ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ সহোদরের আমৃত্যু কারাদণ্ড, যাবজ্জীবন ৮


প্রকাশ: 23/08/2023


Thumbnail

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় হত্যা মামলায় দুই সহোদরকে  আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আরো আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসানাত এ রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকার ইয়াকুব মিয়ার ছেলে শামসুল ইসলাম ও তার ভাই সৈয়দ আহম্মেদ।

 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার ইয়াকুব মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী, আইয়ুব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, মো. ইউসুফের ছেলে আজম বাদশা ও আলমগীর, বেলায়েত আলীর তিন ছেলে জসিম উদ্দীন, আবুল কাশেম ও নাজিম উদ্দীন এবং পদুয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে নুরুল আলম। খালাস পেয়েছেন কলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল মালেক।

 

বাদীপক্ষের আইনজীবী একেএম শাহরিয়ার রেজা রিয়াদ বলেন, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ আহম্মেদ এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আইয়ুব আলী, জহিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন ও আবুল কাশেম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত শামসুল ইসলাম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আজম বাদশা, নুরুল আলম, নাজিম উদ্দীন ও আলমগীর অনুপস্থিত ছিলেন।

 

ভুক্তভোগীর ভাতিজা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও চাচা হত্যার বিচার পেয়েছি। এ মামলার তদারকি করার কারণে আমার বাবাকেও তারা হত্যা করেছিল। ২০০৭ সালে বাবা হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। একজন খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকায় মাহামুদুল হককে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ নভেম্বর তিনি মারা যান। ঐ ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আলী আহমেদ।

 

এ মামলার তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে ২০০৬ সালের ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় দুই আসামি মারা যান। মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭