এডিটর’স মাইন্ড

প্রধানমন্ত্রী, অন্তত একটা মন্ত্রীকে ‘ধরেন’


প্রকাশ: 01/09/2023


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড়গুণ হলো, তিনি অকপটে সত্য কথা বলেন। যা বিশ্বাস করেন তা বলতে ভয় পান না। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা যেন ‘খোলা তলোয়ার’। তাকে যেকোন প্রশ্ন করা যায়। তার জবাবও তিনি দেন নিঃসংকোচে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু ৮ বছরের বেশি সময়ে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। 

সম্প্রতি তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন নিয়েই হলো হুলস্থুল কান্ড। অন্যান্য দেশের সরকার এবং রাষ্ট্র প্রধানরা সংবাদ সম্মেলন করেন বটে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন নেয়া হয় না। দু’একজন সীমিত আকারে প্রশ্ন নেন। তবে, কারা প্রশ্ন করবেন এবং কি প্রশ্ন করবেন তা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন এক বিরল ব্যতিক্রম। যেকোন প্রশ্নের জবাব দিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সদা প্রস্তুত। এরকম জবাবদিহিতার ব্যবস্থা বিশ্বের আর কোন সরকার প্রধান এখন করেন না। তবে দূর্ভাগ্য আমাদের। এসব সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের পাশাপাশি এক ঝাঁক নির্লজ্জ চাটুকারের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এরা সংবাদ সম্মেলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যান না। যান তৈল মর্দনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে। তেল মেরে কিছু আদায়ের মিশনে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার বদলে এদের মধ্যে চাটুকারিতার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এদের কারো কারো তৈলমর্দন এতোই কুৎসিত এবং নিম্নমানের যে এসব শুনলেও বমি চলে আসে। তবে, গত ২৯ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে চাটুকার সাংবাদিকদের দাপট কম ছিলো। শুরুতেই এক চাটুকারের প্রশ্নকে প্রশ্রয় দেননি প্রধানমন্ত্রী বরং তার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। এরপর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়। ড.ইউনূস প্রসঙ্গ থেকে নির্বাচন কোন কিছুই বাদ যায়নি। কোন প্রশ্নেই প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত মনে হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম। 

গত একবছর ধরে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির আঁচ এখন উচ্চ মধ্যবিত্তরাও টের পাচ্ছেন। কখনো কাঁচামরিচ, কখনো পিয়াজ, কখনো বা ডিমের দাম উৎসব করে বাড়ে। এখন ডাব বাজারে আতংক এবং অস্থিরতা চলছে। সাইফুল আলম এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন ‘পণ্যের ঘাটতি নেই। সরবরাহও ঠিক আছে। তারপরও মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্য মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী বলছেন ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।’ যুগান্তর সম্পাদকের প্রশ্নের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন। ‘কে বলেছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না?’ এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রায় সব সংবাদকর্মী বাণিজ্যমন্ত্রীর নাম  উল্লেখ করেন। সাইফুল আলম বলেন ‘বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিপদ আছে।’ একথা শুনে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত হলেন। তাৎক্ষণিক ভাবে দুবার বললেন ‘বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন? ঠিক আছে আমি বাণিজ্য মন্ত্রীকে ধরবো তো।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হলো, আমাদের মন্ত্রী বাহাদুররা যে সব লাগাম ছাড়া কথাবার্তা বলেন, তার অনেক কিছুই প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। সরকারের ভেতরে থেকে কে কি করছেন, তা অনেক কিছুই হয় প্রধানমন্ত্রীর অগোচরে। এই শঙ্কাটা আমি বেশ কিছুদিন ধরেই করছি। আমার কাছে, বিভিন্ন সময়ে মনে হয়েছে, বাজারে যেমন সিন্ডিকেট কৃত্রিম ভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী চারপাশে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এদের অধিকাংশই অযোগ্য, চাটুকার এবং মতলববাজ। এরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনেক সত্য আড়াল করছেন। দেশের কোথায় কি হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু মাত্র ভালো খবর, প্রশংসার খবর দিয়ে একটি চক্র প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে একটা দেয়াল তৈরি করেছেন। এটা প্রমাণ হলো ২৯ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে। একারণেই  কয়েকজন মন্ত্রী অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতার রেকর্ড গড়ে বহাল তবিয়তে মন্ত্রীত্ব করছেন। দু’একজন মন্ত্রীর সীমাহীন দূর্নীতির খবরও নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী জানেন না। কিংবা তাকে জানতে দেয়া হয় না। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী সিন্ডিকেটের প্রতি আনুগত্যের কথা অন্তত ৫ বার বলেছেন। এর মধ্যে তিনবারই বলেছেন জাতীয় সংসদে। বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের সব গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের এই সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশাল বহরের প্রেস উইং আছে। এই প্রেস উইং যে কি কাজ করে, তার এক ঝলক দেখা গেছে ঐ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই। প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের শুরুটাও ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে করতে পারেন নি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর নামটাও ভুল বললেন, প্রেস সচিব। ওবায়দুল কবীর বলে আবার তা সংশোধন করলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এতো দায়সারা ভাবে, প্রস্তুতিহীন অবস্থায় একটা সংবাদ সম্মেলন করেন কিভাবে? এতে বোঝা গেল, এই প্রেস উইং রাষ্ট্রের এবং সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক সংবাদ ক্লিপিং প্রধানমন্ত্রীকে দেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবকিছু খুটিয়ে পড়েন। যেকোন ফাইল, সংবাদপত্র আদ্যোপান্ত পড়ার ব্যাপারে তার সুখ্যাতি আছে। কাজেই বাণিজ্যমন্ত্রীর সিন্ডিকেট সংক্রান্ত খবরটির পেপার ক্লিপিং দেয়া হলে, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তা পড়বেন না এটা হতে পারে না। আরেকটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না, মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনা প্রচন্ড সংবেদনশীল। যেকোন অন্যায্য বিষয় তার কানে পৌঁছলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। কলা বাগানের মাঠে থানা নির্মাণ কিংবা চা শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্বড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ তার বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে থাকা চক্র অনেক তথ্যই প্রধানমন্ত্রীকে জানতে দেন না কেন? এর সাথে কি তাদের স্বার্থ জড়িত?। ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিপদ হবে’-এ জাতীয় তথ্য গুলো কেন গোপন করা হয়? এর ফলে সরকারের যে কত বড় ক্ষতি হচ্ছে তা উপলব্ধি করার বোধশক্তি টুকু এদের নেই। সরকারের ভালো-মন্দ দেখার চেয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই তাদের ব্যস্ততা। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৫ বছর দেশ পরিচালনা করছে, এর মধ্যে সরকার যে সব কাজ ভালো করেছে তাতো নয়। ভালো-মন্দ মিলিয়েই সরকার। যে সব কাজগুলো সরকারের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি, তা একটু ধরিয়ে দিলেই সংশোধন করা যায়। সব সমালোচনা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নয়। সব সমালোচকরা সরকারের ক্ষতি চায় না। বহু মানুষ আছেন, যারা বিশ্বাস করেন এই সরকারের বিকল্প নেই। সরকারের শুভাকাঙ্খী হিসেবে তারা অনেক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। অনেক ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিতে চান। কিন্তু কতিপয় আমলা, হাইব্রীড চাটুকাররা এই শুভাকাঙ্খীদের ‘শত্রু’ বানিয়ে ফেলে। সমালোচনা মানেই ‘ষড়যন্ত্র’-এমন অবাস্তব আজগুবি ধারনায় ক্ষমতা কেন্দ্রের চারপাশের বেশির ভাগ লোকজন বসবাস করেন। এরা সরকারের জন্য ভালো করছে না মোটেও, বরং বড় ক্ষতি করছেন। 

এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অন্তত একটি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন। আমি মনে করি এটাই সংবাদ সম্মেলনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। প্রধানমন্ত্রী যেই বললেন বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরবেন, পরদিনই (৩০ আগস্ট) মন্ত্রী সুর পাল্টালেন, বললেন ‘বাজার সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই।’ টিপু মুন্সী এটাও জানিয়ে দিলেন ‘প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে তার কোন কথা হয়নি।’ টিপু মুন্সী অবলীলায় বলে দিলেন ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, এমন কথা আমি বলিনি।’ উল্টো তিনি বললেন ‘গতকাল (২৯আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘন্টা ছিলাম। আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আমার কোন কথা হয়নি। উনিও জিজ্ঞাসা করেন নি।’ ২৯ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনের পর আমেরিকান চেম্বার্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী ছিলো। সেই কর্মসূচীতে বাণিজ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। এরকম একটি কর্মসূচীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কি তাকে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন? এই মন্ত্রী কি একেবারেই বোধ শক্তিহীন? নূন্যতম রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচারও তার অজানা? সব দোষ মিডিয়ার উপর চাপিয়ে দিয়ে মন্ত্রী নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিলেন। এখন নিশ্চয়ই চারপাশে থাকা সিন্ডিকেটেও প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করবে, আসলে মন্ত্রী সিন্ডিকেট সম্পর্কে এধরনের কিছু বলেননি। পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হবে। তারপর চাটুকাররা একযোগে বলবে কোথায় ‘সিন্ডিকেট’? সিন্ডিকেট বলে আসলে কিছু নেই। ব্যাস। কিন্তু আমি আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী যখন একবার বলেছেন ‘আমি বাণিজ্য মন্ত্রীকে ধরবো।’ তখন তিনি ধরবেনই। 

২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না।’ শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই এসব অর্থব, অযোগ্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন, দূর্নীতিবাজদের ছাড়বেন না। গত ১৫ বছরে এই সরকার সবক্ষেত্রে অসাধারন উন্নয়ন করেছে। অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন। পদ্মা সেতু থেকে আশ্রয়ণ। মেট্রোরেল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক। এমন ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন মডেল বিশ্বের আর কোথাও নেই। শেখ হাসিনাই এই উন্নয়নের রূপকার। তিনিই আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা। কিন্তু গত ৫ বছরে সরকারের ভেতরে থাকা কিছু দূর্নীতিবাজ এবং অযোগ্যদের জন্য এই উন্নয়নের ফসল আওয়ামী লীগ ঘরে তুলতে পারছে না। এসব উন্নয়নের আনন্দকে ম্লান করেছে কিছু লুণ্ঠনকারী। হাতে গোনা কয়েকজন অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপী লুটেরা এবং দূর্নীতিবাজের জন্য সরকারের সব অর্জন আজ প্রশ্নবিদ্ধ। গত ৫ বছরে দায়িত্বে থাকা কিছু মন্ত্রী এতোই অর্থব যে এরা যে সরকারের জন্য বিরাট ‘বোঝা’ তা উপলব্ধি পর্যন্ত করতে পারছে না। মন্ত্রীত্ব এদের দু’একজনের কাছে পাঁচ বছরের ‘ঠিকাদারী’। এরাই সরকারের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। সরকারের সমালোচক না দূর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং চাটুকাররাই সরকারের জন্য বিপদজ্জনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যারা সরকারের ঘরে বসে সর্বনাশের আগুন লাগাচ্ছে, এদের অন্তত একজনকে ধরুন। জনগণ আপনার পাশে আছে। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে আপনি জনগণের পক্ষে। দূর্নীতিবাজ এবং লুটেরাদের বিপক্ষে। একজনকে ধরলেই দেখবেন সাধারণ মানুষ উল্লাসিত হবে। অন্যরাও তাদের অপকর্ম বন্ধ করবে। দেশ এবং জাতি উপকৃত হবে। বাংলাদেশ বাঁচবে।

সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭