বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে যানজট, ভোগান্তি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  হঠাৎই বিএনপির এমন শোডাউনে রাজধানী ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঘুরছে না গাড়ির চাকা, দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে।

শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ এলাকার সড়ক গুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,  স্থবির হয়ে পড়েছে। কাকরাইল এলাকা প্রায় বন্ধ। মৎস্য ভবন পুরোপুরি বন্ধ। শাহবাগ থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে চলাচল করতে পারছে না কোনো যানবাহন। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে আশ পাশের অলিগলিতেও। 

ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা ফাঁকা লেনে মিছিল করে সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। আরেক লেন যানবাহনের দখলে। মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে যানবাহনগুলো আটকে থাকছে সড়কে। সড়ক ‘ক্লিয়ার’ না হওয়ায় স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে।

সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ইকবাল কবির বলেন, ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। পথে ভোগান্তির শেষ নেই। এক ঘণ্টা এক জায়গাতেই আটকে আছি। সামনে কিংবা পেছনে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।  

ইসমাইল নামের এক বাসযাত্রী বলেন, আমরা পড়েছি বিপদে। বাস  যেন চলছেই না। কাকরাইল মসজিদের সামনে ইউটার্ন করে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মোড়ে আটকে আছি দুই ঘন্টা।

ডিএমপির মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. শইমী ইমতিয়াজ বলেন, এখন পর্যন্ত মতিঝিলে জ্যাম দেখা দেয়নি। তবে চাপ আছে। কারণ রমনা এলাকায় আজ একটি দলের সমাবেশ। সেটার প্রভাবে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, দৈনিক বাংলায় চাপ আছে। 

ট্রাফিক রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারর(এডিসি) মো. সোহেল রানা বলেন, কিচ্ছু করার নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন, মিছিল করছেন। মোড়গুলোতে জটলা করছেন। সড়কে যান চলাচল বন্ধ প্রায়। আমরা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।