ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিমানবন্দর ভয়ংকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/03/2018


Thumbnail

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর বিভিন্ন সময়ের দুর্ঘটনার জন্যে মোটামুটি আলোচিত । ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ এই পর্যন্ত গত ৪৬ বছরে এই বিমান বন্দরে বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মারা গেছেন সাড়ে ছয়শো মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭০টিরও বেশি। সারা জীবনের জন্য পঙ্গু ও আহত হয়েছেন অনেকেই।
নেপালের রাজধানীর কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ত্রিভুবন বিমানবন্দর। একের পর এক বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণে বরাবরই আলোচনায় ছিল এই বিমানবন্দর।

পাহাড়ে ঘেরা ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকায়। বিমান তদন্তকারীদের মতে, ‘ভৌগোলিক অবস্থান ছাড়াও নিচু দিয়ে মেঘ ওড়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ রানওয়ে এসব বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।’

নিয়মিত বিমান চলাচল শুরুর পর ১৯৭২ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে মারা যান একজন।

১৯৯২ সালে থাই এয়ারওয়েজের এয়ারবাস অবতরণের সময় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১৩ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পিআইএ`র বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৭ জনের সবাই প্রাণ হারায়।

১৯৯৫ সালে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমান বেষ্টনী ভেঙে দু`জন নিহত হন।

১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে লুফথানসার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচ ক্রু নিহত হন। ওই বছররের সেপ্টেম্বরে নেকন এয়ারের বিমান টাওয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫ জন মারা যান।

২০১১ সালে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হন।

২০১২ সালে সিতা এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন মারা যান।

২০১৫ সালে তুর্কী এয়ারলাইন্সের বিমান নামতে গিয়ে ছিটকে পড়ে।

২০১৭ সালের মে মাসে সামিট এয়ারলাইন্সের আরও একটি বিমান দুর্ঘটনার পড়ে।

অনেক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এ বিমানবন্দরে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার নতুন করে যোগ হল ইউএস বাংলার ফ্লাইট। গত সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ৯ বাংলাদেশিসহ ২২ জন।

বাংলাইনসাইডার/আরকে/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭