বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ, কমলো বিদ্যুৎ উৎপাদন

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল কোল ফেজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ গত মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে। 

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয় নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।

খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৯ আগষ্ট বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেজে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যায়। এতে ২৯ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া ১১১৩ ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন ১৪১২ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেইজে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা আগামী নভেম্বর প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে। 

রাত পোনে ১১ টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন ১৪১২ নম্বর ফেইজটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন এ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মে.টন কয়লা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।