লিভিং ইনসাইড

অনলাইনের আসক্তি যেভাবে দূর করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/03/2018


Thumbnail

অনলাইন। ফেসবুক, টুইটার, মেইল, ভাইবার, ইউটিউবের মত কতশত সাইটে পরে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা। অফিস হোক বা বাড়ি, মাঝরাস্তা হোক বা সিনেমা হল— যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, বার বারই চোখ চলে যায় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। ডিজিটাল জগতে সারা ক্ষণ ‘অন’ থাকার ফলে জীবনের কী হাল হচ্ছে তা ভেবে দেখেছেন? এর থেকে বেরিয়ে আসতে পাল্টে ফেলুন কয়েকটি অভ্যাস।

১. পুশ নোটিফিকেশনস বন্ধ করে রাখুন। ভেবে দেখুন তো, কিছু ক্ষণ পর পরই আপনার মোবাইলে কত অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন আসতে থাকে! আর তার খেয়াল রাখতে আপনাকে বার বারই চোখ রাখতে হয় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। এতে অহেতুক সময়ই নষ্ট হয়।

২. পুশ নোটিফিকেশনস বন্ধ করার পর এ বার আপনার স্মার্টফোনে থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোও ডিলিট করে ফেলুন। দেখবেন সময় বাঁচানোর পাশাপাশি আপনার স্মার্টফোনের মেমরিও অনেকটাই খালি হয়ে গিয়েছে।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া সৌজন্যে আজকাল একটি নতুন টার্ম প্রায়শই শোনা যায়। ফিয়ার অব মিসিং আউট (এফওএমও)। এটি একেবারেই মার্কেটিং গিমিক। দুনিয়ার যে প্রান্তে যা কিছু ঘটছে তা সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে জানতে হবে, এমনটার দিব্যি কেউ দেয়নি। এফএমএফও-র ‘ভয়ে’ সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করুন। দেখবেন আপনার সামাজিক জীবন বেশ সরল খাতেই বইছে।

৪. ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে নয়, বরং বাস্তবে মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যান। ব্যস্ত রুটিনের বাইরে খানিকটা সময় পেলে বরং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করুন। মা-বাবাকে নিয়ে যান ছুটি কাটাতে। বা আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ট্যুর করুন। অথবা একা একাই চলে যান কোনও গ্যালারিতে।

৪. আপনি কি সেই গোত্রের মানুষ, যাঁরা স্মার্টফোন, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ছাড়া এক দিনও কাটাতে পারেন না? তবে এই টিপ্‌সটা আপনার জন্য। এখনই আপনার স্মার্টফোনের ডিসপ্লে কালার বদলে ধূসর করে ফেলুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্রিন অ্যাডিকশনের একটি অন্যতম কারণ হল স্মার্টফোনের রংচঙে ডিসপ্লে। ট্রিস্টান হ্যারিস নামের এক প্রাক্তন ফোন অ্যাডিক্ট-এর মতে, এটি সত্যিই কাজে আসে।

৫. অফিসে যাওয়ার জন্য অনেকেই স্মার্টফোনে অ্যালার্ম সেট করে রাখেন। এবং বালিশের কাছে বা বেডসাইড টেবলের উপর স্মার্টফোন রেখে রাতে ঘুমোতে যান। এ বার থেকে বরং স্মার্টফোনের বদলে ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করুন। এতে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন এলে সহজেই হাত বাড়িয়ে তা দেখা যায়। ফলে ঘুমের দফারফা হয়। ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করলে অন্তত ওই নোটিফিকেশনগুলির দাপট থেকে বাঁচবেন। তাতে রাতে ঘুমের ব্যাঘাতও কম হবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭