ইনসাইড থট

১৫ আগস্ট কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে


প্রকাশ: 15/08/2023


Thumbnail

গতকাল ১৪ আগস্ট দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিক দার্শনিক শেখ হাসিনার একটি নিবন্ধ “বেদনায় ভরা দিন” লেখাটি পড়লাম। লেখাটি পড়ে বেশকিছু স্মৃতি আমার মনে পরে গেল। একটি কথা আমি বলে নিতে চাই যে, বঙ্গবন্ধুর একজন সামান্য কর্মী হিসেবে আমার সৌভাগ্য হয়েছে তখন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সাথে মেশার এবং তিনি একাধিকবার তার হাত আমার মাথায় রেখেছেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত এর মূল্য দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ্‌ আমাকে দেয়নি। ঠিক তেমনিভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে “মোদাচ্ছের ভাই” বলে ডাকেন। এর মূল্য দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তার “বেদনায় ভরা দিন” লেখাটি পড়ার পর ১৭ কোটি বাঙালি যে দলই করুক না কেন, চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এক থেকে দেড় বছরের মাথায়, তখন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী মো: শাহজাহান একটি বাংলা বার্তা নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করত। সেই পত্রিকায় আমি “দশটি এলসেসিয়ান কুকুর পুষলেও বঙ্গবন্ধু এভাবে নিহত হতেন না” শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। কথাটি কতটা সত্য সেটি আবারও প্রমাণিত হল। দার্শনিক শেখ হাসিনার “বেদনায় ভরা দিন” লেখাটিতে অনেকের নাম বেরিয়ে এসেছে। এখন আমাদের শুধু একটাই দাবী, এই লেখার প্রতিফলন আমরা দেখতে চাই, আমাদের জীবদ্দশায় দেখতে চাই।

দার্শনিক শেখ হাসিনার কাছে কখনও কোন দাবী আমি করিনি। কিন্তু আজ দাবী হিসেবেই লিখছি, ১৫ আগস্ট হত্যার পেছনে যারা জড়িত ছিল, তাদের দুইটি গ্রুপ, একটি হচ্ছে যারা ষড়যন্ত্র করেছে এবং হত্যা করেছে। দ্বিতীয় গ্রুপটি হচ্ছে যাদের দায়িত্ব ছিল বঙ্গবন্ধুকে এবং তার পরিবারকে রক্ষা করা। তারা রক্ষাও করতে পারেনি এবং প্রতিবাদও করেনি। আমি তাদেরকে সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবী যানাচ্ছি। আপনি কিছু নাম উল্লেখ করেছেন এবং আরও গভীরে গেলে আরও অনেক নাম বেরিয়ে আসবে। তাদের অনেককে আপনি পুরস্কৃতও করেছেন। আমরা এখন জীবন সায়াহ্নে পৌছেছি। আমরা জীবিত থাকতে এই দুই গ্রুপেরই বিচার দেখতে চাই।

যাদের বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তারা কেন তাদের দায়িত্ব যথাযথ গুরুত্বের সাথে পালন করলেন না, সেটির বিচার করতেই হবে। এবং এই বিচারে তারা কোন দলের, কার কাছের, কার দুরের সেটি আমরা পরোয়া করি না। আমি মনে করি খুনি মোশতাকের সাথে তাদের কোন পার্থক্য নেই। যদি পার্থক্য করা হয় তাহলে সেটি ইতিহাসের সাথে অন্যায় করা হবে। আজ পর্যন্ত দার্শনিক শেখ হাসিনা কোন অন্যায় করেননি, কোন ইতিহাস বিকৃত করেননি। তার একটি বড় উদাহরণ হল বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”। শেখ হাসিনার জায়গায় অন্য কেউ হলে “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” যেভাবে আছে সেভাবে প্রকাশ হত না। তার ভেতরে কলম চালানো হত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা সেটি হতে দেননি। তিনি ইতিহাস যেমন ছিল সেভাবেই তা প্রকাশ করেছেন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে দার্শনিক শেখ হাসিনা একটি প্রতিজ্ঞা নিয়ে দেশে ফিরে ছিলেন। তিনি তার লেখায় বলেছেন, “বাবা-মা ও ভাইদের হারিয়ে ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসতে পেরেছি। একটি প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি, যে বাংলাদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, তা ব্যর্থ হতে পারে না। লাখো শহীদের রক্ত আর আমার বাবা-মা ও ভাইদের রক্ত ব্যর্থ হতে আমি দেব না।“ আমি দার্শনিক শেখ হাসিনাকে একটি কথাই বলতে চাই যে, যারা ১৫ হত্যার সাথে জড়িত, যারা তাদের দায়িত্ব অবহেলা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনুন। নাহলে তাদের রক্ত সত্যিই ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি সেটি কখনোই হতে দেবেন না। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭