ইনসাইড টক

‘সিজিএসের মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি’


প্রকাশ: 23/07/2023


Thumbnail

দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট স্ট্যাডিজ (সিজিএস)। তবে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানেই গবেষণার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। গবেষণার তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। প্রতিবেদনের সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা করেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পাঠকদের জন্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট স্ট্যাডিজ (সিজিএস) যেটা করেছে ওরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের মতামত নিয়েছে, আমাদেরও মতামত নিয়েছিল। কিন্তু ওরা যাদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছে তারা তাদের বক্তব্য মোতাবেক মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো না বলে অভিমত দিয়েছে এবং বলেছে মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিজিএস বলছে, মানবাধিকারকর্মীরা নাকি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়, বাধার সম্মুখীন হয়, তারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের হুমকি দেয়া হয়, তাদেরকে নির্যাতন করা হয় ইত্যাদি। আমি তাদের (সিজিএস) কাছে জানতে চেয়েছি যে তারা (সিজিএস) যাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা কারা। কারণ আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে পরিষ্কার ধারণা পেতাম। বিষয়গুলো আর পরিষ্কার হত। কারণ বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণের নাম নিয়ে অনেক সংস্থা হয়েছে যেগুলো বেশির ভাগ হল ভুয়া। এরা মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে, মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে এরা এমনভাবে চলাচল করে যে বুঝা যাবে না এরা সরকারি সংস্থা। এরা বেশির ভাগ প্রতারক। এখন কাদেরকে এড্রেস করছেন সেটা আমি জানি না। উনি বলছেন যে, তাদের নাম বলা সম্ভব নয়। আমি উনাকে নাম বলতে বলি নাই। কিন্তু আমি অত্যন্তপক্ষে জানতে পারতাম যে, তারা কোন ধরনের অর্গানাইজেশন, কোন জেলায় কিভাবে কাজ করে। তারা কোন ধরনের অর্গানাইজেশন সেটা যদি জানতে পারতাম তাহলে বুঝতে পারতাম। 

তিনি বলেন, আমি একটি অর্গানাইজেশনের উদাহরণ দিয়ে বলেছি যারা কমিশন লিখে, যারা ফ্ল্যাগ সহ গাড়িতে চড়ে। এদের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জন্মায় পরে মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। উনারা যাদের কাছ থেকে নিয়েছে আমি জানি না, সেটা কোন ফেইক অর্গানাইজেশন কিনা সেটাও জানি না। তারা অযথা কোন রিপোর্ট দিয়েছে কিনা যে সম্পর্কে আমার সন্দেহ এবং উদ্বেগ আছে।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, তারা (সিজিএস) তাদের মতামত নিয়ে বলছে যে এটা খারাপ, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যাদের মতামত নিয়েছে একক ভাবে শুধুমাত্র তাদের মতামত নিলে তো চলবে না। তাহলে এটা এক পাক্ষিক রিপোর্ট হয়ে যায়। যাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে তাদের কাছ থেকেও যদি কিছু মতামত নিত তাহলে বুঝা যেত তাদের কথা পরিপূর্ণ ভাবে সঠিক কিনা। একপক্ষ যদি বলল ওই পক্ষ পুরো খারাপ তাহলে তো আপনি শুধু এক পক্ষের মতামত শুনলেন। এক পক্ষের মতামত নিয়েই আপনি রিপোর্ট করলেন। এটা দিয়ে প্রকৃত চিত্র যাচাই করতে পারলেন না। আপনি একটা পক্ষ ধরেই বিচার করলেন, এটা তো উচিত না। রিপোর্টে এ ধরনের কিছু সমস্যা রয়েই গেছে।

বিভ্রান্তকর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের করার কোন এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেবে কিনা জানি না। কিন্তু আমাদের কথা হল যে, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন জনের বলার অধিকার আছে। তারা বলেছে, আমরা শুনেছি। আমি যাচাই করব এটা কতটুকু সঠিক বা ভুল।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭