বিভ্রান্ত করতে না পারে। ফলে ভালো অবস্থানে চলে গেছে বাংলাদেশ। তখন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানত। এ অবস্থানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি যৌথ সমবায় নীতির উপর ভিত্তি করে; দেশটি ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হলো ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি দেশের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে ‘মুক্ত, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক’ অঞ্চল ঘোষণা করেন। এটি ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার বাংলাদেশের ‘ভিশন ২০৪১’ লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এ বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত একটি মুক্ত এবং সুশৃঙ্খল ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য দাঁড়িয়েছে। যদিও ভারত নিজেকে নিরপেক্ষ বলে দাবি করে; এতে পশ্চিমা প্রভাব রয়েছে। পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে একীভূত করার চেষ্টা করছে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার হয়ে এ ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে।

বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া– উভয়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। কোয়াড জোটের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পশ্চিম ও ভারতের জন্য তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ আদর্শ অংশীদার হিসেবে বিবেচিত। ভারতের দিক থেকে দেশটির নিরাপত্তা বজায় রাখা ও সংকটপূর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং বঙ্গোপসাগরে সরাসরি প্রবেশাধিকার শুধু বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে। এর সঙ্গে ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি আরও শক্তিশালী করার এবং এ অঞ্চলে চীনের সামরিক উত্থানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লি এ বিষয়ে সচেতন এবং সার্ক ও বিমসটেকের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশকে যুক্ত করছে।

ভারতে যেহেতু এ বছর জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে সদস্য নয় এমন দেশকেও নিমন্ত্রণের ঐতিহ্য অনুসারে দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে পূর্বদিকের প্রতিবেশী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্পে বাংলাদেশকে যে ভারত যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, তা-ই প্রমাণ হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের স্বাভাবিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের বাইরেও ভারত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের পর জ্বালানির উৎস রূপান্তরে সহযোগিতা বিষয়েও আলোচনা হয়। এর বাইরেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, সেবা, বিনিয়োগসহ নানা খাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ আরও ত্বরান্বিত করতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট-সেপা চুক্তি করতে যাচ্ছে।

মার্কিন ডলারের প্রভাব যেহেতু কমছে, সে জন্য বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক আদান-প্রদানে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য বিকল্প হিসেবে ভারতীয় রুপিতে লেনদেন শুরু করেছে। তবে সেপা চুক্তি যৌথ উৎপাদন কেন্দ্র এবং নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন তৈরির সুযোগও খুলে দেবে। আঞ্চলিক সংযোগের এ বিষয়কে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে রূপান্তরিত করলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে অংশ হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য নয়াদিল্লিকে তার নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিতে আরও অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭