‘নিপুণ রায়ের অডিও শুনেছি; তিনি বলছেন, তোমরা আগুন ধরাও’

বিএনপি নেতারা সহিংসতা এবং যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের একটি অডিও শুনেছি। যেখানে তিনি বলছেন, ‘তোমরা আগুন ধরাও। এগুলো আমাদের দেখাতে হবে। জায়গা মতো দেখাতে হবে।’

শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিএনপির এক নেত্রী নিপুণ রায়ের ফেসবুকের একটি অডিও শুনেছি। সেখানে তিনি বলছেন, ‘তোমরা আগুন ধরাও। এগুলো আমাদের দেখাতে হবে। জায়গা মতো দেখাতে হবে।’ জায়গাটা কোনটা সেটা তিনি নিজেই জানেন। আগুন জ্বালানোর হুকুম তিনি দিচ্ছেন। সব জায়গা থেকে বিএনপির নেতারা এ ধরনের কাজের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতারা দাঁড়িয়ে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন ও অবস্থান করেছেন যাতে গাড়ি চলাচল না হয়। আমরা একটি ভিডিও পেয়েছি বিএনপির এক নেতার। ওই নেতা ভিডিওতে বলছেন, ‘জ্বালাও, আগুন জ্বালাও। আগুনের শট পাঠাতে হবে। তোমরা জ্বালিয়ে আমাকে কনফার্ম করো।’

‘বিএনপির যে নেতার কথা বলছেন তার শ্বশুরকে ডিবিতে এনে আপ্যায়ন করা হয়েছে। আরেকজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস দিয়ে জুস দিয়েছেন। যারা পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য নেতৃত্ব দিলো, তাদের আপনারা তোষামোদ করছেন?’ - সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নেহায়েত ভুল ধারণা। আমানউল্লাহ আমানকে যখন আটক করেছে, তখন দেখেছেন রাস্তার মধ্যে পরে গিয়েছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নয়, মানবতার কাজও করে। বঙ্গবন্ধু যেটা আহবান করেছিলেন মানবতার পুলিশ বাহিনী হওয়ার জন্য। সেই কাজই পুলিশ করেছে। আমানকে পুলিশ নিয়ে হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করেছে, তার চিকিৎসা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা এটাও দেখেছেন- যখন কোকোর মরদেহ নিয়ে আসে, তখন খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তার কাছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তার মুখের ওপরে দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। দরজা তো খোলেওনি, বাইরে এসেও কুশল বিনিময় করেনি। সেই দৃশ্যও আপনাদের মনে আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী। যখন তিনি শুনলেন যে, গয়েশ্বর ও আমান আহত হয়েছেন। এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী তাদের যথাযোগ্য চিকিৎসা কিংবা যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটাই হলো মানবতার নেতা।