ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস


প্রকাশ: 16/08/2023


Thumbnail

রাজনৈতিক অস্থিরতা যতই ঘনীভূত হচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতার তৎপরতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কারো কারো নির্লিপ্ততা, কারো অতিউৎসাহ এবং কারো অস্থিরতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন আলোচনার বিষয়। এদের মধ্যে পাঁচজন নেতাকে নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এই পাঁচজন নেতার মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। আর দুজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীরও উপদেষ্টা বটে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। তিনি প্রবাসে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হওয়া সত্ত্বেও যখন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে নানামুখী জটিলতা সরকার কাটাচ্ছে তখন তিনি নির্লিপ্ত। একজন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন ব্যক্তি যিনি আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পরিচিত এবং সমাদৃত তার নীরবতা নিয়ে আওয়ামী লীগে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন যে, তিনি আসলে কি করছেন। 

আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দীর্ঘ রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা তুলনাহীন। বিশেষ করে রাজনৈতিক কৌশলের খেলায় তার জুড়ি মেলা ভার সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সমঝোতা-সংলাপ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন। কিছুদিন আগে তিনি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সংলাপ এবং সমঝোতার কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি তিনি সংবিধানের আওতায় নতুন করে সংলাপের প্রস্তাবও উত্থাপন করেছেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে, আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক অবস্থান যেখানে সংলাপের বিরুদ্ধে, নির্বাচনে আসার ঘোষণা ছাড়া বিএনপির সাথে কোন ধরনের সংলাপ হবে না তখন তিনি কেন এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। আরেকজন উপদেষ্টা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ জনপ্রিয় বটে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নীরব দেখা যাচ্ছে। তার এই নীরবতা বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উপস্থাপন করেছে। ১৯৭৫ সালে তার ভূমিকা নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নেতারও সংকটে কি ভূমিকা রাখবেন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

আওয়ামী লীগের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তার সঙ্গে চীনা দূতাবাসের ঘনিষ্ট যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পক্ষ থেকে ওই নেতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, তিনি চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং ভারত বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন। যদিও ওই নেতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, চীনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ভারতের উত্থাপিত এই অভিযোগ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরকে চিহ্নিত করেছে। অন্য একজন নেতা বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। নিয়মিত বিভিন্ন দূতাবাস তাকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করছেন, তিনি উত্তরও দিচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের একজন আন্তর্জাতিক সম্পাদক থাকা সত্বেও এই নেতা কেন বিভিন্ন দূতাবাসে যাচ্ছেন বা বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নেতার বিরুদ্ধে অতীতে মনোনয়ন বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। এই ধরনের আরও কিছু নেতার তৎপরতা আওয়ামী লীগের মধ্যে নানারকম অস্বস্তি তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে তারা কি দলের হয়ে কাজ করছেন নাকি দলের ক্ষতি করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭