ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার


প্রকাশ: 11/08/2023


Thumbnail

কূটনীতিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক মহলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে দলের অনুমতি ছাড়া কেউই মার্কিন দূতাবাস বা মার্কিন কোন কূটনীতিকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করতে পারবে না। একইসাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ কোন কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার সাথে দেখা করতে চাইলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে করতে হবে। একই সাথে সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি সই করবে না। নির্বাচনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিসোমিয়া এবং আকসা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। এই চুক্তি আপাতত বাংলাদেশের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত যদি রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক তৎপরতা চালান তাহলে সেটিকে কূটনৈতিক রীতি নীতির আওতায় প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতিক আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের সভায় এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, খুনি রাশেদকে ফেরত দেয়া সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার পরিপন্থী বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ সোচ্চার হবে। খুনি রাশেদকে ফেরত দেওয়ার প্রতিবাদে ওয়াশিংটন সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানা গেছে। একই সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাক না গলায় সেজন্য সেজন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোচ্চার করা হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ যে সমস্ত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বিবৃতি দিচ্ছেন তাদেরকে সঠিক তথ্য দিবে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ব্যাপারে পাল্টা অবহিত করণ কর্মসূচি পালন করবে। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনস্থ মার্কিন দূতাবাসকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে তারা যেন নিয়মিতভাবে মার্কিন কংগ্রেসম্যান সিনেটরদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদেরকে প্রকৃত তথ্য অবহিত করেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ যেন কিছুতেই তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্বেষী হিসেবে প্রমাণিত না করে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার লক্ষ্য রাখবে।

সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে। কিন্তু তা যেন ভিয়েনা কনভেনশনের আলোকে হয় এবং উভয় দেশের জন্য সম্মানজনক হয় সেটা নিশ্চিত করবে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকে বলে দেওয়া হয়েছে এখন থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বা মার্কিন দূতাবাস থেকে বৈঠক করতে চাইলে আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে বা অন্য কোন জায়গায় বৈঠক করতে পারবেন না। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত প্রেক্ষিতেই সরকার এবং আওয়ামী লীগ এই পদক্ষেপ গুলো নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সরকার এবং আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশ এই নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ দেশের সম্মান এবং মর্যাদার ব্যাপারে অটল থাকবে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭