ইনসাইড পলিটিক্স

প্রায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী অপরিবর্তিত রাখবে আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 06/08/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আজ রোববার (৬ আগস্ট) গণভবনের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভার মাধ্যমে নির্বাচনের বার্তা ঘোষণা করল ক্ষমতাসীন দলটি। টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু দিক নির্দেশনাই নয়, আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন কিভাবে দেওয়া হবে বা কারা মনোনয়ন পাবেন না সে সম্পর্কেও তিনি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এটা মাথায় রেখেই আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করছে। আর এরকম পরিকল্পনায় প্রধান বিষয় হচ্ছে এমন সব প্রার্থীদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করা যারা বিজয়ী হতে পারবেন। সূত্রগুলো বলছে, সর্বশেষ তিনটি জরিপের আলোকে দেখা যাচ্ছে যে প্রায় অর্ধেক আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অপরিবর্তিত রাখবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে যারা জয় লাভ করেছে তারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবে। 

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, ২০০১ এর নির্বাচনে যে সমস্ত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে যারা এখনও জীবিত রয়েছেন তারা এবার আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আর এর বাইরে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন এবং এলাকায় যাদের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট রয়েছে তারা মনোনয়ন পাবেন। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, জনপ্রিয় প্রার্থীদের ব্যাপারে কোনো ধরনের পরিবর্তন আওয়ামী লীগ আনবে না। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ফারুক খানের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন এ নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। এছাড়া দলের চিফ হুইপ লিটন চৌধুরী, দলের জনপ্রিয় নেতা ছয়বারের এমপি মির্জা আজমসহ আরও যারা একাধিকবার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এবং এলাকায় জনপ্রিয় হয়েছিলেন তারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ইতিমধ্যে বর্তমান এমপিদের মধ্যে যারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদেরকে সেই বার্তাটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজে অথবা সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেয়া হয়েছে। ফলে সবুজসংকেত নিয়ে তারা এখন নির্বাচনের মাঠে প্রচারণা করছে। আওয়ামী লীগের প্রথম কৌশল হল ১৫০ আসনে জয় সুনিশ্চিত রাখা এবং সেই বিবেচনায় অর্ধেক প্রার্থীকে এমনভাবে বাছাই করা হচ্ছে যারা যেকোনো পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেন। এছাড়া আরও ৪০টি আসন আওয়ামী লীগ রাখতে চায় যেখানে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। 

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যতই আন্দোলন হোক না কেন বা যতই নেতিবাচক প্রচারণা হোক না কেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যতই সমালোচনা করা হোক না কেন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ মনে করছে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাহলে আওয়ামী লীগ আবার মহাজোটের আদলেই নির্বাচন করবে। তখন জাতীয় পার্টিকে তাদের প্রয়োজন হবে। কারণ জাতীয় পার্টির যদি আলাদা নির্বাচন করে তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হতে পারে বলে নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এজন্য শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ মহাজোটের আদলেই নির্বাচন করবে এবং সেখানে হয়তো যারা নিশ্চিত প্রার্থী সেখানেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭