এডিটর’স মাইন্ড

সংকটে চাটুকাররা পালায়, বঞ্চিতরা পাশে দাঁড়ায়


প্রকাশ: 14/08/2023


Thumbnail

১৪ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেষ কর্মসূচী ছিলো গণভবনে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিন আহমেদ উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। গণভবনে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নাম্বার আসেন। পরদিন ১৫ আগস্ট ছিলো ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তোফায়েল আহমেদকে সকালে আসার নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় বাসভবনে যান। পরদিন বঙ্গবন্ধুর আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি। ১৫ আগস্টের নৃশংস বর্বরতার পর কোথায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চারপাশে থাকা সুসময়ের চাটুকাররা? আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি প্রশ্ন তোলেন। প্রতিবার তিনি বলেন ‘এত বড় দল, এতো নেতা, কোথায় ছিলো সেদিন? কেন তারা প্রতিরোধ করতে পারেনি? প্রতিবাদ করতে পারেনি?’

১৫ আগস্টের বিভৎসতার সময় তোফায়েল আহমেদ, ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। সদ্য বিদায়ী একান্ত সচিব ফরাস উদ্দিন আহমেদ, তার বিদেশে যাত্রা বাতিল করেননি। খুনী মোশতাকের কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র যান। জাতির পিতার রক্তাক্ত দেহ যখন ধানমন্ডী—৩২ নম্বরের সিড়িতে, তখন বঙ্গভবনে অবৈধ খুনী মোশতাকের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার শপথ আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার হাতে গোনা দুএকজন ছাড়া সবাই খুনী মোশতাকের অনুগত্য মেনে অবৈধ সরকারের মন্ত্রী হন। ড: কামাল হোসেন ছিলেন বিদেশে। যেখান থেকেও তিনি কোন প্রতিবাদ করেননি। আবদুল মালেক উকিল বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিদেশে বসেই। এরা সবাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ। প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর স্তুতিতে ভরা বক্তব্য রেখে এরা গলা ফাটাতেন। খুনী মোশতাক তো চাটুকারিতায় সবাইকে পিছনে ফেলে ছিলেন। জাতির পিতার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারী। তার ষড়যন্ত্রেই ছিটকে পরেন তাজউদ্দিন আহমেদের মতো নেতা। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাজউদ্দিন আওয়ামী লীগ বা বাকশালের কেউ ছিলেন না। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পদত্যাগ করেন মন্ত্রীসভা থেকে। রাজনীতিতে অপাংক্তেয়, অনাহুত হয়ে পরেন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং যোগ্য মানুষটি। পচাত্তরে জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, যোগ্য আদর্শবানরা কখনও বিশ্বাসঘাতক হয় না। চাটুকাররাই খোলস পাল্টায়। পিছন থেকে ছুরি মারে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট ছিলেন তৎকালীন মন্ত্রীপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমাম। সেই মন্ত্রী পরিষদ সচিবই খুনী মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো সিরাজুল হক। বঙ্গবন্ধুই তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আনেন। চাটুকারদের দাপটে বঙ্গবন্ধু তার ঘনিষ্ট বন্ধুকেও মন্ত্রী  করেননি। সেই বঞ্চিত সিরাজুল হক বঙ্গভবনে গিয়ে খুনী মোশতাককে ‘অবৈধ শাসক’ বলে ছিলেন। বন্দুকের নলের মুখেও নির্ভীক চিত্তে বলেছিলেন ‘কিসের রাষ্ট্রপতি, তুমি খুনী। আমি তোমাকে মানি না।’

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে পিতা মানতেন। জাতির পিতার নির্দেশে অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাটুকারদের ভীড়ে বঙ্গবন্ধুর অতি প্রিয় মানুষটিও সে সময় বঞ্চিত ছিলেন। যোগ্যতা অনুযায়ী তার মূল্যায়ন হয়নি। সেই অবহেলিত বঙ্গবীরই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকন্ডের পর গর্জে উঠেছিলেন। শুরু করেছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের তৃণমুলের কর্মীরা তাকিয়ে ছিলেন নেতাদের দিকে। নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষায়। কিন্তু প্রায় সব নেতা কাপুরুষের মতো গুটিয়ে যান। কোথাও কোথাও বঞ্চিত, ত্যাগী পরীক্ষিতরাই নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষা না করে প্রতিবাদ করেছেন। জেল, জুলুম, নিযার্তন সহ্য করেছেন। ৭৫ এর ট্রাজেডির নির্মোহ বিশ্লেষনে একটি সত্য আবিষ্কৃত হয় সহজেই। তা হলো সুসময়ে চাটুকাররা ভীড় করে। তারা নানা রকম সুযোগ সুবিধা নেয়। কিন্তু দুঃসময়ে তারা চেহারা পাল্টায়। যারা সত্যিকারের শুভাকাঙ্খী, তারা সমালোচক হয়। এজন্য সুসময়ে তারা অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু দুঃসময়ে এরাই পাশে দাঁড়ায়। এটা শুধু আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে নয়। সব রাজনৈতিক দলের জন্য প্রযোজ্য। অবৈধ স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। হত্যা, ক্যু চক্রান্তের ধারায় তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন। পাকিস্তান পন্থী এই সেনাশাসক, সামরিক বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ভয় করতেন। সব সময় তিনি আতংকে থাকতেন, মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারাই তাকে উৎখাত করতে পারে। একারনেই তিনি পাকিস্তান প্রত্যাগত এরশাদকে বেছে নিয়েছিলেন সেনা প্রধান হিসেবে। এরশাদ চাটুকারিতায় জিয়াকে মুগ্ব করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়া নির্মম হত্যাকান্ডে এরশাদের ভূমিকা আজো প্রশ্নবিদ্ধ, অমীমাংসিত। অনেকেই মনে করেন, জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় হলে অন্ধকার সরে যেত। কিন্তু তা হয়নি। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদও চাটুকারদের পছন্দ করতেন। চাটুকারদের চারপাশে রাখতেন। চাটুকারিতার প্রতিযোগিতার যিনি চ্যাম্পিয়ন হতেন তাকে প্রধানমন্ত্রী এমনকি উপ রাষ্ট্রপতিও বানাতেন। সামরিক স্বৈরশাসকের মা মারা যাওয়ার পর দেখা গেল এক অভাবনীয় দৃশ্য। এরশাদের চেয়েও শোকে কাতর হলেন কাজী জাফর আহমেদ এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। এরশাদও তাদের কান্নার মাতম দেখে চমকে গিয়েছিলেন। শোকের মধ্যেই এরশাদ এই দুই চাটুকার নেতাকে সান্তনা দিয়ে বলেছিলেন ‘মোয়াজ্জেম আমার মা মারা গেছে। তোমার না।’ এরশাদের পতনের পর তার চাটুকার সভার কেউই শেষপর্যন্ত থাকেনি জাতীয় পার্টিতে। শাহ মোয়াজ্জেম, কাজী জাফর, ব্যারিস্টার মওদুদ জাতীয় পার্টি ছেড়ে সময় সুযোগ মতো চলে যান বিএনপিতে। এরশাদ জামানায় মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন অপাংক্তেয়, পরিত্যক্ত। বঞ্চিত এই বর্ষীয়ান নেতাই জাতীয় পার্টির হাল ধরেন। ৯১ এর নির্বাচনে অস্তীত্বের সংকটে থাকা জাতীয় পার্টিকে নতুন জীবন দেন এই প্রবীন নেতা। রওশন এরশাদে অরুচি ছিলো স্বৈরশাসক এরশাদের। রোমান্টিক কবি এই স্বৈরাচারের প্রেম কাহিনীর নানা গুঞ্জন ছিলো। মেরী মমতাজ,  জিনাত মোশারফ ইত্যাদি। কিন্তু এরশাদের দূর্দিনে তারা কেউ থাকেনি। একমাত্র রওশন এরশাদই দুঃসময়ে সব গঞ্জনা ভুলে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

৯১ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্টতা পায় বিএনপি। জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করেন বেগম জিয়া। এসময় চাটুকারিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ব্যারিস্টার নাজমূল হুদা। বিএনপির ‘কিচেন ক্যাবিনেটের’ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। রাজনীতিতে দূর্গন্ধযুক্ত কথা বলার ক্ষেত্রে শাহ মোয়াজ্জেমের যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে খ্যাতি পান নাজমূল হুদা। চাটুকারিতায় বেগম জিয়ার প্রিয়ভাজনে পরিণত হন। বিএনপিতে হয়ে হঠেন ক্ষমতাধর। কিন্তু ৯৬ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সময় বেগম জিয়াকে চমকে দিয়ে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফমূর্লা অবিস্কার করেন। রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতার এই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা।

১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি পছন্দ করেন, দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহবুদ্দিন আহমেদকে। ৯১ এ নানা নাটক করে, নিজের লোভে জানান দিয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ। দেশ এবং জনগণের জন্য যে তার কোন কমিটমেন্ট ছিলো না, তা প্রমাণিত হয় শুরুতেই।  তিনি শর্ত দেন যে নির্বাচন শেষে তিনি আবার স্বপদে (প্রধান বিচারপতি) ফিরে যাবেন। একজন মানুষ কতটা স্বার্থপর হলে এধরনের শর্ত দিতে পারে তা ভাবতেই অবাক লাগে। সে সময় সবাই ধরেই নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করে সাহবুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের হৃদয় জয় করেন। বুদ্ধি বৃত্তিক চাটুকারিতার তিনি জয়ী হন। একারণেই ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ হাসিনা তাকেই বেছে নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি হবার পর আওয়ামী লীগের কি সর্বনাশ তিনি করেছিলেন, ইতিহাস তার সাক্ষী। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি ফিরেও তাকাননি।

২০০১ সালে বিএনপি—জামায়তি জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতা কে চিরস্থায়ী করতে সব আয়োজন নিপুন ভাবে সম্পন্ন করেন তারেক জিয়া। এসময় বেগম জিয়া, তারেক জিয়া মঈন ইউ আহমেদের চাটুকারিতার মুগ্ধ হয়েছিলেন। ভেবে ছিলেন একান্ত আপন। সাতজনকে ডিঙিয়ে তাকে সেনা প্রধান করেছিলেন। এই মঈন ইউ আহমেদের হাতেই বেগম জিয়ার সর্বানাশ হয়। একান্ত অনুগত গৃহভূত্যেও মতো রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এজন্যই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্ববান রাষ্ট্রপতি তার চক্ষুশুল হয়। ড: ইয়াজউদ্দিন আহমেদের মতো চাটুকারকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু ইয়াজউদ্দিন প্রমাণ করেছেন চাটুকাররা ‘অযোগ্য’ হয়। সংকটে কোন কাজে লাগেনা। মেরুদন্ডহীন মোসাহেবরা যেকোন রাজনৈতিক দলের জন্যই ক্ষতিকর। বিপদজনকও বটে।

এক এগারোর সময় শেখ হাসিনার সবচেয়ে কাছের মানুষরাই তার সাথে প্রতারণা করেছে, করেছে বিশ্বাস ঘাতকতা। প্রয়াত মুকুল বোস, আবদুল মান্নান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সামনে টেনে এনেছিলেন শেখ হাসিনাই। এরা অনেক যোগ্যদের পিছনে ফেলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সামনে এসেছিলেন। কিন্তু এক—এগারোতে সংস্কারপন্থী হয়ে এরা প্রমাণ করেন, অযোগ্যরা সংকটে চেহারা বদলায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি, একদা বিভ্রান্ত বাম মাহামুদুর রহমান মান্নাকে টেনে এনেছিলেন আওয়ামী লীগে। চাটকদার স্তুতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার কল্যাণে তিনি আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে হয়ে উঠেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরা যেকোন দলের জন্যই ভয়ংকর ক্ষতিকর। এক—এগারো তার প্রমাণ।  উড়ে এসে আওয়ামী লীগের মতো দলের সংগঠনিক সম্পাদক হওয়া মান্না এখন পারলে তার সাবেক নেতার মুন্ডু চিবিয়ে খান। ৭৫ এর পর জোহরা তাজউদ্দিন, বেগম সাজেদা চৌধুরীর মতো বঞ্চিত অনাহুতরাই আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ৮১ তে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এক—এগারোতেও প্রয়াত জিল্লুর রহমান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেগম মতিয়া চৌধুরীর মতো কম গুরুত্বপূর্ণরাই আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ট, প্রিয় আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাদেক হোসেন খোকা এক—এগারো দুঃসময়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, বিগ্রেডিয়ার হান্নান শাহ কিংবা রুহুল কবির রিজভীর মতো উপেক্ষিতরাই বিএনপিকে সেই সংকটে বাঁচায়। এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার ধারাকে প্রবাহমান রেখেছেন, ত্যাগী, পরীক্ষিত, আদর্শবান নেতা—কর্মীরা। অনুপ্রবেশকারী, অতিথি পাখিরা দলভাঙ্গিয়ে কেবল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে। রাজনীতিকে কুলষিত করেছে চাটুকার, সুবিধাবাদী, মতলববাজরা। দুঃসময়ে এরা পালায় অথবা বদলায়। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা কেউ শিক্ষা নেই না।

 

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল: poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭