ইনসাইড থট

আমি লজ্জিত, আমি দুঃখিত কিন্তু আমি কখনই হাল ছাড়ব না


প্রকাশ: 20/08/2023


Thumbnail

গত মাসে যখন আমি বাংলাদেশে ছিলাম, তখন আমাকে একজন সহকর্মী তার বাড়িতে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেখানে আমি একজন অমায়িক সাহসী অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিলাম, যিনি পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশে বাংলাদেশ শান্তি রক্ষা বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। আমি জাতিসংঘের সাথে জড়িত ছিলাম জেনে, কথায় কথায় তিনি বর্ণনা করলেন যে কীভাবে ফরাসি সেনা কর্মকর্তারা প্রায়শই রাতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীকে তাদের শিবিরের প্যারামিটারের বাইরে উদ্যোগী না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে, হকুম দিয়ে বলতো তাদের ক্যাম্পের ভিতরে থাকতে এবং বাইরে না যেতে। শান্তি রক্ষা বাহিনীর সেনারা আশ্চর্যজনকভাবে কিন্তু নীরবে পর্যবেক্ষণ করতো ফরাসি সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাতের অন্ধকারে খনিজ বোঝাই বড় বড় ট্রাকের পর ট্রাকের কাফেলার চলাচল। এইভাবে আফ্রিকান সম্পদ অপহরণ করা হচ্ছিল। শান্তিরক্ষী বাহিনী তাদের হালকা অস্ত্র দিয়ে কিছুই করতে পারেনি, তাদের থামানোর সাহস করেনি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেনি জাতিসংঘও। আমি ভেবেছিলাম ফরাসি সেনারা ইসলামিক জিহাদিদের ধ্বংস করার জন্য সেখানে আছে, তাদের সম্পদ লুট করতে নয়!! সিরিয়ার হোমস গভর্নরেটের আল তানিফে কী ঘটছে - মার্কিনিদের তেল খনি দখল ও লুটপাত? আমি ভেবেছিলাম জিহাদিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন এবং ফরাসি সেনারা পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে রয়েছে? আমার কথা শুনে জেনারেল সাহেব শুধু মুচকি হাসলেন। আমি কাজের জন্য কয়েক বার টোগো, চাদ, নাইজারে গিয়েছি এবং সেসব দেশের সাধারন মানুষের দারুন খারাপ অবস্থা দেখেছি। আফ্রিকার সেই খনিজ সমৃদ্ধ দেশগুলোতে এখনও অনেক দরিদ্র মানুষ। অশিক্ষিত, অপুষ্ট, উন্নয়ন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ইসলামি জিহাদি হত্যার নামে মার্কিন ড্রোন হামলায় হাজার হাজার নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিচারবহির্ভূতভাবে আজও হত্যা করা হচ্ছে। তারা হলেন অভিযুক্ত কারি, বিচারক এবং জল্লাদ। বিচারবহির্ভূতভাবে এই হত্যার বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রশ্ন করতে পারে না এবং করার সাহস করে না। তাই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশের ওপর আমেরিকার চাপ নিয়ে আলোচনার বাংলাদেশের টিভি টকশোতে একজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে বলতে শুনলাম, যুক্তরাষ্ট্রে যা হচ্ছে বা তারা যা করছে তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কোন কারন নেই, আমাদের উদ্বেগ হওয়া উচিত বাংলাদেশে কী হচ্ছে, তাই নিয়ে। আমি তার সাথে একমত। ঠিক আছে আমরা ওদের দেশে কি হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলবো না, কিন্তু তার কাছে আমার একটাই প্রশ্ন সেই দেশগুলোর কি আমাদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার এবং আমাদের বক্তৃতা দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার আছে? নাকি তাদের উচিত, শুধু চুপ করে বাংলাদেশের জন্য কোনটা সেরা, কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ তা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া। দাদাগীরি করা কেন? শুধু বাংলাদেশকে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধের কথা বলবেন না, যাঁরা সহজে গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগে দেশের দুর্নীতির টাকা তাদের দেশে জমা ও বিনিয়োগ করছে, সাথে সাথে তা বন্ধ করুন। এমন টাকা পাচারের নিরাপদ স্বর্গ তৈরি করে দুর্নীতি আর টাকা পাচার বন্ধ হবে না।

কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের নগ্ন হস্তক্ষেপের জন্য আমরা কেন বিদেশী সরকারকে দায়ী করব? তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশে দেশে তাদের রাষ্ট্রদূতদের পাঠানো হয়েছে। তারা তাদের দেশের স্বার্থ অর্জন করতে অতিরিক্ত মাইল যেতে কুন্ঠিত বোধ করবে না। সুতরাং, আমরা তাদের দোষারোপ করার আগে, আসুন আমরা আমাদের দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করি। আমরা কি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে বরণ করে গদ গদ হয়ে ছবি তুলতে দেখছি না? আমরা কি দেখছি না বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের আগে, দলের নেতারা নতজানু হয়ে ঐ দেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে সঙ্গে পরামর্শ এবং আশীর্বাদ পেতে দৌড়ের তার কাছে যেতে? আমি অবাক হয়ে টিভি টকশোতে এক রাজনৈতিক দলের নেতাকে গর্ব করে বলতে শুনলাম যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নাকি এখন আমাদের রাষ্ট্রপতির চেয়ে বড়? তাই বলি অন্যের দিকে আঙ্গুল না দিয়ে, যদি সার্বভৌম জাতী আর রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে আমাদের কোনো গর্ব না থাকে, তাহলে আমাদের চুপ করে থাকা উচিত এবং ঔপনিবেশিক শক্তির প্রজা বা দাসের মতো আচরণ করা উচিত। আমি অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখের সাথে একথা বলছি।

বাংলাদেশে থাকাকালীন বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশাল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন উচ্চ শিক্ষিত গবেষকও আমাকে তার বাসায় রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানান। কথায় কথায় আমি জিজ্ঞেস করলাম বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে তার মতামত কি? তিনি বলেন, বাংলাদেশ শেষ। এসব তথাকথিত মেগা প্রকল্প দেশকে ধ্বংস করছে। বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ বা আশা নেই, তাই আমি আমার সন্তানদের কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি। তারা সেখানেই থাকবে। খুব অবাক হয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলাম, বাংলাদেশ যদি এখনো পাকিস্তানের অধীনে থাকতো, তাহলে কি তিনি বিদেশ থেকে পিএইচডি করে নিজেকে শিক্ষিত করতে পারতেন? পারতেন, যেখানে কাজ করছেন সেখানে কাজ করতে? বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে তার সন্তানদের কানাডায় পাঠাতে পারতেন? তার ছেলে কি বিদেশী দেশগুলিতে তার রোবোটিক আবিষ্কার দেখাতে এবং তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে যেতে পারতেন? আমি আরো জিজ্ঞাসা করলাম তার বাবা-মা বা দাদা-দাদির বাড়ি কোথায় এবং সেখানে যেতে আগে কতক্ষণ সময় লাগত এবং এখন কতক্ষণ সময় লাগে? বিশ্বব্যাংক (২০২১) অনুসারে বাংলাদেশের আয়ু ৭২ বছর, কেন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি? কেন মহিলাদের মোট সন্তান ধারণের হার (TFR) এখন ২ (১়.৯৩, ২০২৩) এর নিচে? আমি বিনয়ের সাথে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি একজন বিজ্ঞানী হিসাবে আমাকে ব্যাখ্যা করতে এই সূচকগুলি তাকে কী বলে? সে চুপ করে রইল। আমি তার অতিথি ছিলাম, তাই বেশি কিছু বলতে পারিনি, মনের ভিতরে দুঃখ্যটা চেপে রেখেছিলাম।

১৯৭৩, তখন আমার বাবা রাঙামাটিতে ছিলেন। আমি তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র। ছুটি কাটাতে রাঙামাটিতে এসেছি। স্বাধীনতা দিবস এল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হল। রাঙামাটি কলেজের অধ্যক্ষ কথা বলার পর আমি হাত তুলে কথা বলতে চাইলাম। তারা আমাকে অনুমতি দিল। সংক্ষেপে আমি বলেছিলাম “আমরা ভৌগলিক স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা তখনই অর্জিত হবে যখন প্রত্যেকের জীবনযাত্রার উপযুক্ত পরিবেশ থাকবে, কাজের নিরাপত্তা সহ ক্রয় ক্ষমতা অর্জিত হবে, সবার নিজের ঘরে খাবার থাকবে, তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে পারবে, তাদের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে, নারীদের সমান অধিকার ও সুযোগ থাকবে এবং পরিবারের শান্তি ও সমৃদ্ধির পরিবেশ আর সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বপ্ন থাকবে”। আজ দেখার মত, বলার মত, গর্ব করার মত বাংলাদেশের রূপান্তর দেখুন। আজ, ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আমরা পৌঁছে যাচ্ছি সোনার বাংলার সেই স্বপ্নের দেশে। হ্যাঁ আমাদের সমস্যা আছে, আমাদের এমন কিছু লোক আছে যারা আমাদের দেশকে লুট করছে, তবুও আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। বাইরের কোনো অযথা হস্তক্ষেপ ছাড়াই আমরা তা অর্জন করতে পারি। হ্যাঁ আমরা তা পারব। কিন্তু আমাদের এমন গণতন্ত্রের দিকে তাকানো উচিত যেখানে প্রত্যেকে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এবং কেউ পিছিয়ে পরে থাকবে না। শুধু বাক স্বাধীনতা দিয়ে আমাদের পেট ভরবে না, আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত বয়ে আনবে না। সিঙ্গাপুরের দিকে তাকান, তারা কেমন আর কোথায় ছিল আর আজ এখন কোথায় আছে। মূল্যবোধ এবং মানুষের বিকাশে সময়ের দরকার।

বলুন তো কোন পশ্চিমা দেশে সেনানিবাসে বসে, ক্ষমতা আর জোর করে রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছিল? কেউ কি সেখানে সামরিক শক্তি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তথাকথিত হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন? কিন্তু আমাদের দেশে পাকিস্তানের মত সেনা বাহিনির কিছু সেনা জাতির পিতা ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে জঘন্য নিষ্ঠুর ভাবে হত্যার পর, এক সামরিক স্বৈরশাসক দ্বারা ক্যান্টনমেন্টে বিএনপি গঠিত হয়। সেই সামরিক স্বৈরশাসককে হত্যার পর আরেক জেনারেল ক্ষমতা দখল করে আরেকটি দল গঠন করেন। আজ ওই ক্যান্টনমেন্টের দলগুলো গণতন্ত্রের কথা বলছে? মানবাধিকার, বাক বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কথা বলছে। কোথায় ছিল তখন সেই অধিকারগুলো? জামাত যারা ৭ম নৌবহর দ্বারা সমর্থিত ছিল এবং অনেক শান্তিপ্রিয়, স্বাধীন প্রেমী মানুষকে হত্যা করেছিল, সেই দল কি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী? মানবাধিকার, বাক বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী? জামায়াতের ভাষা হল নৃশংসতা আর মানুষ হত্যা? আমার আপন খালাতো ভাই (মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মচারী) তার লাইফস্টাইল এবং তার বিশ্বাসের কারণে তার মায়ের সামনেই জবাই করা হয়েছিল, সেখানে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোথায় ছিল? তাহলে আমার প্রশ্ন কার সাথে আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিয়ে লড়াই করবো?

এটা সত্যি যে বাংলাদেশের ১০-২০% মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেনি। তারা এখনও করে না। বিএনপি তাদের ক্ষমতায় এনে তাদের নতুন জীবন দিয়েছে, উৎসাহিত, পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আজ আমরা যখন তাদের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের সমাগম দেখি, তখন ভাবি সেই সমাবেশে কতজন আছেন যারা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন? রাজাকার সাঈদীর মৃত্যু ও পরের ঘটনা আবারও নগ্নভাবে দেখিয়ে দিয়েছে সেই ব্যয়িত শক্তিগুলো এখনো আমাদের মাঝে বসবাস করছে। তাদের মাথা এবং কণ্ঠস্বর ওঠানোর চেষ্টা করছে। রাজাকার সাঈদীর মৃত্যু এবং মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে দৈনিক ইত্তেফাক খবর পড়ে অবাক হয়েছি? প্রথম আলোর, প্রথম পাতার কয়টি শিরোনাম আর বর্ণনা দেখে মনে হল এক জাতীয় বীরের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হল ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কিছু কর্মকর্তা সাঈদীর মৃত্যুতে তাদের সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। দুঃখিত, তিনি একজন খুনি এবং মা বোনের ধর্ষণের সহকারী ছিলেন। সে একজন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী। তবুও বাংলাদেশ তার জীবন বাঁচাতে সব করেছে। আমি লজ্জিত ও দুঃখিত বোধ করি, কত দ্রুত আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা ভুলে যাচ্ছি? আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করতে পারি কিন্তু আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ভুলতে পারি না।

এই মুহুর্তে আমাদের প্রয়োজন সমস্ত দল, যারা আমাদের স্বাধীনতা, আমদের পতাকা আর জাতির পিতা আর উন্নয়নে বিশ্বাসী, তাদের সবাই একত্রিত হয়ে লড়াই করা। আওয়ামী লীগ একা পারবে না। আওয়ামী লীগে মির্জাফর ছিল, আজও আছে। দলটিতে সুবিধাবাদী আর স্বাধীনতার বিরোধী অনেক লোক অনুপ্রবেশ করে দলের ক্ষতি করায় লিপ্ত। আমরা ধন্য যে আমাদের একজন প্রতিভাবান, দূরদর্শী, সাহসী নেতা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য একান্ত ভাবে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার পক্ষের সবার সমর্থন আজ বেশী প্রয়োজন। কোন ভুল করবেন না আমাদের বাংলাদেশে এবং অন্যান্য দেশে এমন অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুর আগে তাদের শেষ লাথি দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি আমরা সত্যিই স্বাধীনতা, আমাদের সমৃদ্ধি এবং আমাদের ভবিষ্যতে বিশ্বাস করি, তাহলে আসুন একসাথে সেই অপশক্তির ইতি টানি। আজ এটি এমন একটি লড়াই, যে লড়াইয়ে আমাদের অবশ্যই জিততে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭