ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীকে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 22/07/2023


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের অতন্দ্র প্রহরী। এ বাহিনীকে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা নির্বাচন বোর্ড (প্রথম পর্যায়) ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শান্তিকে উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী, কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। সেনাবাহিনী সব সময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গত ১৪ বছরে বহু প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ এসেছে। সব কিছু মোকাবিলা করেই তার সরকার দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে। সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে, কাজগুলো গুণগতমান নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গেই সম্পন্ন হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী’। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া, অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না. সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।’

পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করায় নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মাঠের কাজে তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার ক্ষমতা বিবেচনা করুন... আমরা চাই আপনি নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে) কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলে সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সরকার আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠী নিজ দেশে শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন করা গেলে কক্সবাজারের অনেক উন্নয়ন করা যাবে। এসময় ব্যয় সংকোচন নীতিতে মিতব্যয়ী হওয়ারও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম, সৎ এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭