চালক চলন্ত গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ায় ইরাকে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, ১৬ তীর্থযাত্রী নিহত

ইরাকের কারবালা শহরে আরবাইনের আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া ১৬ জন ইরানি তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিয়া ইরানী তীর্থযাত্রী। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।

 আল জাজিরা বলছে, সালাহউদ্দিনের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, গত শুক্রবার মধ্যরাতের কিছু আগে দুটি মিনিবাসের একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয় বলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, চালকদের মধ্যে একজন চলন্ত গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

দেশটিতে ধর্মীয় সমাবেশ আরবাইনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ পবিত্র নগরী কারবালায় একত্রিত হয়েছিল আর এর মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটল। আরবাইনের আচার-অনুষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বলে পরিচিত। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ধর্মীয় সমাবেশ চলাকালীন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। দুজাইল এবং সামাররা শহরের মধ্যে ঘটা এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জন আহতও হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আইএনএ।

শনিবার সালাহদ্দীন প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক খালেদ বুরহানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।

অবশ্য দুর্ঘটনার এ পরিস্থিতি নিয়ে বেশি বিবরণ দেননি বুরহান। নিহতদের বেশিরভাগই ইরান থেকে আসা দর্শনার্থী বলে জানান তিনি। এছাড়া আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত শুক্রবার ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, আরবাইন শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি বছর ২৬ লাখ তীর্থযাত্রী সড়ক বা আকাশপথে ইরাকে প্রবেশ করেছেন। এসব তীর্থযাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ইরান থেকে এসেছেন।

ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর ইরাকে ৪ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। প্রতিদিন গড়ে যার সংখ্যা ১৩ জন।আল জাজিরা বলছে, সংঘাত, অবহেলা এবং স্থানীয় দুর্নীতি তেল সমৃদ্ধ ইরাকের রাস্তা ও সেতুসহ অবকাঠামোকে বেহাল দশায় ফেলে দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গাড়ি চালানোর সময় গতি এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহারও দুর্ঘটনার কারণ।