ইনসাইড পলিটিক্স

শর্মিলা রহমানের সাথে সরকারের গোপন আঁতাত


প্রকাশ: 02/08/2023


Thumbnail

২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছিল খালেদা জিয়ার। ওই সময় থেকে তাকে বকশিবাজারের পুরাতন কারাগারে রাখা হলেও পরে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যারা সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ রেখেছেন তাকে দেখতে এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

কোকোর মৃত্যুর পর শর্মিলা রহমান তার দুই কন্যাকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। ২০১৮ সালে যখন খালেদা জিয়া যখন বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন তখন শাশুড়ির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে দেশে এসেছিলেন শর্মিলা রহমান। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ মার্চ শাশুড়ি খালেদা জিয়া ও অসুস্থ মাকে দেখতে ঢাকার এসেছিলেন তিনি। প্রায় দেড় মাস তিনি ঢাকায় ছিলেন। এর আগে ২০২১ সালেও যখন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন তখন তাকে দেখতে এসেছিলেন শর্মিলা রহমান। দলের অনেক নেতাকর্মী এমনকি জিয়া পরিবারের অনেকে অনেক সময় সরকারের দ্বারা নানা বাধার শিকার হলেও শর্মিলা রহমানকে সরকার কখনও কোন বাধা দেয়নি। বিভিন্ন সময় তিনি বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বৈঠক করেছেন। সেসব নিয়েও সরকারকে কখনও মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। তার অনেকেই ধারণা করছেন সরকারের সাথে শর্মিলা রহমানের একটি গোপন সম্পর্ক রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত। তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারেক জিয়ার স্ত্রী জোবাইদার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলার রায় জানা যাবে আজ। সবার বিরুদ্ধে যখন একের পর এক মামলা তখন কোন মামলা নেই শর্মিলা রহমানের বিরুদ্ধে এবং তিনি অবাধে দেশে আসছেন বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করছেন। এই ঘটনাগুলো শর্মিলার সাথে সরকারের গোপন আঁতাতকেই ইঙ্গিত করে বলে মনে করছেন কোন কোন মহল। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭