এডিটর’স মাইন্ড

নির্বাচন: আমলা, সুশীল এবং রাজনীতিবীদ মডেল


প্রকাশ: 28/07/2023


Thumbnail

একটি সমস্যা নিয়ে আপনি তিনজনের কাছে গেলেন। সমাধানের জন্য। একজন আমলা, একজন সুশীল এবং একজন রাজনীতিবীদ। আমলা দেখলেন সমস্যা বেশ জটিল। তিনি সমাধানের কোন পথেই গেলেন না। এটাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখলেন। সুশীল বুদ্ধিজীবী সমস্যা গভীর ভাবে শুনলেন। বেশ চিন্তা করলেন এনিয়ে। তারপর এমন সমাধানের পথে গেলেন যে সমস্যা আরো জটিল হলো। রাজনীতিবীদ সমস্যা নিয়ে জনগণের কাছে গেলেন। জনগণকে সাথে নিয়ে এর একটা চুড়ান্ত সমাধান করলেন।

উদাহরণটা দিলাম বিভিন্ন উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত বর্তমান সংসদ তার মেয়াদের শেষ প্রান্তে। এই সংসদে উপ নির্বাচনের রেকর্ড হয়েছে। করোনা সহ নানা কারণে বহু সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। বিএনপির নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে, সেই সব আসনেও অনুষ্ঠিত হয় উপ নির্বাচন। এসব উপ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেছে। কোথাও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে পোড় খাওয়া রাজনীতিবীদকে। কোথাও আওয়ামী লীগের পছন্দ ছিলো সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কিংবা ব্যবসায়ী। কোথাও বা আমলা। এসব উপ-নির্বাচন নানা কারণে ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের মেয়াদের মাঝপথে এসে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে সবধরণের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। বিএনপির প্রধান লক্ষ্য ছিলো নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি প্রমাণ করতে চেয়েছে, তাদের ছাড়া দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব। গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ‘বৈশ্বিক এজেন্ডা’ বানিয়ে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে প্রকাশ্যে আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহণমূলক। জনমতের প্রতিফলন যেন সেই নির্বাচনে ঘটে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দৌড়ঝাপ এখন আর কোন গোপন বিষয় নয়। ২০১৮’র নির্বাচনের পর দেশের জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে এক অনীহা তৈরী হয়। ভোট প্রদানে সাধারণ মানুষের আগ্রহ উদ্বেগজনকভাবে কমতে থাকে, এরকম বাস্তবতায়, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ‘নির্বাচন’ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করে। বিএনপির কৌশল হলো, নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ‘তামাশা’ বানানো। যেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আন্তর্জাতিক চাপ তৈরী হয়। বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়-এই বোধ জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত করা। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের কৌশল ছিলো, ভোটকেন্দ্রে জনগণকে ফিরিয়ে আনা। বিএনপি ছাড়াও যে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব তা প্রমাণ করা। এজন্য এই সব উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নানা রকম চেষ্টা করেছে। ২০১৮’র নির্বাচনের পর সবধরণের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য ছিলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। অধিকাংশ স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে। তবে, জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নানা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। লক্ষনীয় ব্যাপার যে, যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যেরকম ছিলেন, নির্বাচনও হয়েছে তেমন।

এই যেমন নেত্রকোনা-৪ আসনের কথাই ধরা যাক। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রেবেকা মোমেনের মৃত্যুতে এই আসন শূন্য হয়। এই আসনে নির্বাচন করার মতো জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন বেশ ক’জন। এদের মধ্যে জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শফী আহমেদ, দীর্ঘদিন মাটি কামড়ে এলাকায় পরেছিলেন। একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবীদ। তৃণমূল থেকে উঠে আসা তুখোড় ছাত্রনেতা শফী আহমেদ। কিন্তু তাকে মনোনয়ন না দিয়ে আওয়ামী লীগ পছন্দ করে একজন সাবেক আমলাকে। সাজ্জাদুল হাসান, মেধাবী আমলা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘চুক্তি ভিত্তিক’ নিয়োগের মহামারীর মধ্যে তিনি সংক্রমিত হননি। ৫৯ বছরে অবসর নেন, নির্বাচন করার জন্যই। চাকরী থেকে অবসরে যাওয়ার পরপরই তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন। অবশ্য চাকরীতে থাকা অবস্থাতেই তিনি ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক’ উন্নয়নে নিবিড় মনোযোগী ছিলেন। এলাকায় চাউর হয়েছিল যে, রেবেকা মোমেনের পর সাজ্জাদুল হাসানই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। কাজেই তার মনোনয়ন প্রাপ্তি কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিলো না। ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে নানা অস্বস্তি এবং বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নেত্রকোনা-৪ আসন ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য এখন পর্যন্ত শেষ পরীক্ষা। সবাই আশা করেছিলেন, এখানে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দেবে। একটি উপ-নির্বাচনে জনগণ ভোট উৎসব দেখবে। বিশেষ করে ঢাকা-১৭ তে এগারো ভাগ ভোটের সমালোচনার জবাব হবে নেত্রকোনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচন। কিন্তু এই উপ-নির্বাচন হবার আগেই শেষ হয়ে গেল। আবার আমরা ‘আমলা’ কারিশমা দেখলাম। নেত্রকোনা-৪ আসনে একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে ২৪ জুলাই নিশ্চিত হয়ে গেল ভোট ছাড়াই এমপি হচ্ছেন সাবেক আমলা। কদিন আগে জাতীয় পার্টি বলেছিল, তারা সব উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কোথায় তারা? অন্যান্য দলের প্রার্থীরা কেন মনোনয়ন পত্রই জমা দিলেন না? একটি নির্বাচনী এলাকায় একজনও স্বতন্ত্র প্রার্থী পাওয়া গেল না? আমি জানি, অনেকেই বলবেন, মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে সংসদের একটি উপ-নির্বাচনের জন্য প্রার্থী না থাকারই কথা। বেশ ভালো কথা। কিন্তু এই নির্বাচন তো আওয়ামী লীগের জয় লাভের জন্য জরুরী ছিলো না। এই নির্বাচন ছিলো আওয়ামী লীগের ‘ভোট ব্যাংক’ যাচাইয়ের নির্বাচন। দেশে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট আছে আওয়ামী লীগের। নেত্রকোনা-৪ আসনটি ঐতিহ্যগত ভাবে আওয়ামী লীগের। তাই এখানে ‘ভোট উৎসব’ করা আওয়ামী লীগের জন্য ছিলো সহজ কাজ। আমি বিশ্বাস করতে চাই না, সাবেক আমলা কলা-কৌশল করে অন্য প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে নিরুৎসাহিত করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি, একজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন কাজ ছিলো না। বিনা যুদ্ধে যদি রাজ্য জয় করা যায়, তাহলে কি দরকার শক্তি ক্ষয়। সম্ভবত এই তত্ত্বই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে অনুপ্রাণিত করেছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তিনি তার শ্রম ও রশদ মজুত রাখলেন। কিন্তু এতে আওয়ামী লীগের লাভ হলো না ক্ষতি? ‘বিনা ভোট’ সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ঐ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এনিয়ে আওয়ামী লীগকে সমালোচিত হতে হয় আজো। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে ভোট ছাড়াই এমপি হবার সুযোগ তৈরী হয়। এটা আবার প্রমাণ হলো নেত্রকোনা-৪ আসনে। একজন সাবেক আমলা সংসদে বসলেন বটে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সমালোচনা একটু হলেও বাড়লো। আমলাতন্ত্রের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো তারা সমস্যার গভীরে যান না। সমস্যাটাকে আড়াল করেন। এক্ষেত্রে তাই হলো। সমস্যাটা উপ-নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয়। আরো একটি আসন প্রাপ্তি নয়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করা। আমলারা সব সময় শুধু নিজের স্বার্থটুকু দেখেন। নিজের লাভের বাইরে তারা রীতিমতো অন্ধ। নেত্রকোনা-৪ উপ নির্বাচনের ভোট অপমৃত্যু তার সর্বশেষ উদাহারণ। আমলা ছাড়াও বিগত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আগ্রহ ছিলো সুশীল, ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবীদের প্রতিও। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ বেছে নেয় একজন তরুণ সুশীল বুদ্ধিজীবীকে। মোহাম্মদ এ আরাফাত, একজন শিক্ষক। টকশোতে চমৎকার কথা বলেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার জবাব দেন নিত্যনতুন যুক্তিতে। দেশের সুশীল সমাজের বড় একটি অংশ যখন আওয়ামী বিরোধী। তখন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আরাফাত। এক্ষেত্রেই তিনি আরো আলো ছড়াতে পারতেন। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এরকম বহু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করেও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এই সব জাতির বিবেকরাই ‘জাতির পিতা’ আদর্শকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে নিয়ে আসা হলো মূলধারা রাজনীতিতে। দেয়া হলো কেন্দ্রীয় কমিটির পদ। গুলশান—বনানীর মতো এলিট আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করা হলো। কিন্তু এই উপ-নির্বাচন এখন আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা। এনিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের সাথে বিতর্কে ছড়িয়েছে। ১১ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে বকে দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এই উপ নির্বাচন এখন আন্তর্জাতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। এর আগে ধানমন্ডির মতো আরেক স্পর্শকাতর আসনে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মনোনয়ন দিয়েও আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে পরেছিল। কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, রাজনীতিবীদদের মনোনয়ন দিলে কি লাভ হতো? এর উত্তরে অনেক উদাহারণ দেয়া যায়। আমি শুধু গাইবান্ধা-৫ আসনের উদাহারণ দেবো। গত বছরের ২৩ জুলাই ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মৃত্যুবরণ করলে এই আসনটি শূন্য হয়। আওয়ামী লীগ এই আসনে মনোনয়ন দেয় ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা মহামুদ হাসান রিপনকে। রাজপথে আন্দোলন করা, তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা একজন পরিশ্রমী কর্মী। গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রথম দফায় নির্বাচন হয়। কিন্তু নানা অনিয়মের অভিযোগে সেই ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ৪ জানুয়ারি নতুন করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেই ভোটে ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শক্তিশালী জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। এই উপ-নিবার্চন প্রসঙ্গে উত্থাপন করলাম একারণে যে, ঐ উপ-নির্বাচন নিয়েও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে চর্চা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। প্রথমবারের মতো, আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিয়েছিল। নির্বাচন ছিলো উৎসব মুখর। এরকম বহু উদাহারণ দেয়া যায়, যেখানে ত্যাগী, পরীক্ষিত পোড় খাওয়া রাজনীতিবীদরা প্রার্থী হয়ে ভোটের বিবর্ণতা কাটিয়েছেন। আর সুশীল, ব্যবসায়ী কিংবা পেশাজীবীরা নির্বাচনকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

আগামী নির্বাচন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন একদিকে যেমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হবে। তেমনি নির্বাচন হতে হবে উৎসব মুখর, অংশগ্রহণমূলক। বিএনপি অংশগ্রহণ করুক না করুক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে। বিএনপি যদি শেষ মুহুর্তে নির্বাচনে অংশ নেয়, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে। বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের জন্য রয়েছে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের’ চ্যালেঞ্জ। দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগকে আস্থা রাখতে হবে রাজনীতিবীদদের উপরই। প্রায়ই শোনা যায়, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নে আওয়ামী লীগ চমক দেখাবে। এই চমক যে প্রার্থী তালিকায় আমলা, ব্যবসায়ী, হাইব্রীড, সুবিধাবাদী, সুশীলদের প্রাধান্য সৃষ্টি না করে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে নীতিনির্ধারকদের। নির্বাচনকে জনগণের উৎসবে পরিণত করতে পারে একমাত্র রাজনীতিবীদরাই। এমনিতেই সংসদ এখন প্রায় ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। আমলারাও এবার সংসদে আসতে মরিয়া। এরকম প্রেক্ষাপটে কোনঠাসা রাজনীতিবীদদের লাইমলাইটে আনাটা আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতিতে রাজনীতিবীদদের কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হলেই নিবার্চন হবে বিতর্কহীন, গণতন্ত্র রক্ষা পাবে, দেশ বাঁচবে।


সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com          



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭