ইনসাইড পলিটিক্স

মোড়ল সাহেবরা যতই উঠে পড়ে লাগুক দেশকে কেউ ব্যর্থ করতে পারবে না: নানক


প্রকাশ: 31/08/2023


Thumbnail

বাংলাদেশ পৃথিবীতে উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘সেই কারণে মোড়ল সাহেবরা উঠে পড়ে লেগেছে। কোন ভয়ের কারণ নেই। আমাদের সাথে রয়েছে আমাদের একজন শেখ হাসিনা রয়েছেন। সেই দুঃসাহিক নাবিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই যাবে। কেউ কোন ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে পারবে না।’

বুধবার ( ৩০ আগস্ট ) রাতে  রাজধানীর  অফিসার্স ক্লাব  মিলনায়তনে  জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভায়  বরিশাল বিভাগ অফিসার্স  এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি  এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

নানক বলেন, ‘একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল আমাদের যুদ্ধের কৌশলের সাথে। সেই পরাজিত শক্তি যারা আমার ষ্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা 

চুপি চুপি সংঘবদ্ধ ছিল। কিন্তু সেদিনে আমাদের নেতৃত্ব বা আমরা সতর্ক হতে পারিনি। আর যদি সতর্ক হতে পারতাম এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়ার কোন বিষয়েই ছিল না এবং সম্ভব ছিল ব্যর্থ করে দেওয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ২১ টি বছর এই জাতি কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ঘুরেছে। এই খুনী জিয়াউর রহমান, আমি কোন প্রতিহিংসায় বলছি না, জিয়াউর রহমান সেদিন উপপ্রধান হিসাবে বলেছিল তোমরা এগিয়ে যাও আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। আর জিয়াউর রহমান যে পরিকল্পনার মূল কলকাঠি নেড়েছে তার প্রমাণ হত্যাকারীদের আশ্রয় দিল কে? ওই হত্যাকারী ডালিম রশিদ শাহরিয়ার নূরদের আশ্রয় দিয়েছে জিয়াউর রহমান। এই খুনীদের নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই খুনীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে জিয়াউর রহমান।’ 

নানক বলেন, তাদেরকে খুশি করতে একটি দল গঠন করার সুযোগ করে দেন। তার নাম ছিল ফ্রিডম পার্টি। শুধু তাই নয়, একটি ফ্রিডম পার্টিকে একটি পত্রিকার ডিক্লেরাশেন দিয়েছিলেন। তার নাম ছিল দৈনিক মিল্লাত। জিয়াউর রহমান যে জড়িত তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ সেটি হল খুনী মোশতাক এই ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল সেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংসদে আইনে তৈরি করে চিরদিনের জন্য খুনীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল বলেও যোগ করেন তিনি। কাজেই রাজনৈতিক শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আমি বলছি না যে জিয়াউর রহমান খুনী। জিয়াউর রহমান খুনের সঙ্গে জড়িত তার প্রমাণ দিলাম বলে দাবি করেন নানক।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমরা লড়াই করেছিলাম। আমরা স্লোগান দিয়েছি সারাদেশে। এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে। মুজিব হত্যার পরিণাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম। আমু ভাই এখানে বসা আছেন। তিনি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম একটি স্লোগান একটি বক্তব্য এনেছিলেন। তখন সবাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে আছে দৈনিক সংবাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ফোল্ডারের নিচে তিন কলামে নিউজটি ছাপা হয়েছিল। সেটি হল বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাকে দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে।’ 

জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে তার স্ত্রী এবং তার কুপুত্র তারেক রহমান দাবি করে নানক বলেন, ‘২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল।’

বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট শাসনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সেদিন একটি সরকারের পাশে আরেকটি সরকার ছিল। একটা ছিল খালেদা-নিজামী সরকার। আরেকটি ছিল হাওয়া ভবন সরকার। তার প্রধান ছিল তারেক রহমান। কাজেই আবার ওরা যেভাবে এই দেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছিল, আব্দুর রহমান সৃষ্টি করে সারাদেশে একযোগ সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। বিচারিক আদালতে বোমা হামলা চালিয়েছে। সেই ওরা আবার ফিরে আসতে চায়।’ 

সরকারের টানা মেয়াদে আর্থসামাজিক অবকঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরার পাশাপাশি আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক। তিনি বলেন, ‘আবার একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এতো উন্নয়ন ভাল লাগে না। সেই কারণে মোড়ল সাহেবরা উঠে পড়ে লেগেছে। কোন ভয়ের কারণ নেই। আমাদের সাথে রয়েছে আমাদের একজন শেখ হাসিনা রয়েছেন। কাজেই সেই দুঃসাহিক নাবিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই যাবে ইনশাআল্লাহ। কেউ কোন ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ দেশকে করতে পারবে না।’

বরিশাল  বিভাগ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিনিয়োগ  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের  নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায়  স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মতিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা  সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রীপরিষদ সচিব  মো. মাহবুব  হোসেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের  সচিব মু.  আ. হামিদ জমাদ্দার,দুর্নীতি  দমন কমিশনের সচিব মু. মাহবুব হোসেন, মহিলা ও শিশু  বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, নির্বাচন কমিশনের  সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব  মো. জসিম উদ্দিন। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭