ইনসাইড পলিটিক্স

২৫০ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত


প্রকাশ: 09/08/2023


Thumbnail

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে, অন্য কোনভাবে নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া যদি বাংলাদেশে নির্বাচন হয় সে নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না বলেও ঘোষণা করেছে। এই দাবিতে দলটি একদফা আন্দোলন করছে। একদফা আন্দোলনের কর্মসূচিতে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী শুক্রবার বিএনপি গণমিছিল করবে। বাইরে আন্দোলন, যুদ্ধাংদেহী ভাব থাকলেও বিএনপি এখন নির্বাচনের পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া প্রতিদিনই বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছেন এবং মনোনয়ন চূড়ান্ত করছেন। বিএনপি অন্তত তিনজন নেতা নিশ্চিত করেছেন যে, ২৫০ আসনে বিএনপি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে এবং এই প্রার্থীদেরকে বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তারা যেন তাদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার কাজ শুরু করে আন্দোলনের পাশাপাশি। সে অনুযায়ী বিএনপির এই সমস্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় এখন গণসংযোগ করছেন। আবার আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছেন। 

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, সারাদেশে বিএনপির কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা এবং চাঞ্চল্য হচ্ছে তার একটি বড় কারণ হল নির্বাচনের সবুজসংকেত। নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণে কর্মীদের পেছনে টাকা খরচ করছেন নেতারা এবং তাদেরকে উজ্জীবিত করতে পারছেন। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি রূপ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যে দলগুলো আন্দোলন করছে তাদের জন্য ৫০টি আসন ছেড়ে দেবে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য ৫০টি আসন রেখে তারা বাকি ২৫০ আসনে নিজস্ব প্রার্থী দেবে। তবে আগামী নির্বাচনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সাথে জোট করবে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যদিও তারেক জিয়া ব্যক্তিগতভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে রাজি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে। আর সে কারণেই বিএনপি হয়তো শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির তে যাবে না। বিএনপির মধ্যে একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা কৌশলগত কারণে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারটি গোপন করছে। 

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, আমরা সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শেষ মুহূর্তে যদি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেই তাহলে আওয়ামী লীগ বিপদে পড়বে। কারণ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রার্থী বাছাই ইত্যাদি নানা সমস্যা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা রয়েছে। তারা ধরেই নিয়েছে এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে এবং একতরফা নির্বাচন হবে। কিন্তু সেটি দেয়া হবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে এমন ভাবে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে যে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোন কারচুরি করার সুযোগ পাবেনা। আর এ রকম একটি নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে যাবে। সেটি যে সরকারের অধীনেই হোক না কেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭