ইনসাইড পলিটিক্স

যেকোনো পরিস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চায়


প্রকাশ: 08/08/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে—এমনটি মনে করে আওয়ামী লীগ। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কৌশল সুস্পষ্ট। আওয়ামী লীগ যেকোনো পরিস্থিতিতেই নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি অংশগ্রহণ করুক না করুক বা অন্য কোন দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াক সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ মনে করে যে, সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নমুখী আলোচনায় এই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে কথা বলেছেন এরকম অন্তত দুইজন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি মনে করেন যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রে বিএনপিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর যদি কোন ভাবে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায় এবং নির্বাচনের আগে একটি সন্ত্রাস সহিংসতা সৃষ্টি করা যায় তাহলে নির্বাচন বানচালের পথ তৈরি সহজ হবে। একটি মহল সেই চেষ্টাই করছে। নির্বাচন যদি কোনভাবে বানচাল করা যায় তাহলে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৈরি হবে। 

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করছে না ঠিকই কিন্তু তারা মনে করছে যে বিএনপি যদি এই দাবিতে অনড় থাকে তাহলে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হবে। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি স্বীকৃতি না দেয় তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো এই নির্বাচনকে প্রশ্ন তুলবে। ফলে নির্বাচনের আগেই একটি সংকট অবস্থা তৈরি হবে এবং এই সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এক-এগারোর মত একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার সুযোগ তৈরি হবে। আর এই কৌশলকে বাধাগ্রস্ত করাটাই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। 

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যে স্যাংশনই দেয়া হোক না কেন বা যে ধরনের হুমকি হুঁশিয়ারি দেয়া হোক না কেন আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন করে ফেলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য দেশগুলো যে সমস্ত ব্যবস্থা নিবে সে গুলোকে ধীরে ধীরে সামাল দেওয়া যাবে। 

সূত্র মতে, ভারতও মনে করে যে বাংলাদেশের নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবে হওয়া উচিত। বাংলাদেশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা একদিকে বিএনপিকে বলছে যে তারা যেন তাদের দাবিতে অটল থাকে অন্যদিকে তারা আওয়ামী লীগের বলছে যে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য কোন কিছু বোঝে না। অর্থাৎ দেশের নির্বাচন না হোক সেটি তাদের চাওয়া। আর সেই চাওয়াটা যেন পূরণ না হয় সেই জন্যই আওয়ামী লীগ মনে করছে যে একবার নির্বাচন করে ফেলতে পারলে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তিন মাস বা ছয় মাস পর্যন্ত চলবে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। কাজেই আওয়ামী লীগ যেকোনো পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চায় এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া মাঠে গড়াক এটা চায়। আর এ কারণে আওয়ামী লীগ এখন অন্য তৎপরতা বাদ দিয়ে নির্বাচনী আবহ এবং আমেজ যেন দেশে তৈরি হয় সেই ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭