ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরে মানিলন্ডারিং অভিযান, আতঙ্কে বাংলাদেশি অর্থপাচারকারীরা


প্রকাশ: 17/08/2023


Thumbnail

সিঙ্গাপুরে হঠাৎ করেই বিদেশ থেকে পাচার করে আনা অর্থ জব্দ অভিযান শুরু হয়েছে। ‘ক্লিন ডার্টি মানি’-শিরোনামে এই অভিযানে সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স দেশটিতে বিভিন্ন স্থানে থাকা অর্থপাচারকারীদেরকে শনাক্ত করছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করছে। গত মঙ্গলবার এই অভিযানে একদিনে ১০০ কোটি ডলার উদ্ধার করেছে বলে সিঙ্গাপুর পুলিশ নিশ্চিত করেছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা সবাই অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার করেছিলেন এবং বিত্তের পাহাড় গড়েছিলেন। 

সিঙ্গাপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অর্থপাচারকারীদের একটি সুনির্ষ্ট তালিকা তৈরি করেই এই অভিযান পরিচালতি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবধৈ অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার কাজ করছে। সেই কাজের অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে অবৈধ অর্থের স্বর্গরাজ্য না হয়, তা প্রতিরোধ করতে বলা হয়েছিলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই সিঙ্গাপুরের অর্থপাচার প্রতিরোধে এই সাঁরাশি অভিযান শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার এই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত এই ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে সাইপ্রাস, তুরুষ্ক, চীন, কম্বোডিয়া এবং বানুয়াতুরের নাগরিকবৃদ্ধ। জানা গেছে, এই অভিযান অভ্যহত থাকবে এবং সামনের অভিজানে অন্যান্য দেশেরও যারা অবৈধভাবে অর্থপাচার করেছে এবং বিভিন্ন ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।  


সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা অবৈধ অর্থের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার পর, সিঙ্গাপুর হয়ে উঠেছিলো অবৈধ অর্থের একটা বড় ঠিকানা। বিভিন্ন লুন্ঠনকারীরা তাদের দেশ থেকে অর্থ পাচার করে সিঙ্গাপুরে সম্পদের পাহাড় গড়েছিলো। আর এই কারণেই এখন সিঙ্গাপুরের অভিযানটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, প্রথম দিনের অভিযানের পর সিঙ্গাপুরে যে সমস্থ বাঙ্গালিরা অবধৈভাবে অর্থপাচার করে নিয়ে এসেছেন, তারা আতঙ্কে রয়েছেন। শতাধিক বাঙ্গালি আছেন, যারা সিঙ্গাপুরে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ সিঙ্গাপুরে থাকেন, আবার অনেকে বাংলাদেশে থাকেন; কিন্তু সিঙ্গাপুররে বিভিন্ন সম্পদ ক্রয় করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যারা তাদের অর্থের উৎস বলতে পারবেন না এবং অর্থ বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে ঢুকেছে- এটির প্রমাণ দিতে পারবেন না, তাদেরকেই অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তবে সিঙ্গাপুরে যারা বিভিন্ন কোম্পানি খুলে ব্যাবসা করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদেরকে এই তালিকায় আনা হবে না। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে,  যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে অনেক বাংলাদেশির নামও রয়েছে  এবং এই অভিযানগুলো কখন, কিভাবে পরিচালিত হবে- তা গোপন করা হচ্ছে। কঠোর গোপনীয়তার মাঝেই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তাই কেউ বলতে পারছেন না, পরর্বতী অভিযান কবে হবে এবং কাদের কাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে? 

তবে নিরেপেক্ষ সূত্রগুলো বলছে, সিঙ্গাপুরে শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা বিপুল পরিমান অর্থপাচার করেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। আর এই অভিযানের পর পরই গত এক দশকে যারা সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে সিঙ্গাপুরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তারা আইনের আওতায় আসতে পারেন এবং তাদের সম্পদগুলো বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে একাধিক সূত্র বলছে। তাই বিভিন্ন বাংলাদেশি ধনাঢ্য, সম্পদশালী- যারা সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ গড়েছেন, তারা এখন আতঙ্কে রয়েছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭