এডিটর’স মাইন্ড

অর্থমন্ত্রীর মশা আতংক এবং একটি মোনাজাতের খসড়া


প্রকাশ: 25/08/2023


Thumbnail

আমাদের অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল অনেকটাই বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো। তাকে সচরাচর দেখা যায় না। তাই কদাচিৎ কালেভদ্রে তিনি মন্ত্রণালয় বা কোন অনুষ্ঠানে গেলে সাংবাদিকরা রীতিমতো হুমড়ি খান। অর্থমন্ত্রীকে দেখা গেছে, এটিই এখন অনেক বড় খবর। গত ২২ আগস্ট আমাদের ‘বিরল দৃশ্যমান’ অর্থমন্ত্রীর দেখা মিললো। এনবিআর ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত। সাংবাদিকরা যখন তাকে এক নজর দেখার জন্য উদগ্রীব, তখন মশার দোষ কি? মশাও এ্যরোসেল আর শীততাপ বেষ্টনী ছিন্ন করে অর্থমন্ত্রী দর্শনে এলেন। মশাদের দেখে অর্থমন্ত্রী ভয় পেলেন। এমনই ভয় যে বক্তৃতাই ভুলে গেলেন। এই সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অর্থপাচারকারী, ব্যাংক লুটেরাদের জন্য এটি নিশ্চয়ই সুখবর। লুটেরারা ভাবতেই পারে, মশা দেখেই অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা ভুলে যান, তাহলে আমাদের দেখলে কি করবেন? ব্যবস্থা নেয়া, শাস্তি দেয়া তো বহু দূরের ব্যাপার। তবে ব্যাংক লুটেরা এবং পাচারকারীদের এতো উল্লাসিত হবার কোন কারণ নেই। অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কারণেই মশা আতংকে ছিলেন। কদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী বললেন ‘বাংলাদেশে দুটো জিনিস ভয়ংকর একটি ডেঙ্গু মশা অন্যটি বিএনপি।’ দলের সাধারণ সম্পাদক যদি বলেন, ডেঙ্গু মশা ব্যাংক লুটেরা, অর্থপাচারকারী, বাজার সিন্ডিকেটের চেয়ে ভয়ংকর তাহলে অর্থমন্ত্রী বেঁচারার কি দোষ বলুন! তিনি তো ভয় পাবেনই। অর্থমন্ত্রী অসুস্থ, একথা প্রতিদিনই শুনি। অসুস্থতার জন্য তিনি অফিসে যান না। জাতীয় সংসদে যান না। এর মধ্যেই শুনলাম তিনি আবার নির্বাচনে দাঁড়াবেন। এক ওসি অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার তার ভোট ও দোয়া চাইলেন। বাহ্ কি চমৎকার। কিভাবে এসব সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন চিন্তার মধ্যে ডুব দিয়েছি, তখনই শুনলাম বেঁচারা ওসিকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওসি বেঁচারাকে প্রত্যাহার করা হলো কেন? ভোট চাওয়ার জন্য নাকি দোয়া চাওয়ার জন্য? ওসি সাহেবকে যদি অর্থমন্ত্রীর জন্য দোয়া চাওয়ার অপরাধে সরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটি ভয়ংকর অন্যায্য এবং অন্যায় হয়েছে। আমাদের অর্থমন্ত্রীর জন্য গোটা জাতির এখন দোয়া চাওয়া কর্তব্য। তিনি এখন যে সব কান্ড কারখানা করছেন, তাতে তার জন্য মোনাজাত করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। আ.হ.ম মোস্তফা কামাল সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র অর্থমন্ত্রী যিনি সবকিছু থেকে দূরে থাকেন। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিরাও তার দেখা পান না। আমি জানি না, তার জন্য কেউ রবীঠাকুরের ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না’ গানটি গেয়ে ওঠেন কিনা। অর্থমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সাথে ‘সামাজিক দূরত্ব’ কঠোর ভাবে মেনে চলেন। ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চান। ব্যাংকাররা অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য হণ্যে হয়ে ঘুরছেন। অর্থমন্ত্রণালয়, এনবিআর কিংবা আরো সরকারী অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা তার সাক্ষাৎপ্রার্থী। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সাক্ষাৎ আর চাঁদ হাতে পাওয়া যেন আজকাল একই কথা। তিনি অসুস্থ এই বলে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের বিদায় করা হয়। কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে তিনি যে বেশ ভালোই অসুস্থ তা প্রমাণ করে দিলেন। বিল পাশ, অর্থবিল উত্থাপন ইত্যাদি নানা বিষয় তিনি গুলিয়ে ফেলছিলেন। এরকম অসুস্থ একজন ব্যক্তির অর্থমন্ত্রী তো দূরের কথা এমপিও থাকা উচিত না। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এই অসুস্থ শরীরেও আবার এমপি হবার স্বপ্ন দেখেন। এজন্য ওসিকে দিয়ে ভোটও চান জনগণের কাছে। একজন মানুষের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো তার সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা। নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন ‘কোথায় থামতে হবে সেটা জানাটা খুবই জরুরী।’ এই জরুরী বিষয়টা উপলব্ধি করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৮ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে বিদায় নেন জনাব মুহিত। ২০১৮ র নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করেননি তিনি। জনাব মুহিত শেষদিন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব  পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। তিনি সরকার বা রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে ওঠেননি কখনো। ঠিক তার বিপরীত অবস্থা বর্তমান অর্থমন্ত্রীর। তিনি কেন দায়িত্বে আছেন, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হতে পারে। ব্যাধি সংক্রামক। ব্যাধিগ্রস্থ অর্থমন্ত্রীর অসুখ ছড়িয়ে পড়েছে অর্থনীতির সবক্ষেত্রে। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতা জনিত কারণে অর্থখাতের নিয়ন্ত্রণ এখন আমলাদের হাতে। ড. আতিউর রহমান ছিলেন, শেষ অর্থনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছিলেন। এরপর থেকে ‘গভর্নর’ পদটি আমলাদের জন্য সংরক্ষিত। ফজলে কবিরের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হলো আরেক আমলা আবদুর রউফ তালুকদারকে। অর্থসচিব থেকে সরাসরি তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের চেয়ারে বসলেন। অর্থমন্ত্রী অসুস্থ। তাই গভর্নরের হাতেই ন্যস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের সাথে বৈঠকে গভর্নরই নেতৃত্ব দেন। কেউ কেউ তাকে বলে ‘ছায়া অর্থমন্ত্রী’। কিন্তু আমলাতন্ত্রের ‘সর্বরোগের একই দাওয়াই’ অর্থনীতির দূর্যোগ কাটিয়ে তুলতে পারেনি। সংকট আরো গভীর হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, সংকটকে ধামাচাপা দেয়ার এক ভয়ংকর প্রবণতা আর্থিকখাতে সর্বত্র দৃশ্যমান। 

অর্থপাচারের কথাই ধরা যাক। অর্থপাচারের রীতিমতো উৎসব চলছে। গভর্নরের দায়িত্ব নেয়ার পর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। যারা টাকা পাচার করেছে তারা কারা? গভর্নর বলতেই পারেন, তোমরা আদার ব্যাপারী। জাহাজের খবর নিয়ে কি করবে? কথা ঠিক। আমাদের জানানোর দরকার নেই। কি ব্যবস্থা নেয়া হলো অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে? সংবাদপত্রে পাচার কাহিনীর নানা রোমাঞ্চকর লেখা প্রায় প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা এসব সংবাদে শিহরিত, রোমাঞ্চিতও বটে। রুগ্ন অর্থমন্ত্রণালয়, বিবর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংক, অসহায়। লুটেরাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টরা যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।

অর্থপাচারের সাথে খেলাপী ঋণের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকগুলো এখন কৃত্রিম ভাবে বেঁচে আছে। সেখানেও এখন রাঘববোয়ালদের থাবা। মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকিং খাত জিম্মি। বেসরকারী ব্যাংক গুলোর মধ্যে অনেকগুলোই এখন ‘কোমায়’। কারো কিছু বলার নেই। অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করেই বলেছিলেন আর এক টাকাও খেলাপী ঋণ বাড়তে দেয়া হবে না। খেলাপী ঋণ বাড়তে বাড়তে এখন সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলছে। এখন নাকি শুধু ভিআইপি ব্যবসায়ীরা নন, তাদের আত্নীয় স্বজন এমনকি চাকরবাকররাও অনায়াসে শতকোটি টাকা ঋণ পায়। ব্যাংক এখন আর ব্যাংক নেই। কিছু দূর্বৃত্তের খাজাঞ্চি খানায় পরিণত হয়েছে। ইচ্ছে হলো আর ঋণ নিয়ে ব্যাংক খালি করে ফেললো। কারো কিছু বলার নেই। 

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। বাজারে মানুষের হাহাকার এখন রীতিমতো আর্তনাদে পরিণত হয়েছে। ডলার সংকট বেড়েই চলেছে। সমাধান নেই। ভালো ব্যবসায়ীরা ডলার সংকটে ঠিকঠাক মতো এলসি করতে পারছে না। অবস্থা যেভাবে চলছে তাতে কাঁচামাল আমদানী নির্ভর শিল্পকারখানা গুলো বড় ধরণের হুমকির মধ্যে পরতে পারে। এরকম সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেবেন, সবার পরামর্শ শুনবেন-এমনটাই প্রত্যাশিত। কিন্ত আমাদের গভর্নর মহোদয়ও সামাজিক দূরত্ব পছন্দ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অর্থমন্ত্রীর একনিষ্ট অনুসারী। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অর্থনীতিবীদ, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নেই। ব্যবসায়ী, ব্যাংকারদের মতামতেরও কোন প্রয়োজন নেই। আমলাতন্ত্রেই সব সমস্যার সমাধান। আমলারা সব জানেন। তারাই আসলে আলাদীনের চেরাগের দৈত্য। অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের কথা গভর্নর শুনবেন কেন? আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েই আমরা খুশিতে আত্নহারা। প্রতিদিন এখন আমরা খুঁজি কোথায় ঋণ পাওয়া যাবে। মন্দ কি? চার্বাক দর্শন বলেছে ‘ঋণ করে হলেও ঘি খাও।’ ঋণ যে শুধু বিদেশ থেকে নেয়া হচ্ছে এমনটি না। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়েও গত বাজেটে অবাস্তব পরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল। এখন সরকার চালাতে প্রধান ভরসা ব্যাংক ঋণ। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরনের দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের। তিনিও একজন আমলা। চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে থাকা এই আমলাও সামাজিক দূরত্বে বিশ্বাসী। তিনিও অর্থমন্ত্রীর মতোই । তাকে না যায় ধরা, না যায় ছোঁয়া। তিনিও ব্যবসায়ীদের দেখা দেন না। অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ শোনেন না। আর সাংবাদিক এরা কোন ছার? আইসোলেশনে থাকা এনবিআর চেয়ারম্যান নিশ্চয়ই দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ধ্যানমগ্ন থাকেন। ধ্যানের সময় যারা তার সাক্ষাৎ চেয়ে বিরক্ত করেন, তারা তো ভীষণ পাজী।

অর্থমন্ত্রী যখন অসুস্থ তখন তো অর্থসচিবের দায়িত্ব বেড়ে যাবারই কথা। তার তো দম ফেলার ফুসরত থাকার কথা না। আমাদের সদ্য বিদায়ী অর্থসচিব সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। তিনি বুদ্ধিমানও বটে। ইআরডি সচিব থেকে অর্থ বিভাগের সচিব হয়ে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। দেশের প্রথম নারী অর্থসচিব বলে কথা। নারীরা নাকি হিসেবে খুব পোক্ত হয়। বিশেষ করে অভাবের সময় সীমিত টাকায় সংসার সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জুড়ি মেলাভার। এনিয়ে কত গল্প, কাহিনী পড়েছি। ফাতিমা ইয়াসমিন অর্থসচিব হবার পর আমরা তো ভীষণ আশাবাদী হয়ে ওঠলাম। কিন্তু বছর পেরুতে না পেরুতেই দেখলাম তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে বড় চাকরী জুটিয়ে ফেললেন। গত বুধবার (২৩ আগস্ট) তার স্বেচ্ছা অবসরের প্রজ্ঞাপন জারী হয়েছে। বাহ্। তাহলে কি অর্থসচিবের পদটাকে তিনি সিড়িঁ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন? দেশের সংকটেও যখন ব্যক্তিগত লাভালাভ বড় হয়ে যায় তখন তাকে কি বলবেন? অর্থসচিব কি বলবেন, গত এক বছরে জাতির জন্য তিনি কি মহান দায়িত্ব পালন করেছেন?

নতুন অর্থসচিবকে নিয়ে কিছু বলার সময় এখনও হয়নি। কিন্তু অর্থনীতির এই দূরাবস্থার মধ্যে তিনি কি করতে পারবেন, সেটাই দেখার বিষয়। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়েছে এখন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এবং অর্থনীতিতে। এ রোগের যদি এখনই চিকিৎসা না হয় তাহলে তা দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হবে। অর্থমন্ত্রী তো অসুস্থতার জন্য পদ ছাড়বেন না। যারা আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা তো সারাজীবন সরকারী চাকরী করেছেন। তারা আমলা। আমলাতন্ত্রের ডিকশনারীতে ‘ব্যর্থতা’ বলে কোন শব্দ নেই। ব্যর্থতার দায় কখনও আমলারা নেয় না। দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার জন্য তারা তাদের পদও ছেড়ে দেবেন না। তাহলে ক্রমশ: অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ধাবমান এই রাষ্ট্রের কি হবে? এ প্রশ্নের উত্তর ভেবে আমাদের লাভ নেই। আমরা শুধু অর্থমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের দ্রুত রোগমুক্তির জন্য মোনাজাত করতে পারি। দেশের প্রধান কবি শামসুর রহমান ‘একটি মোনাজাতের খসড়া’ শিরোনামে এক সাড়া জাগানো কবিতা লিখেছিলেন। তেমনি আমরাও অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি মোনাজাতের খসড়া তৈরী করতে পারি। তিনি যেন আরোগ্য লাভ করেন। আল্লাহ যেন তাকে সুমতি দেন। আত্মপলব্ধির তৌফিক দেন। যেন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত টুক অন্তত তিনি নিজে নিতে পারেন। জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে অর্থমন্ত্রীকে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দিন, হে পরওয়ার দিগার। আমীন।

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭