ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকের অর্থপাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নীরব কেন?


প্রকাশ: 08/08/2023


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থ পাচার এবং দুর্নীতি নিয়ে অত্যন্ত সক্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থানে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়কারী বাংলাদেশ সফর করেছেন। এই সফরে বাংলাদেশ থেকে কিভাবে অর্থ পাচার হয়, কারা অর্থ পাচার করে এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে কি কি ধরনের ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যারা অর্থ পাচার করে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এমন একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে রিচার্ড নেফিউ বক্তব্য থেকে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন এবং জ্ঞাত আয়ের এর উৎস বহির্ভূত অর্থ দিয়ে তিনি লন্ডনে বিলাসী জীবন যাপন করেন সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র নীরব কেন? তাহলে কি বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে যান এবং সেখানে তিনি এখন পর্যন্ত অবস্থান করেছেন। লন্ডনে তিনি তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি তিনি একটি কোম্পানি সেখানে পরিচালনা করেন। সেই কোম্পানিটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি। গত তিন বছরে সেই কোম্পানির কোন কার্যক্রম নাই। কিন্তু লন্ডনে তারেক জিয়ার একাধিক সম্পদ এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের খবর পাওয়া গেছে। তিনি এই বিপুল অর্থ কোথা থেকে পেলেন, কিভাবে পেলেন সেটি একটি প্রশ্ন। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারেক জিয়াকে বিভিন্ন ব্যক্তিরা অর্থ সহায়তা দেন। সেই অর্থ সহায়তা দিয়ে তিনি চলেন । অর্থাৎ প্রচ্ছন্নভাবে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে তারেক জিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করেই লন্ডনে জীবন যাপন করেন। কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি করে কিংস্টনের মত জায়গায় একাধিক বাড়ির মালিক হওয়া কিভাবে সম্ভব সেটি একটি ভয়ঙ্কর প্রশ্ন। 

ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশী মুদ্রায় কিংস্টনের মত অভিজাত এলাকায় দুটি বাড়ির মূল্য কম করে হলেও বাংলাদেশি টাকায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা। এছাড়াও তারেক জিয়া লন্ডনে দুটি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। একটি গাড়ি ল্যান্ড রোভার, অন্যটি বিএমডব্লিউ। লন্ডনের মত স্থানে এই রকম দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার তার পক্ষে কিভাবে সম্ভব সে প্রশ্ন উঠেছে। তারেক জিয়া লন্ডনে নিয়মিতভাবে নাইট ক্লাবে যান এবং সেখানে বিপুল অর্থ ফুরান। এছাড়াও তিনি স্টার ফোর্ডের ওয়েস্টফিল্ডে ক্যাসিনোতে যান এবং সেখানে তিনি নিয়মিত বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে জুয়া খেলেন। এই জুয়ার অর্থ তিনি কোত্থেকে পান সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তারেক জিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন স্থানে বসে অপপ্রচার করছে তারা বিপুল পরিমাণ টাকা পায়। এই টাকা তারেক জিয়া কোত্থেকে পান সেটি একটি বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশে সহিংসতা করার জন্য এবং রাজনৈতিক আন্দোলন করার জন্য তারেক জিয়া বিভিন্ন সময় অর্থ পাঠান। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিমাসে তারেক জিয়ার ব্যয় অন্তত ১০০ কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠেছে যে, এই অর্থ তারেক কোত্থেকে পান। 

বিভিন্ন মহল মনে করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের অর্থপাচার নিয়ে সোচ্চার এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে তখন তারেক জিয়ার ব্যাপারে তারা নীরব কেন? এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ২০০৭ সালে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল এবং তাকে দুর্নীতির শিরোমনি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। তারেক জিয়া বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে এমন অভিযোগও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠল যে এখন কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাহলে অন্য সুরে কথা বলছে। এখন কেন তারেক জিয়ার ব্যাপার তারা নীরব। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭