এডিটর’স মাইন্ড

মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস


প্রকাশ: 21/08/2023


Thumbnail

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা আমাদের এক কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। জীবন ও মৃত্যুর দূরত্ব কতটুকু। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। ২১ আগস্টের ওই বিকেলই শেখ হাসিনার জন্য অলৌকিকতায় ভরা দিন ছিল না। বারবার বিভিন্ন সময়ে তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যদি ’৭৫-এর ৩০ জুলাই তার ছোট বোন এবং দুই সন্তান নিয়ে জার্মানিতে স্বামীর কাছে না যেতেন, তাহলে কী ভয়ংকর পরিস্থিতি হতো কল্পনা করলেও গা শিউরে ওঠে। শেখ হাসিনা তার প্রিয় শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রয়াত ড. আবদুল মতিন চৌধুরীকে নিয়ে এক হৃদয়স্পর্শী লেখা লিখেছেন। ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে লেখা ওই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ড. আবদুল মতিন চৌধুরী, ‘আমার স্মৃতিতে ভাস্কর যে নাম’ শিরোনামে এই লেখায় ১৫ আগস্টে দেশে থাকা না থাকা নিয়ে তার দ্বিধার কথা লিখেছেন। জার্মানিতে যাওয়ার আগে জুলাইয়ের শেষদিকে শেখ হাসিনা তৎকালীন উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। শেখ হাসিনা যখন তাকে বিদেশ যাওয়ার কথা বলেন, তখন উপাচার্য তাকে নিষেধ করেন। অন্তত ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনটা করে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সাক্ষাৎ শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন বিদায় নেবেন, তখনো উপাচার্য তাকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত থেকে যেতে বলেন। শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘দ্বিধাগ্রস্ত মন নিয়েই বাসায় ফিরলাম এবং ফিরে এসেই মাকে স্যারের অনুরোধের কথাটা বললাম। কয়েকদিন আগে থেকেই আমার ছেলে জয়ের খুর জ্বর এসেছিল। সুতরাং থেকে যেতেই মনস্থ করে ফেললাম। কিন্তু সন্ধ্যায় ড. ওয়াজেদের ফোন এলো জার্মানি থেকে। আমি ওয়াজেদকে স্যারের নিষেধ এবং ১৫ তারিখে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে আমার ইচ্ছার কথা জানালাম। ...উত্তরে আমার স্বামী জানালেন যে, তিনি ইতিমধ্যেই ছুটি নিয়ে ফেলেছেন এবং বাজার করে ফেলেছেন। অগত্যা আমি যাওয়াই স্থির করলাম।’ শেষ পর্যন্ত গেলেন, এটা কি কাকতালীয় নাকি সৃষ্টিকর্তার লিখন?

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যিনি সবকিছু হারালেন, তিনি তো মৃত্যুর মধ্যেই বসবাস করেন। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যেমন ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য বেঁচে ছিলেন, ঠিক তেমনি বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। প্রতিটি ঘটনা অবিশ্বাস্য। ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে লালদীঘি ময়দানে আটদলীয় জোটের সমাবেশ ছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ট্রাক মিছিলে সশস্ত্র হামলা করে স্বৈরাচারের পেটোয়া বাহিনী। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সেদিন তাদের প্রিয় নেতাকে রক্ষা করেন। এর পরের বছর ১৯৮৯ এর ১১ আগস্ট রাতে ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড হামলা চালায়। ১৯৯১-এর ১১ সেপ্টেম্বর গ্রিন রোডে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে যান শেখ হাসিনা। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে বিএনপির কর্মীরা গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান শেখ হাসিনা। ১৯৯৫-এর ৭ ডিসেম্বর শেখ রাসেল স্কয়ারের কাছে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। শেখ হাসিনাকে আরেকবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয় ১৯৯৬-এর ৭ মার্চ সন্ধ্যায়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তৃতার পর হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় ২০ জন আহত হন। ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার কথা ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কলেজের পাশে ৭৬ কেজি ও তিন দিন পর ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা হয়। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা এ দুটি বোমা উদ্ধার করে। পরের বছরও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। জঙ্গিরা সেখানে বোমা পুঁতে রাখে, যা গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে। ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে সিলেট গেলে তাকে হত্যার চেষ্টা করে হুজি। কিন্তু শেখ হাসিনার জনসভাস্থল থেকে ৫০০ গজ দূরে রাত ৮টার দিকে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই দুই জঙ্গি নিহত হওয়ায় এ ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করার পরের বছরই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর একাধিকবার প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। প্রথমবার হামলা করা হয় ২০০২ সালের ৪ মার্চ। সেদিন নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এরপর ২০০২ সালেরই ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালায়। শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয় ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট। কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার ওপর একটি যাত্রীবাহী বাস আড়াআড়ি ফেলে রেখে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিকসহ দলীয় অনেক নেতাকর্মী আহত হন। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি-জামায়াত। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার সবচেয়ে ঘৃণ্য এবং বর্বরতার ঘটনা ঘটে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় মারা যান ২৪ জন। স্প্লিন্টারের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনো শতাধিক নেতাকর্মী। ২০১১ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্রীলঙ্কার একটি সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের শত্রুরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে। কিন্তু আততায়ীদের দল গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় হত্যার পরিকল্পনা। ২০১৪ সালে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও প্রশিক্ষণরত অবস্থায়ই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ওই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। পরের বছর ২০১৫-এর ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময়ে কারওয়ান বাজারে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা করে জঙ্গি দল জেএমবি। ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২-এ শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আগস্টের মিছিলে জঙ্গিগোষ্ঠী আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা চালায়। যদিও পুলিশি বাধায় তা আর সফল হয়নি। এতবার হত্যা ও ষড়যন্ত্রের শিকার বিশ্বের আর কোনো রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন কি না, আমার জানা নেই। এই তো গেল শারীরিকভাবে হত্যার চেষ্টা। শেখ হাসিনা সম্ভবত বিশ্বে একমাত্র রাজনীতিবিদ, যাকে শুধু শারীরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কদিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে ‘একদফা’ ঘোষণা করা হয়েছে। একদফায় বলা হয়েছে—‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।’ তাদের একমাত্র টার্গেট শেখ হাসিনা। বিএনপি এখন ঘোষণা দিয়েই শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করতে চায়। একজন নেতা বা রাজনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করা গণতান্ত্রিক রীতি। কিন্তু তাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার চেষ্টা গর্হিত অগণতান্ত্রিক পন্থা। ১৯৮১ সাল থেকেই শেখ হাসিনা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটছেন। কখনো ঘরের, কখনো বাইরের শত্রুরা তার রাজনৈতিক হত্যার সব চেষ্টা করেছেন। ১৯৮১-তে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগেই তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, ’৭৫-এ যারা ন্যূনতম প্রতিবাদ করেননি, বিশ্বাসঘাতকতা করে খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের সেই ‘চাচা’রাই তরুণ শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তৃণমূলের ভালোবাসা এবং শক্তিতে ‘চাচা’দের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি অংশ ‘বাকশালে’র জন্ম দিয়ে রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনাকে চিরতরে বিদায় করতে চেয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অবিশ্বাস্যভাবে হেরে যায় আওয়ামী লীগ। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার প্রধান সমালোচকে পরিণত হয়ে যান। আওয়ামী লীগের নেতাদের মুখে এরকম কথা শুনেছি—‘শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকলে আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’ এ উপলব্ধি থেকেই ড. কামাল হোসেন ছেড়ে যান আওয়ামী লীগ। অভিমানে দুঃখে সে সময় শেখ হাসিনাও দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কোটি নিঃস্বার্থ কর্মীর আবেগ আর ভালোবাসার কাছে তিনি পরাস্ত হন। ২০০৭ সালে এক-এগারোর সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসে ‘শেখ হাসিনা মাইনাস ফর্মুলা’। শেখ হাসিনার রাজনীতি বন্ধ করে দাও। শারীরিকভাবে হত্যা করতে ব্যর্থরা একজোট হয় রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হত্যার মিশনে। একদিকে ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দিনের সরকার তার বিরুদ্ধে দায়ের করে মিথ্যা এবং হাস্যকর মামলা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের চার হেভিওয়েট নেতা সংস্কার প্রস্তাবের নামে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করেন রাজনৈতিক মৃত্যু পরোয়ানা। কিন্তু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দক্ষতা, বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা এবং তৃণমূলের শক্তি তাকে বাঁচায়। আবার বিজয়ী হন। এখন আবার চলছে কিলিং মিশন। এবার অবশ্য শুধু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়, রাজনৈতিক এবং শারীরিক দুরকমের হত্যারই নীল-নকশা প্রস্তুত। কিন্তু শেখ হাসিনার পক্ষে এখন শুধু আওয়ামী লীগের তৃণমূল নয়, সাধারণ মানুষও তার পক্ষে। বাংলাদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষ এখন জানে, বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

গ্রামের তরুণ জানে, শেখ হাসিনা আছেন বলেই সে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে পারে। একজন বিধবা মানুষের কাছে শেখ হাসিনাই দেবতা। কারণ তার জন্যই তিনি বিধবা ভাতা পান। একজন প্রসূতি মা বোঝেন, শেখ হাসিনার জন্যই তার বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে, যেখানে তিনি নির্বিঘ্নে বিনামূল্যে চিকিৎসা পান। ঘরহীন একজন মানুষ যখন ঘর পান তখন শেখ হাসিনাই তার কাছে সবচেয়ে আপন। একদা মজুরিবঞ্চিত গার্মেন্টসকর্মী কিংবা চা শ্রমিকদের একমাত্র নেতা তো শেখ হাসিনাই। গত ১৫ বছরে অসাধারণ দক্ষতায় তিনি তৃণমূলের ক্ষমতায়ন করেছেন। এ দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা। এ দেশের কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর তিনি। একমাত্র ভরসা। মৃত্যু সে তো অমোঘ নিয়তি। প্রতিটি মানুষই একদিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের কাজ দিয়ে অমরত্ব লাভ করেন। আজীবন বেঁচে থাকেন শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়। মৃত্যুর মধ্যে বসবাস করে, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে করতে শেখ হাসিনা ক্লান্ত হননি, বরং লাভ করেছেন অমরত্ব। অতীতে যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন, তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর এখন তিনি বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে গেছেন, যেখানে তিনি নিজেই পেয়েছেন ‘অমরত্ব’। সাধারণ মানুষকে হত্যা করা যায়। সাধারণ রাজনীতিবিদকেও রাজনীতি থেকে বিদায় করা সম্ভব। কিন্তু যিনি ‘অমর’ তাকে হত্যা করবে কে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ই-মেইল : poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭