ভারতের হরিয়ানায় হিন্দু মুসলিম সংঘর্ষ, মুসলিমদের উচ্ছেদের হুমকি

গত সোমবার (৩১ জুলাই) ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের নুহতে হিন্দু মুসলিম এই দুই সস্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলমান উত্তেজনা এখনো বিরাজ করছে বলে জানা যায়।

গুরুগ্রামের কয়েকটি মুসলিম পরিবার জানিয়েছে, উগ্রবাদী হিন্দুরা তাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার (২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুরুগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১০০টিরও বেশি অভিবাসী পরিবার বসবাস করত। ৮৫টি পরিবার ইতোমধ্যেই ভয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা যায়। বাকি যারা রয়ে গেছেন তাদেরও এখন চলে যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনো যারা আছেন তারা জানিয়েছেন, অন্য জায়গায় বা নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যে চলে যাবেন, সে আর্থিক সক্ষমতাও এখন তাদের নেই। আর এ কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গুরুগ্রামে থেকে গেছেন তারা।

তাদের মধ্যে একজন ২৫ বছর বয়সী শামীম হোসেন এনডিটিভিকে তিনি বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায়, কিছু লোক আসে এবং সব মুসলিমকে চলে যেতে বলে। ফিরে যাওয়ার মতো অর্থ আমাদের নেই। এমনকি স্থানীয় দোকানে আমাদের বাকি পর্যন্ত রয়েছে। আমার কিছু হলে ঠিক আছে, কিন্তু আমার এক বছর বয়সী ছেলে আছে।“ এ সময় তিনি সরকার, বিভাগীয় প্রশাসন এবং স্থানীয়দের কাছে তাদের সহায়তা এবং রক্ষা করার আকুল আবেদন জানান।

এর আগে বুধবার সকালে গুরুগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশ্বস্ত করেছিলেন অভিবাসী মুসলিম পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলোয় নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হবে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাঙ্গাবাজদের ৬০ জনের একটি দল স্থানীয় এক ভূমি মালিককে হুমকি দিয়ে বলে, দুই দিনের মধ্যে যেন তার জায়গা থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের এসব মুসলিম পরিবার জীবিকার তাগিদে হরিয়ানায় এসেছেন। কিন্তু এখন তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভেতর পরে গেছেন।