এডিটর’স মাইন্ড

তারা নাকি আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবে!


প্রকাশ: 04/08/2023


Thumbnail

ছোট বেলায় সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখা ছিলো আমার সেরা বিনোদন। বাবা, মা-ভাই সবাই মিলে নতুন ছবি দেখতে যাওয়া ছিলো অন্যরকম আনন্দের। আমার দুই প্রিয় চরিত্র ছিলো হাসমত আর রবিউল। হাসমত কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ছিলেন উঁচু মানের। সবাই তাকে ডাকতো ‘হাবা হাসমত’। হাসমতের হাসি ছিলো বোকা বোকা। অন্যজন, রবিউল যেন তালপাতার সেপাই। ফুঁ দিলে উড়ে যাবে বলে মনে হতো। পর্দায় এরা এলেই দর্শকরা ব্যাপক করতালি দিতো। একটা ছবিতে নায়ক আহত, অসুস্থ। তাকে খুঁজছে ভিলেনের গুন্ডাবাহিনী। রবিউল নায়ককে বলছে ‘কোন চিন্তা কইরেন না, ওস্তাদ। সবটিরে আমি একই উড়াই দিমু।’ কিন্তু সত্যি যখন ভিলেনের দল আক্রমণ করলো, তখন রবিউল ভোঁ দৌড় দিয়ে পালাল। রবিউলের পালানোর দৃশ্যে সিনেমাহল জুড়ে হাসির কলরোল। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী মহলের কিছু চাটুকার, মতলববাজের কথাবার্তায় রবিউলের ঐ ভোঁ দৌড়ের দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে বার বার।

গত ১৫ জুলাই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ আয়োজন করেছিল। ঐ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দেশের প্রধান নির্বাহীকে বসিয়ে ব্যবসায়ীরা চাটুকারিতা এবং তৈল মর্দনের উৎসবে মেতে উঠেন। কিছু চাটুকার, অতিউৎসাহী ঐ সম্মেলনে ‘শেখ হাসিনাকেই আবার প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে’ বলে ঘোষণা দেন। ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী সঙ্গেই আছেন, ঘোষণা দিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য তারা সবকিছু করারও অঙ্গীকার করেন। সাড়ে চার ঘণ্টার স্তুতি আর বন্দনা বন্যা যে মতলববাজির জন্যই এটি বুঝতে নিশ্চয়ই অসুবিধা হয়নি, পোড় খাওয়া, দূরদর্শী রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার। যদ্দুর জানি, ঐ অনুষ্ঠানে তিনি খুশি হননি, বরং বিরক্ত হয়েছেন। এরকম একটি মহা তৈলযজ্ঞের মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে (৩১জুলাই) দীর্ঘ ৫ বছর পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের আংশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ২০১৭ সালে এফবিসিসিআইয়ের শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনটিতে আর নির্বাচনের বালাই নেই। সমঝোতার নামে নেতৃত্বে ভাগ বাটোয়ারার এক হাস্যকর এবং অগ্রণযোগ্য রেওয়াজ চালু হয় সংগঠনটিতে। এবারও নির্বাচন ছিলো এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতাই। মোট ৭৮ টি পদের মধ্যে এসোসিয়েশন গ্রুপের মাত্র ২৩টি পরিচালক পদে ভোট হয়েছে। বাকি ৫৫ জন পরিচালক বিনা ভোটে আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। এফবিসিসিআইয়ের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত এই ৭৮ জন পরিচালকের ভোটে সভাপতি, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২৩টি পদের নির্বাচনে সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিতি ‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদে’র কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। সরকার সমর্থকরা জিতেছে মাত্র ৮টি পদে। আর বিরোধীরা জিতেছে ১৫টিতে। গুলশান-১৭ কিংবা চট্টগ্রামের উপনির্বাচনের মতো এই নির্বাচনে ১০/১১ শতাংশ ভোট পড়েনি। ভোট দিয়েছেন ৮৯ শতাংশ ভোটার। নির্বাচনে সরকারী দলের সমর্থন পুষ্ট প্যানেলের মধ্যে থেকে যারা পরাজিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা এ.এফ.এম ফখরুল ইসলাম মুনশীর ছেলে রকিব মো:ফখরুল, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের পুত্র বধু মানতাশা আহমেদ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের জামাতা এজাজ মোহাম্মদ অন্যতম। অন্যদিকে সরকার বিরোধী প্যানেল (সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ) থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই প্যানেল থেকে আরেক বিজয়ী খোন্দকার রুহুল আমিনও জামায়াত ঘারানার। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে বিজয়ী নিজাম উদ্দিন রাজেশ সাবেক ছাত্রদল নেতা। আবু মোতালেব বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ক’দিন আগে যারা আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ‘জান-কোরবানে’র ঘোষণা দিলেন, ব্যবসায়ী নির্বাচনেই তাদের এই হাল। যারা নিজেরাই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে প্রত্যাখাত হলেন, তারা আওয়ামী লীগকে জেতানোর শক্তি রাখেন? এরা কি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন? উত্তরটা সহজ। ব্যবসায়ী সম্মেলনে যেসব চাটুকার ব্যবসায়ীরা তোষামোদীর ডালা মেলে ধরেছিলেন, তারা বেশির ভাগই দেশের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য কিছুই করেন না, করবেনও না। নিজের স্বার্থ ছাড়া এরা কিছুই করে না। এদের একমাত্র কাজ নিজেদের আখের গোছানো। এদের অনেকেই ব্যাংক লুটেরা, অর্থপাচারকারী। এদের কেউ কেউ বর্তমান সরকারের আমলে নানা রকম অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। ব্যাংক থেকে যথেচ্ছ ভাবে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত করেছে। এদের মধ্যে কিছু সুবিধাবাদী নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছে। মন্ত্রীসভায় ব্যবসায়ীদের তালিকা এখন দীর্ঘ। এদের অনেকেই বা তাদের পূর্বসূরীরা এরশাদের আমলে, অবৈধ স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে। ঐ সম্মেলনে বক্তব্য রাখা অন্তত একজন, ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে এরশাদকে আজীবন ক্ষমতায় রাখার প্রস্তাব করেছিলেন, প্রায় একই রকম এক ব্যবসায়ী সম্মেলনে। তেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তখন এরশাদের মুখাবয়ব লালভ হয়ে উঠেছিল। ১৫ জুলাইয়ে ব্যবসায়ী সম্মেলনে বক্তব্য রাখা অন্তত তিনজন, প্রায় একই রকম বক্তব্য রেখেছিলেন বেগম জিয়াকে সামনে রেখে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে। ২০০২ সালের অক্টোবরে ব্যবসায়ী সম্মেলনে তারা ‘বেগম জিয়ার পর একমাত্র তারেক জিয়া’ই যোগ্য নেতা এমন তত্ত্ব হাজির করেছিলেন। এই সব ব্যবসায়ী তারকাদের কেউ কেউ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া ভবনে নিয়মিত অতিথি ছিলেন। তারেক বন্দনা করে এরা ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন। তারেকের অবৈধ অর্থের পাহারাদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাথে সাক্ষাৎ না করলে, এদের অনেকের পেটের ভাত হজম হতো না। এই সব ব্যবসায়ীদের অনেকেই এক-এগারোর অনির্বাচিত সরকারের একান্ত অনুগত হয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ২৭ নভেম্বর মঈন ইউ আহমেদ ফখরুদ্দিন সরকার ‘ বেটার বিজনেজ ফোরাম’ নামে এক উদ্ভট বিনিয়োগ ‘বটিকা’ আবিস্কার করেন। এই আবিস্কারে এখনকার আওয়ামী প্রেমী ব্যবসায়ীদের কারা কারা ‘মারহাবা, মারহাবা’ বলে কোরাশে মেতেছিলেন, তা আমার মতো অনেক হতভাগাই দেখেছে। রেডিসন হোটেলে তৎকালীন সেনা প্রধান মঈন-ইউ আহমেদের ‘আলু উৎসবে’ যে সব ব্যবসায়ী গিয়েছিলেন, তাদের অনেককেই দেখলাম ১৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে। এরাই জেনারেল মঈনকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হবার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। এরাই এখন ‘শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার’ শ্লোগান দিচ্ছে। এরা যখন যার তখন তার। আসলে এই সব অতিউৎসাহী চাটুকার ব্যবসায়ীরা শুধু নিজের, অন্য কারো না। অতীতে এরশাদ, বেগম জিয়া, তারেক জিয়া এবং মঈন ইউ আহমেদ এদের প্ররোচনার ফাঁদে পরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী অনেক বিচক্ষণ। তিনি সব জানেন এবং বোঝেন। নিশ্চয়ই তিনি এদের মিষ্টি কথায় ভুলবেন না। এরা চাটুকারিতা করে আরো চায়। এমপি হতে চায়, মন্ত্রী হতে চায়। রাজনীতি এদের কাছে ইনভেস্টমেন্ট। রাজনীতির ব্যবসায়ে লাভ অনেক বেশি। তাই ইদানিং শিল্পায়নের চেয়ে রাজনীতিতে এদের আকর্ষণ বেশি। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে লেপ্টে থেকে এরা প্রণোদনা চায়, খেলাপী ঋণ মওকুফ চায়, ব্যাংক চায়, ব্যবসা চায়, অবৈধ ভাবে আরো অর্থবিত্ত বানাতে চায়। এরা বাংলাদেশকে চেটেপুটে খেতে চায়। কাল আওয়ামী লীগ সংকটে পরলে এরা পাশে থাকবে না। তাই এরা আওয়ামী লীগের নয়। কোন রাজনৈতিক দলেরই না। রাজনীতিকে এরা দূষিত ও কুলষিত করছে প্রতিনিয়ত। এফবিসিসিআই এর আংশিক নির্বাচন একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে। নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যেই এরা ক্রমশ: অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারের অনুকম্পা, কৃপা ছাড়া এদের নিজেদেরই নিজের পায়ে দাঁড়াবার শক্তি নেই। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে এরা সাহায্যে করবে কিভাবে? এই সব ব্যক্তিরা শুধু নিতেই জানে, কিছু দেয়ার ক্ষমতা নেই। শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রমাণ করলো, সরকারের সহায়তা ছাড়া এরা নিজেদের সংগঠনেও জয়ী হবারও ক্ষমতা রাখে না। কিছু কিছু ব্যবসায়ী সরকারের ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে এতো অন্যায় করেছে যে, ব্যবসায়ীদের মধ্যেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা তলানীতে।

তবে এই নির্বাচন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের ভরাডুবির কারণ কি? প্রথম কারণ, অযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া। এমন কিছু ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, যারা ব্যবসায়িক মহলে পরিচিত নন। নেতার ছেলে, রাজনীতির মাঠে ভালো করতে পারেনি। ব্যস এফবিসিসিআইয়ের নেতা বানিয়ে দাও। এদের ভোটাররা প্রত্যাখান করেছে। ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্কহীন, ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ প্রার্থীরা প্রত্যাখাত হয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এটি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের জন্য একটি বড় শিক্ষনীয় হতে পারে। অযোগ্য, অজনপ্রিয়, আমদানীকরা প্রার্থী দিলে ভোটাররা তাকে প্রত্যাখান করবেই।

ব্যবসায়ী সংগঠনের আরেকটি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থকরা বাইরে ঐক্যবদ্ধ থাকলেও ভেতরে বিভক্ত ছিলেন। আওয়ামী পন্থীদের একজন প্রভাবশালী, যিনি আগে এফবিসিসিআই এর সভাপতিও ছিলেন তিনি বিএনপি-জামায়াত পন্থী প্যানেলের পক্ষে কাজ করেছেন, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যেই শোনা গেছে। বিদ্রোহীদের অন্তত দুটি বৈঠকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। বিভক্তি, কোন্দল এবং অনৈক্য আওয়ামী লীগের যে কি ক্ষতি করে, তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো এই নির্বাচন। এই নির্বাচনে সরকার পন্থী প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটার নয়, সরকার এবং প্রভাবশালী মহলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সরকার তাদের সহজ জয় এনে দেবে, এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু তা হয়নি। ভোটার ছাড়া কেউই নির্বাচনে কোন দল বা প্রার্থীকে জেতাতে পারেনা। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী হবার জন্য ভোটারদের কাছেই যেতে হবে। পুলিশ, প্রশাসন বা বাইরের শক্তি আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে পারবে না। আর ব্যবসায়ীরা তারা কেউ কৌতুক অভিনেতা রবিউলের মতো ভোঁ দৌড় দিয়ে পালাবে অথবা হাবা হাসমতের মতো হাসবে। তাদের কথা যদি আওয়ামী লীগ সিরিয়াসলি নেয়, তাহলে বিপদে পড়বে। আর যদি এটা হাসমত-রবিউলের কৌতুক হিসেবে মনে করে তাহলে স্বস্তি পাবে। মনে রাখতে হবে আগামী নির্বাচনের লড়াইটা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার একার। নির্বাচনের ভাগ্য বিধাতা শুধু জনগণ, আর কেউ না।


সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭