ইন্দোনেশিয়ার মিস ইউনিভার্সের ছয় প্রতিযোগী এবার সামনে আনলেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আয়োজকদের হাতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন তারা। এমনকি অর্ধনগ্ন করে শরীরে হাত দেওয়া থেকে তা ক্যামেরাবন্দি করার দাবিও করা হয়েছে।
বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীদের বাছাইয়ের পর্ব চলেছে। ওই সময়ে এই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রতিযোগীদের ঘরভর্তি লোকের সামনে জামাকাপড় খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র অন্তর্বাসে দাঁড় করিয়ে চলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এরপর তাদেরকে ওই অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়।
তবে এমন কোনো নিয়ম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় নেই বলেই দাবি করেছেন তাদের আইনজীবী মেলিসা অ্যাংগেরাইনি। বিষয়টি নিয়ে মিস ইউনিভার্সের আয়োজকদের তরফ থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগের কথা কানে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছেন তারা।
জাকার্তার পুলিশ জানায়, মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার প্রতিযোগীরা আয়োজকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। মিস ইউনিভার্সের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই এমন অভিযোগের কথা তারা শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারা।
গ্লোবাল মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যৌন হেনস্তার অভিযোগকে তারা গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকে। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ যেন সুরক্ষিত হয়, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও লক্ষ্য।
সাবেক মিস ইন্দোনেশিয়া মারিয়া হারফান্তি বলেন, “শরীর পরীক্ষা করার ঘটনা স্বাভাবিক। তবে কখনোই প্রতিযোগীদের ‘নগ্ন’ হতে বলা হয় না। শারীরিক নানা বিষয় নিয়ে প্রতিযোগীদের শুধু প্রশ্ন করা হয়।”
মিস ইউনিভার্সের এটি ৭৩তম সংস্করণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে এই প্রতিযোগিতা বেশ জনপ্রিয়। যিনি মিস ইউনিভার্স হন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।